লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
উজান থেকে নেমে আসা ঢলে লালমনিরহাটে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে তিস্তার পানি। নিম্নাঞ্চল ও তীরবর্তী এলাকায় দেখা দিয়েছে বন্যা। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে হাজারো মানুষ। এদিকে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বজরা এলাকায় তিস্তার তীব্র ভাঙন অব্যাহত আছে। বাস্তুহারা হচ্ছে একের পর এক পরিবার।
গতকাল শুক্রবার সকালে লালমনিরহাটের ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় তিস্তার পানি। জেলার হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার তিস্তা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, দোয়ানী, ছয়আনি, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, ফকিরপাড়া ইউপির রমনীগঞ্জ, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্ণা ইউপির পাটিকাপাড়া, হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ী; কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চরবৈরাতি; আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা, পলাশী এবং সদর উপজেলার কালমাটি, ফলিমারীর চর, খুনিয়াগাছ, কুলাঘাট, মোগলহাট, বড়বাড়ি ও রাজপুরে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
তিস্তা নদীর বন্যা-সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে পানি আগামী ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে। তবে পরবর্তী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় তিস্তার উজানের অংশে (সিকিম, গ্যাংটক) এলাকায় আবার মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এ কারণে আবার সমতলের পানি বৃদ্ধি পেয়ে ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।
আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জি আর সারোয়ার বলেন, তিস্তা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘরে পানি ঢুকেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পানিবন্দী এসব মানুষের সার্বিক খোঁজ রাখা হচ্ছে।
লালমনিরহাট জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আমরা জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত আছি।’
এদিকে কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। চরাঞ্চলের ফসলি জমিতে পানি উঠেছে। একই সঙ্গে নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের বাড়িঘরে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। উলিপুর উপজেলার বজরা এলাকায় তিস্তার ভাঙন অব্যাহত আছে। এতে বাস্তুহারা হচ্ছে একের পর এক পরিবার।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টায় তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমারের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।
বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাতে পাউবো জানায়, আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের কিছু স্থানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
গতকাল দুপুর ১২টায় তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। একই সময় ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্রের পানিও বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এসব নদ-নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে উলিপুরের বজরা ইউনিয়নে তিস্তার আগ্রাসী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। গত এক সপ্তাহে এই ইউনিয়নের তিন গ্রামের অর্ধশতাধিক পরিবার বাস্তুহারা হয়েছে। নদীতে বিলীন হয়েছে স্থানীয় কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দির, পাকা সড়ক ও কয়েক শ একর আবাদি জমি। প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন অব্যাহত থাকলেও স্থানীয় পাউবো শুধুমাত্র ৫০০ মিটার এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলছে।
গতকাল বিকেলে ভাঙন প্রতিরোধে চলমান কাজ পরিদর্শনে উলিপুরের বজরা ইউনিয়নে যান পাউবো, কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন। এ সময় তিনি বলেন, ‘তিন কিলোমিটারজুড়ে তিস্তার তীব্র ভাঙন চলছে। এখনো বাড়িঘর হারাচ্ছে মানুষ। আমরা শুধুমাত্র ৫০০ মিটার এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধমূলক কাজের অনুমতি পেয়েছি। সেখানে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা চলছে।’
উজান থেকে নেমে আসা ঢলে লালমনিরহাটে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে তিস্তার পানি। নিম্নাঞ্চল ও তীরবর্তী এলাকায় দেখা দিয়েছে বন্যা। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে হাজারো মানুষ। এদিকে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বজরা এলাকায় তিস্তার তীব্র ভাঙন অব্যাহত আছে। বাস্তুহারা হচ্ছে একের পর এক পরিবার।
গতকাল শুক্রবার সকালে লালমনিরহাটের ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় তিস্তার পানি। জেলার হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার তিস্তা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, দোয়ানী, ছয়আনি, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, ফকিরপাড়া ইউপির রমনীগঞ্জ, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্ণা ইউপির পাটিকাপাড়া, হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ী; কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চরবৈরাতি; আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা, পলাশী এবং সদর উপজেলার কালমাটি, ফলিমারীর চর, খুনিয়াগাছ, কুলাঘাট, মোগলহাট, বড়বাড়ি ও রাজপুরে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
তিস্তা নদীর বন্যা-সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে পানি আগামী ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে। তবে পরবর্তী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় তিস্তার উজানের অংশে (সিকিম, গ্যাংটক) এলাকায় আবার মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এ কারণে আবার সমতলের পানি বৃদ্ধি পেয়ে ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।
আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জি আর সারোয়ার বলেন, তিস্তা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘরে পানি ঢুকেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পানিবন্দী এসব মানুষের সার্বিক খোঁজ রাখা হচ্ছে।
লালমনিরহাট জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আমরা জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত আছি।’
এদিকে কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। চরাঞ্চলের ফসলি জমিতে পানি উঠেছে। একই সঙ্গে নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের বাড়িঘরে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। উলিপুর উপজেলার বজরা এলাকায় তিস্তার ভাঙন অব্যাহত আছে। এতে বাস্তুহারা হচ্ছে একের পর এক পরিবার।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টায় তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমারের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।
বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাতে পাউবো জানায়, আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের কিছু স্থানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
গতকাল দুপুর ১২টায় তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। একই সময় ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্রের পানিও বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এসব নদ-নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে উলিপুরের বজরা ইউনিয়নে তিস্তার আগ্রাসী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। গত এক সপ্তাহে এই ইউনিয়নের তিন গ্রামের অর্ধশতাধিক পরিবার বাস্তুহারা হয়েছে। নদীতে বিলীন হয়েছে স্থানীয় কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দির, পাকা সড়ক ও কয়েক শ একর আবাদি জমি। প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন অব্যাহত থাকলেও স্থানীয় পাউবো শুধুমাত্র ৫০০ মিটার এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলছে।
গতকাল বিকেলে ভাঙন প্রতিরোধে চলমান কাজ পরিদর্শনে উলিপুরের বজরা ইউনিয়নে যান পাউবো, কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন। এ সময় তিনি বলেন, ‘তিন কিলোমিটারজুড়ে তিস্তার তীব্র ভাঙন চলছে। এখনো বাড়িঘর হারাচ্ছে মানুষ। আমরা শুধুমাত্র ৫০০ মিটার এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধমূলক কাজের অনুমতি পেয়েছি। সেখানে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা চলছে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪