পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে সাধারণত পাট চাষ শুরু হয় মার্চ-এপ্রিল মাসে। কিন্তু চলতি বছর কৃষকদের চাষে উদ্বুদ্ধ করতে কর্তৃপক্ষ পাটবীজ দিয়েছে আগস্টের শেষের দিকে। তখন পাট কাটার মৌসুমও প্রায় শেষ পর্যায়ে। এর প্রায় তিন মাস পর ৭ নভেম্বর প্রণোদনা হিসেবে দেওয়া হয়েছে সার ও কীটনাশক। মৌসুম শেষে প্রণোদনা পাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে পাট চাষে আগ্রহ কমে যাচ্ছে।
পাটগ্রামে পাট মৌসুম শুরু হওয়া সম্পর্কে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল গাফ্ফার জানান, উপজেলায় মার্চের মাঝামাঝি থেকে এপ্রিলে পাট চাষ শুরু হয়। কৃষকেরা নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী অন্য ফসল তুলে পাট চাষ শুরু করেন। এদিকে পাট উন্নয়ন কর্মকর্তারা বলছেন দেরিতে পাটবীজ, সার ও কীটনাশক বরাদ্দ হওয়ায় দেরিতে বিতরণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলা পাট উন্নয়ন কার্যালয়ে চলতি মৌসুমে উপজেলার আট ইউনিয়ন ও এক পৌরসভায় দুই হাজারের বেশি পাটচাষির তালিকা রয়েছে। এর মধ্যে পাটবীজ উৎপাদনের জন্য প্রায় ১৫০ কৃষককে বাছাই করা হয়। প্রত্যেক কৃষককে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) থেকে দেওয়া হয়েছে জমির পরিমাণমতো উচ্চফলনশীল পাটের বীজ। এ ছাড়া তিন কেজি টিএসপি, সাড়ে চার কেজি ইউরিয়া, চার কেজি জিপসাম, ৮০০ গ্রাম পটাশ সার ও ৫০ মিলিগ্রাম কীটনাশক দেওয়া হয়।
অভিযোগ উঠেছে, চাষ শুরুর নির্দিষ্ট সময়ে বীজ না দিয়ে আগস্ট মাসের শেষের দিকে পাট চাষে আগ্রহী কৃষকদের বীজ দেওয়া হয়েছে। বীজ দেওয়ার তিন মাস পর ৭ নভেম্বর সার ও কীটনাশক দেয় পাটগ্রাম উপজেলা পাট উন্নয়ন কার্যালয়। অনেক কৃষক বলেন, পাট চাষে পরিচর্যা, শ্রম ও খরচ বেশি। অপরদিকে ভুট্টা ও অন্য আবাদে তুলনামূলক কম শ্রম এবং খরচ কম। এ কারণে পাট চাষে অনেকের আগ্রহ কমে যাচ্ছে। সরকারি উদ্যোগে পাট চাষ বৃদ্ধিতে প্রণোদনা বিতরণ করা হয়। কিন্তু ঠিকমতো এসব প্রণোদনা না দিলে কীভাবে কৃষক পাট চাষে আগ্রহী হবেন?
উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের বামনদল গ্রামের কৃষক রাজিব মিয়া (৩০) বলেন, ‘আমাকে ডেকে সারা দিন রেখে সার ও কীটনাশক দেয়নি। এর আগে বীজ দেওয়ার সময়ও হয়রানি হতে হয়েছে। বীজ ও সার অসময়ে দেওয়ায় পাট চাষ সময়মতো করা যাচ্ছে না।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কৃষক বলেন, উপজেলা পাট উন্নয়ন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা চাষিদের কাছে আসেন না। তাঁরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও সদস্যদের কাছে যান, পছন্দমতো কৃষকের তালিকা করে বীজ ও সার দেন। সময়মতো বীজ, সার দেন না। অনেক সময় বিতরণ না করে মেরে দেন।
উপজেলা পাট উন্নয়ন কার্যালয়ের উপসহকারী কর্মকর্তা আবু হাসান বলেন, বরাদ্দ যেভাবে আসছে, সেভাবে দেওয়া হয়েছে। জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা
আব্দুস ছাত্তার বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে পাটবীজ ও সারের বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। পরে বরাদ্দ এলে কৃষকের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে সাধারণত পাট চাষ শুরু হয় মার্চ-এপ্রিল মাসে। কিন্তু চলতি বছর কৃষকদের চাষে উদ্বুদ্ধ করতে কর্তৃপক্ষ পাটবীজ দিয়েছে আগস্টের শেষের দিকে। তখন পাট কাটার মৌসুমও প্রায় শেষ পর্যায়ে। এর প্রায় তিন মাস পর ৭ নভেম্বর প্রণোদনা হিসেবে দেওয়া হয়েছে সার ও কীটনাশক। মৌসুম শেষে প্রণোদনা পাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে পাট চাষে আগ্রহ কমে যাচ্ছে।
পাটগ্রামে পাট মৌসুম শুরু হওয়া সম্পর্কে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল গাফ্ফার জানান, উপজেলায় মার্চের মাঝামাঝি থেকে এপ্রিলে পাট চাষ শুরু হয়। কৃষকেরা নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী অন্য ফসল তুলে পাট চাষ শুরু করেন। এদিকে পাট উন্নয়ন কর্মকর্তারা বলছেন দেরিতে পাটবীজ, সার ও কীটনাশক বরাদ্দ হওয়ায় দেরিতে বিতরণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলা পাট উন্নয়ন কার্যালয়ে চলতি মৌসুমে উপজেলার আট ইউনিয়ন ও এক পৌরসভায় দুই হাজারের বেশি পাটচাষির তালিকা রয়েছে। এর মধ্যে পাটবীজ উৎপাদনের জন্য প্রায় ১৫০ কৃষককে বাছাই করা হয়। প্রত্যেক কৃষককে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) থেকে দেওয়া হয়েছে জমির পরিমাণমতো উচ্চফলনশীল পাটের বীজ। এ ছাড়া তিন কেজি টিএসপি, সাড়ে চার কেজি ইউরিয়া, চার কেজি জিপসাম, ৮০০ গ্রাম পটাশ সার ও ৫০ মিলিগ্রাম কীটনাশক দেওয়া হয়।
অভিযোগ উঠেছে, চাষ শুরুর নির্দিষ্ট সময়ে বীজ না দিয়ে আগস্ট মাসের শেষের দিকে পাট চাষে আগ্রহী কৃষকদের বীজ দেওয়া হয়েছে। বীজ দেওয়ার তিন মাস পর ৭ নভেম্বর সার ও কীটনাশক দেয় পাটগ্রাম উপজেলা পাট উন্নয়ন কার্যালয়। অনেক কৃষক বলেন, পাট চাষে পরিচর্যা, শ্রম ও খরচ বেশি। অপরদিকে ভুট্টা ও অন্য আবাদে তুলনামূলক কম শ্রম এবং খরচ কম। এ কারণে পাট চাষে অনেকের আগ্রহ কমে যাচ্ছে। সরকারি উদ্যোগে পাট চাষ বৃদ্ধিতে প্রণোদনা বিতরণ করা হয়। কিন্তু ঠিকমতো এসব প্রণোদনা না দিলে কীভাবে কৃষক পাট চাষে আগ্রহী হবেন?
উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের বামনদল গ্রামের কৃষক রাজিব মিয়া (৩০) বলেন, ‘আমাকে ডেকে সারা দিন রেখে সার ও কীটনাশক দেয়নি। এর আগে বীজ দেওয়ার সময়ও হয়রানি হতে হয়েছে। বীজ ও সার অসময়ে দেওয়ায় পাট চাষ সময়মতো করা যাচ্ছে না।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কৃষক বলেন, উপজেলা পাট উন্নয়ন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা চাষিদের কাছে আসেন না। তাঁরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও সদস্যদের কাছে যান, পছন্দমতো কৃষকের তালিকা করে বীজ ও সার দেন। সময়মতো বীজ, সার দেন না। অনেক সময় বিতরণ না করে মেরে দেন।
উপজেলা পাট উন্নয়ন কার্যালয়ের উপসহকারী কর্মকর্তা আবু হাসান বলেন, বরাদ্দ যেভাবে আসছে, সেভাবে দেওয়া হয়েছে। জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা
আব্দুস ছাত্তার বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে পাটবীজ ও সারের বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। পরে বরাদ্দ এলে কৃষকের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪