উবায়দুল্লাহ বাদল, ঢাকা
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২১ ধারায় বলা হয়েছে, কেউ ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রোপাগান্ডা চালালে ১৪ বছরের জেল বা এক কোটি টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। ২৮ ধারা অনুযায়ী, কেউ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করলে সাত বছরের জেল বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
এই দুটিসহ অন্তত ১৯টি ধারায় অপরাধ অজামিনযোগ্য। এ কারণে উল্লিখিত দুটি ধারা বাতিলসহ বেশ কয়েকটি ধারা সংশোধন করার দাবি জানিয়েছে জাতিসংঘ মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর। একই রকম দাবি দেশের সাংবাদিক ও সুধীসমাজের প্রতিনিধিদেরও।এসব দাবির মুখে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বেশ কিছু ধারায় শাস্তি কমিয়ে দণ্ডবিধির সঙ্গে সামঞ্জস্য আনার চিন্তা করছে সরকার।
পাশাপাশি কিছু ধারার অপরাধ জামিনযোগ্য করারও চিন্তা চলছে। এ বিষয়ে আজ রোববার দুপুরে একটি বৈঠক হওয়ার কথা। আইন এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, আইনমন্ত্রীর নেতৃত্বে আজকের বৈঠকে অংশ নিতে পারেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তের আলোকে আইনের খসড়া সংশোধনী প্রস্তাব তৈরি করবে আইসিটি বিভাগ। তবে দায়িত্বশীল কোনো ব্যক্তি বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে রাজি হননি।
তবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গত ১৯ জুন জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে একটি ‘টেকনিক্যাল নোট’ দিয়েছে। সেটির পর্যালোচনাও প্রায় শেষ। দ্রুতই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত বছরের ১৪ আগস্ট রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক বৈঠকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুটি ধারা বাতিল এবং অন্তত ১০টি ধারা সংশোধনের দাবি জানান ঢাকা সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশেলেত। বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, আইনটি প্রণয়নের পর থেকেই এর ২১ ও ২৮ নম্বর ধারা সম্পূর্ণ বাতিল করার দাবি জানিয়ে আসছে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের দপ্তর। এমনকি এই দুটি ধারায় আগে যত মামলা হয়েছে এবং যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের ক্ষতিপূরণ দিতেও বলা হয়। আইনের ৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৩ ধারা সংশোধন করারও দাবি তাদের।
এর মধ্যে ২৯ ধারা দণ্ডবিধির সঙ্গে সামঞ্জস্য আনা এবং ৩২ ধারার অফিশিয়াল সিক্রেসির বিষয়ে প্রয়োজনীয় সংশোধনের তাগিদ দেওয়া হয়। সরকারের নানা পর্যায়ে আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক একাধিক বৈঠকের পর জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে একটি ‘টেকনিক্যাল নোট’ দেয়। সেই নোট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডিজিটাল ও সাইবার নিরাপত্তা-সংক্রান্ত বিভিন্ন আইন পর্যালোচনা করে সরকার। এর পরই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু ধারা সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস হওয়ার পর ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করা হয়।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২১ ধারায় বলা হয়েছে, কেউ ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রোপাগান্ডা চালালে ১৪ বছরের জেল বা এক কোটি টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। ২৮ ধারা অনুযায়ী, কেউ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করলে সাত বছরের জেল বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
এই দুটিসহ অন্তত ১৯টি ধারায় অপরাধ অজামিনযোগ্য। এ কারণে উল্লিখিত দুটি ধারা বাতিলসহ বেশ কয়েকটি ধারা সংশোধন করার দাবি জানিয়েছে জাতিসংঘ মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর। একই রকম দাবি দেশের সাংবাদিক ও সুধীসমাজের প্রতিনিধিদেরও।এসব দাবির মুখে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বেশ কিছু ধারায় শাস্তি কমিয়ে দণ্ডবিধির সঙ্গে সামঞ্জস্য আনার চিন্তা করছে সরকার।
পাশাপাশি কিছু ধারার অপরাধ জামিনযোগ্য করারও চিন্তা চলছে। এ বিষয়ে আজ রোববার দুপুরে একটি বৈঠক হওয়ার কথা। আইন এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, আইনমন্ত্রীর নেতৃত্বে আজকের বৈঠকে অংশ নিতে পারেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তের আলোকে আইনের খসড়া সংশোধনী প্রস্তাব তৈরি করবে আইসিটি বিভাগ। তবে দায়িত্বশীল কোনো ব্যক্তি বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে রাজি হননি।
তবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গত ১৯ জুন জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে একটি ‘টেকনিক্যাল নোট’ দিয়েছে। সেটির পর্যালোচনাও প্রায় শেষ। দ্রুতই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত বছরের ১৪ আগস্ট রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক বৈঠকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুটি ধারা বাতিল এবং অন্তত ১০টি ধারা সংশোধনের দাবি জানান ঢাকা সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশেলেত। বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, আইনটি প্রণয়নের পর থেকেই এর ২১ ও ২৮ নম্বর ধারা সম্পূর্ণ বাতিল করার দাবি জানিয়ে আসছে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের দপ্তর। এমনকি এই দুটি ধারায় আগে যত মামলা হয়েছে এবং যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের ক্ষতিপূরণ দিতেও বলা হয়। আইনের ৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৩ ধারা সংশোধন করারও দাবি তাদের।
এর মধ্যে ২৯ ধারা দণ্ডবিধির সঙ্গে সামঞ্জস্য আনা এবং ৩২ ধারার অফিশিয়াল সিক্রেসির বিষয়ে প্রয়োজনীয় সংশোধনের তাগিদ দেওয়া হয়। সরকারের নানা পর্যায়ে আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক একাধিক বৈঠকের পর জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে একটি ‘টেকনিক্যাল নোট’ দেয়। সেই নোট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডিজিটাল ও সাইবার নিরাপত্তা-সংক্রান্ত বিভিন্ন আইন পর্যালোচনা করে সরকার। এর পরই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু ধারা সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস হওয়ার পর ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করা হয়।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪