Ajker Patrika

ইজারা শেষেও বালু সংগ্রহ চলছে কুষ্টিয়ার গড়াই নদ থেকে, ব্যবস্থা নেই

দেবাশীষ দত্ত, কুষ্টিয়া
ইজারা শেষেও বালু সংগ্রহ চলছে কুষ্টিয়ার গড়াই নদ থেকে, ব্যবস্থা নেই

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে গড়াই নদ খনন থেকে পাওয়া বালু নিয়ে যাওয়ার ইজারার মেয়াদ শেষ হয়েছে ১৫ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার বরুরিয়া এলাকায় নদের পাড় থেকে এখনো বালু সংগ্রহ করছেন। এতে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। উপজেলা প্রশাসন বলছে, বালু নেওয়ার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, গড়াই নদ ড্রেজিং ও তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় খনন করা বালু বরু‌রিয়ায় স্তূপ করে রাখা হয়। সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে এ বালু অপসারণের ইজারা পায় কুমারখালীর মেসার্স রিভারভিউ ট্রেডার্স। বালু অপসারণের সময় বেঁধে দেওয়া হয় ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এরপর বালু নিলে তা অবৈধ বলে বিবেচিত হবে এবং ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, নদের পাড়ে বালুর স্তূপ কাটা হচ্ছে। এই কাজে এক্সকাভেটর ব্যবহার করা হচ্ছে। আর বালু পরিবহন করা হচ্ছে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ট্রলিতে করে। স্থানীয় কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিদিনই বালু কেটে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদারের লোকজন। আজ সকালেও কাটছিল।’

এ নিয়ে কথা হলে এক্সকাভেটরের মালিক মো. পান্না শেখ জানান, বালু তোলার মেয়াদ শেষ হয়নি। অন্যদিকে ঠিকাদার আব্দুল খালেক জানান, তিনি প্রায় ১৪ লাখ টাকায় ইজারা নিয়েছেন। নানাবিধ কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বালু অপসারণ করতে পারেননি। সে জন্য কুষ্টিয়া পাউবোতে সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছেন।

জানতে চাইলে কুষ্টিয়া পাউবোর ভূমি ও রাজস্ব শাখার সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম মোবাইল ফোনে কোনো কথা না বলে অফিসে যাওয়ার কথা বলেন।

যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুল হক জানান, তিনি কুষ্টিয়া পাউবোতে কথা বলেছেন। বরুরিয়ায় বালু অপসারণের মেয়াদ শেষ হয়েছে। সেখানে মেয়াদ বাড়ানোর আর কোনো সুযোগ নেই। কেউ বালু উত্তোলন করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত