আবদুল আযীয কাসেমি
প্রত্যেক মা-বাবা-ই সন্তানের নিরাপদ ও সুখী ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেন। পার্থিব দৃষ্টিকোণ থেকে সন্তানকে যেন কখনো অভাবে ভুগতে না হয়, সে জন্য মাথার ঘাম পায়ে ফেলেন। রাতদিন একাকার করে খেটে যান কলিজার টুকরো সন্তানের জন্য। এটা মানুষের স্বাভাবিক প্রকৃতি। ইসলাম এ ব্যাপারটিতে উৎসাহ দেয়। মহানবী (সা.) হজরত সাআদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.)-কে বলেছিলেন, ‘তোমার উত্তরাধিকারীদের সচ্ছল রেখে যাওয়া অসহায় রেখে যাওয়ার চাইতে অধিক উত্তম।’ (মুসলিম)
তবে দুঃখজনক বিষয় হলো, আজকাল সন্তানের নিরাপদ ভবিষ্যৎ নির্মাণের প্রয়াস লক্ষণীয় হলেও তাদের আখেরাত বিনির্মাণের চেষ্টা তেমন চোখে পড়ে না। অথচ পার্থিবভাবে তাকে স্বাবলম্বী করে তোলার চেয়েও অধিক গুরুত্বপূর্ণ হলো, তাদের সৎকর্মপরায়ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। কারণ সৎ সন্তানরাই মা-বাবার জন্য আল্লাহর দেওয়া অমূল্য সম্পদ ও নেয়ামত। যে সম্পদ হারিয়ে যাবে না কখনো। মৃত্যুর পরও অব্যাহত থাকবে তাদের কল্যাণধারা। মহানবী (সা.) বলেন, ‘মানুষ যখন মারা যায়, তখন তার সকল নেক আমলের পথ বন্ধ হয়ে যায়। শুধুমাত্র তিনটি পথ খোলা থাকে। এক. সদকায়ে জারিয়া তথা এমন দান যে দানের প্রতিদান সদা চলমান থাকে। দুই. এমন জ্ঞান, যা থেকে মানুষ উপকৃত হতে থাকে। তিন. সৎ সন্তান, যে আমৃত্যু তাঁর জন্য দোয়া করতে থাকে।’ (মুসলিম)
এই হাদিসের ব্যাখ্যায় আলেমরা বলেন, মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর মধ্য দিয়ে তার আমলের সমাপ্তি ঘটে। সওয়াব লাভের সব পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। তবে এ তিনটি বিষয়ের ক্ষেত্রে সওয়াব ও প্রতিদান বন্ধ হয় না। কারণ, এই বিষয়গুলোতে খুব গভীরভাবে সে জড়িয়ে আছে। (শরহুন নববি)
লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
প্রত্যেক মা-বাবা-ই সন্তানের নিরাপদ ও সুখী ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেন। পার্থিব দৃষ্টিকোণ থেকে সন্তানকে যেন কখনো অভাবে ভুগতে না হয়, সে জন্য মাথার ঘাম পায়ে ফেলেন। রাতদিন একাকার করে খেটে যান কলিজার টুকরো সন্তানের জন্য। এটা মানুষের স্বাভাবিক প্রকৃতি। ইসলাম এ ব্যাপারটিতে উৎসাহ দেয়। মহানবী (সা.) হজরত সাআদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.)-কে বলেছিলেন, ‘তোমার উত্তরাধিকারীদের সচ্ছল রেখে যাওয়া অসহায় রেখে যাওয়ার চাইতে অধিক উত্তম।’ (মুসলিম)
তবে দুঃখজনক বিষয় হলো, আজকাল সন্তানের নিরাপদ ভবিষ্যৎ নির্মাণের প্রয়াস লক্ষণীয় হলেও তাদের আখেরাত বিনির্মাণের চেষ্টা তেমন চোখে পড়ে না। অথচ পার্থিবভাবে তাকে স্বাবলম্বী করে তোলার চেয়েও অধিক গুরুত্বপূর্ণ হলো, তাদের সৎকর্মপরায়ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। কারণ সৎ সন্তানরাই মা-বাবার জন্য আল্লাহর দেওয়া অমূল্য সম্পদ ও নেয়ামত। যে সম্পদ হারিয়ে যাবে না কখনো। মৃত্যুর পরও অব্যাহত থাকবে তাদের কল্যাণধারা। মহানবী (সা.) বলেন, ‘মানুষ যখন মারা যায়, তখন তার সকল নেক আমলের পথ বন্ধ হয়ে যায়। শুধুমাত্র তিনটি পথ খোলা থাকে। এক. সদকায়ে জারিয়া তথা এমন দান যে দানের প্রতিদান সদা চলমান থাকে। দুই. এমন জ্ঞান, যা থেকে মানুষ উপকৃত হতে থাকে। তিন. সৎ সন্তান, যে আমৃত্যু তাঁর জন্য দোয়া করতে থাকে।’ (মুসলিম)
এই হাদিসের ব্যাখ্যায় আলেমরা বলেন, মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর মধ্য দিয়ে তার আমলের সমাপ্তি ঘটে। সওয়াব লাভের সব পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। তবে এ তিনটি বিষয়ের ক্ষেত্রে সওয়াব ও প্রতিদান বন্ধ হয় না। কারণ, এই বিষয়গুলোতে খুব গভীরভাবে সে জড়িয়ে আছে। (শরহুন নববি)
লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪