Ajker Patrika

অবশেষে আলো দেখছে মিথিলার মায়া

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

গত বছর পশ্চিমবঙ্গের বড় পর্দায় প্রথমবার দেখা গেছে রাফিয়াত রশিদ মিথিলাকে। তবে ‘আয় খুকু আয়’ সিনেমায় একটি গানেই সীমাবদ্ধ ছিল তাঁর উপস্থিতি। এবার এই অভিনেত্রী আসছেন পুরো সিনেমা নিয়ে। ৭ জুলাই মুক্তি পাচ্ছে তাঁর ‘মায়া’ সিনেমাটি। এতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মিথিলা।

এ সিনেমা দিয়েই টালিউডে কাজ শুরু করেছিলেন মিথিলা। অবশেষে সিনেমাটি আলোর মুখ দেখছে। তাই মায়া নিয়ে বেশ আশাবাদী এ অভিনেত্রী। পাশাপাশি কিছুটা নার্ভাসনেসও কাজ করছে বলে জানিয়েছেন মিথিলা।

পরিচালক রাজর্ষি দে মায়া সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন শেক্‌সপিয়ারের ‘ম্যাকবেথ’-এর ছায়া অবলম্বনে। গল্পের শুরু ১৯৮৯ সালের কলকাতা থেকে। আর শেষ হবে সাম্প্রতিক সময়ে। তুলে ধরা হবে সংখ্যালঘু এক ধর্ষিত নারীর ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প। এতে ভিন্ন বয়সের তিনটি আলাদা লুকে ধরা দেবেন মিথিলা।

নিজের চরিত্র নিয়ে মিথিলা বলেন, ‘আমাকে তিন বয়সের চরিত্রে দেখা যাবে। বর্তমান সময়ে দেখানো হচ্ছে পঞ্চাশোর্ধ্ব মহিলা। এ ছাড়া মায়ার ১৭-১৮ এবং ৩০ বছর বয়সের গল্পও আছে। কাজটি করতে গিয়ে  ভীষণ চ্যালেঞ্জিং মনে হয়েছিল। প্রথমত এটা কলকাতায় আমার প্রথম সিনেমা ছিল। আর যাঁরা কো-আর্টিস্ট ছিলেন তাঁদের সঙ্গে এর আগে কাজ করা হয়নি। তা ছাড়া যখন স্ক্রিপ্ট পড়ছিলাম, নিজেকে মায়া ভাবতে কষ্ট হচ্ছিল। ভীষণ কঠিন একটা চরিত্র। ওর ভেতরে অনেক কিছু চলতে থাকে, দেখে বোঝার উপায় নেই সে আসলে কে। লুক সেট হওয়ার আগপর্যন্ত দুশ্চিন্তা হচ্ছিল। মায়া কীভাবে তাকাবে, কীভাবে সংলাপ বলবে, আচরণ কেমন হবে ভাবছিলাম। কিন্তু কানেক্ট করতে পারছিলাম না। তবে লুক সেট করার পর মনে হলো, মায়া যেন আমার ওপর ভর করেছে।’

শুধু লুক নয়, এ সিনেমায় মিথিলার বেশির ভাগ সংলাপ ছিল হিন্দিতে। এ বিষয়ে মিথিলার ভাষ্য, ‘আমি ভালো হিন্দি বলতে পারি। তাই বেশি চর্চা করতে হয়নি।এর আগে একাত্তর নামের একটি সিরিজেও আমি হিন্দি ভাষায় সংলাপ বলেছি। তবে এবারের পরিধিটা বেশ বড়। আমি আনন্দ নিয়েই কাজটি করেছি। আমার যেসব বন্ধু হিন্দিতে কথা বলেন, তাঁরা ট্রেলার দেখে সংলাপ বলার প্রশংসা করেছেন।’

মিথিলা ছাড়াও এ সিনেমায় অভিনয় করেছেন কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, তনুশ্রী চক্রবর্তী, গৌরব চক্রবর্তী ও সুদীপ্তা চক্রবর্তীর মতো অভিনয়শিল্পীরা। এদিকে, কিছুদিন আগে গুঞ্জন ছড়িয়েছিল বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন সৃজিত মুখার্জি ও মিথিলা। এ বিষয়ে মিথিলা বলেন, ‘প্রতিবছর একবার করে আমাদের বিচ্ছেদের খবর আসে। এটা হচ্ছে ওই বাঘ এসেছে বাঘ এসেছে গল্পের মতো। সত্যি যদি বাঘ আসে, তাহলে তো সবাই জানতে পারবে। অকারণে এই গুঞ্জনের কোনো মানে নেই। আমরা তো কিছু বলছি না। এটা সত্যি যে নিজেদের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে আমাদের একসঙ্গে খুব একটা সময় কাটানো হচ্ছে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত