Ajker Patrika

ত্রাণের পণ্যেও গলাকাটা দাম

আয়নাল হোসেন, ঢাকা
ত্রাণের পণ্যেও গলাকাটা দাম

বন্যাকবলিত এলাকায় বিশুদ্ধ পানির জন্য হাহাকার চলছে। এই অবস্থায় ত্রাণ হিসেবে খাদ্য ও পোশাকের পাশাপাশি পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটও পাঠানো হচ্ছে বন্যার্তদের কাছে। আর এতে বাজারে বেড়ে গেছে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটের দাম। স্বাভাবিক সময়ে যে ট্যাবলেট এক বক্স (১০০ পিস) ১০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হতো, এখন তা কিনতে হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে।

পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটের পাশাপাশি শুকনো চিড়ার দামও বেড়েছে। ৬০ টাকা কেজির চিড়া এখন ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 
এভাবে দাম বাড়ানোর জন্য যথারীতি সরবরাহ সংকটের অজুহাত দেখাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। পুরান ঢাকার বাবুবাজারের মেসার্স আলিফ-লাম মিম মডেল ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী জাকির হোসেন রনি বলেন, বাজারে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটের তীব্র সংকট চলছে। সংকটের কারণে ১০০ টাকা বক্সের ট্যাবলেট ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিরা নিজেরা কিনে বাড়তি দামে বিক্রি করছেন।

গতকাল পুরান ঢাকার মিটফোর্ড, বাবুবাজার, ইসলামপুর, শাহবাগসহ বিভিন্ন ফার্মেসিতে খোঁজ করে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট পাওয়া যায়নি। দোকানিরা জানান, চাহিদা বাড়ায় একশ্রেণির ব্যবসায়ী ও দালালেরা এই ট্যাবলেট মজুত করে অস্বাভাবিক দামে বিক্রি করছে।
হেলথ কনজ্যুমার্স রাইট ফোরামের সদস্যসচিব ইবনুল সাঈদ রানা পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটের দাম বাড়ানোয় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এ মুহূর্তে বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট নিয়ে ছলচাতুরী চলবে না। 

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশে সোনিয়ার ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড ও অ্যামিকো ফার্মাসিউটিক্যালস পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট তৈরি ও বাজারজাত করে। তবে অ্যামিকো ফার্মার ট্যাবলেট এখন বাজারে নেই। বাজারে হঠাৎ চাহিদা দেখা দেওয়ায় সংকট তৈরি হয়েছে।

সোনিয়ার ল্যাবরেটরিজের সিনিয়র কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফারুক বলেন, বর্তমানে দৈনিক চাহিদা তিন-চার লাখ ট্যাবলেট। কিন্তু তৈরি হচ্ছে এক হাজারের মতো। আগে যাদের বিনা মূল্যে দেওয়া হয়েছিল, তারা বাড়তি দামে বিক্রি করছে।

এদিকে বাজারে খাওয়ার স্যালাইন, চিড়ার সংকট দেখা দিয়েছে। চিড়া বিক্রেতারা দাম বাড়ানোয় একে অপরকে দোষারোপ করছেন।
পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারের মুদিদোকানি সাইফুল ইসলাম বলেন, দুই সপ্তাহ আগেও তিনি প্রতি কেজি চিড়া ৬০ টাকায় বিক্রি করেছিলেন, বর্তমানে তা ৯০ টাকায় বিক্রি করছেন। 

এ বাজারের চিড়া বিক্রেতা আনিসুর রহমান বলেন, তাঁর দোকানে চিড়া নেই। তিন দিন ধরে বিক্রি বন্ধ রেখেছেন। আগে ২৫ কেজি ১ হাজার ৩০০ টাকায় কিনেছিলেন। এখন তা ২ হাজারে নিতে হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত