Ajker Patrika

৬০ জনকে আসামি করে মামলা, গ্রেপ্তার ১০

রামপাল (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২১, ১৪: ৪৫
৬০ জনকে আসামি করে মামলা, গ্রেপ্তার ১০

বাগেরহাটের রামপালে আওয়ামী লীগ কর্মী ফিরোজ শেখ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রামপাল থানায় মামলা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের তিন দিন পরে গত রোববার রাতে নিহত ফিরোজের স্ত্রী নাজমা বেগম বাদী হয়ে ৬০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০-১৫ জনকে আসামি করে এই মামলা দায়ের করেন। এ দিকে মামলার পরে পুলিশ ও র‍্যাব অভিযান চালিয়ে এ মামলার ১০ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।

গতকাল সোমবার বিকেলে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলার এজাহারভুক্ত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ ও র‍্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার কাস্টোবাড়িয়া ও শ্রীকলস এলাকার, মো. বজলু শেখ (২৫), ইমরান শেখ (২২), এনাম শেখ (৪২), সুমন শেখ (২১), সাগর গাজী (২২), মো. ফজলু শেখ (৪৫), ইনছান আলী (৭০), ডাবলু শেখ (২৪), সিরাজ শেখ (৫৫) এবং ইউনুস আলী (৩৪)।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রামপাল সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জামিল হাসান জামুকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা হত্যার পরিকল্পনা করে। কিন্তু চেয়ারম্যান জামুর সহযোগী ফিরোজ ঢালীর কারণে তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র বারবার ব্যর্থ হয়। এরই জের ধরে ফিরোজকে হত্যার পরিকল্পনা করে বেলাল-বাকি-মাহজিবসহ অন্যরা।

এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় শ্রীকলস গ্রামের আবু সাইদের বাড়ির সামনে বেলাল ব্যাপারী ও তাঁর ভাই বাকী ব্যাপারীসহ ৬০-৭০ জন ফিরোজ ঢালীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। পরে ফিরোজ জীবন বাঁচানোর জন্য দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে হামলাকারীরা পুনরায় তাঁকে ধরে ধারালো ছুরি, লোহার রড, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। পরে মৃত ভেবে হামলাকারীরা তাঁকে ফেলে রেখে যায়।

এ সময় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ফিরোজ ও তাঁর সঙ্গে থাকা হানিফকে উদ্ধার করে প্রথমে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তাঁদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই দিন দুপুর আড়াইটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফিরোজের মৃত্যু হয়। এই হামলায় আহত তিনজন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বলেন, আওয়ামী লীগ কর্মী ফিরোজ হত্যার ঘটনায় তাঁর স্ত্রী নাজমা বেগম ৬০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০-১৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলায় এজাহারভুক্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত