Ajker Patrika

জন্মনিবন্ধনে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
জন্মনিবন্ধনে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের ৪ নম্বর চর মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদে জন্মনিবন্ধনে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যানের ভাই আফসার উদ্দিন হিমেলের বিরুদ্ধে। জানা যায়, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদের জন্মনিবন্ধন সনদের কাজ করার দায়িত্ব দেন তাঁকে। যদিও ওই পরিষদে একজন উদ্যোক্তা রয়েছেন।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, জন্মনিবন্ধন সনদ করতে হলে ইউপি সচিব ও চেয়ারম্যানের আইডি ব্যবহার করা লাগে। যা লগিং করার পাসওয়ার্ড ছিল চেয়ারম্যানের ভাইয়ের কাছে। পরে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সচিব ও চেয়ারম্যানের পাসওয়ার্ড গত ৩০ আগস্ট উদ্যোক্তা ওমর ফারুককে দেন।

আবার চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে ১৯ সেপ্টেম্বর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে নিয়ে যান। আবারও উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ২৫ সেপ্টেম্বর পাসওয়ার্ড উদ্যোক্তাকে দেন। উদ্যোক্তাকে দিয়ে জন্মনিবন্ধন কাজ না করে চেয়ারম্যান তাঁর ভাইকে দিয়ে সেই কাজ করান। সেই সুবাদে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেন জন্মনিবন্ধন করতে আসা নিরীহ অভিভাবকদের কাছ থেকে।

বর্তমানে বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের ইউনিক আইডি-সংক্রান্ত কাজে ও ভোটার হালনাগাদের কাজে জন্মনিবন্ধন সনদ বাধ্যতামূলক হওয়ায় এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অভিভাবকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চর মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ।

স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জন্মের ৪৫ দিন থেকে ৫ বছর পর্যন্ত কোনো শিশুর জন্মনিবন্ধন সনদ ফি ২৫ টাকা এবং বয়স ৫ বছরের বেশি হলে ৫০ টাকা নিবন্ধন ফি নেওয়ার সরকারি নিয়ম রয়েছে। কিন্তু চেয়ারম্যানের ভাই হওয়ায় সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করে জন্মনিবন্ধন সনদ ফি বাবদ জনপ্রতি ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা নিচ্ছেন। চর মার্টিন দুই নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. নাজল হক অভিযোগ করেন, ছেলের জন্মনিবন্ধনের জন্য তাঁর কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা নিয়েছেন।

৮ নম্বর ওয়ার্ডের আরেক বাসিন্দা কালাম সরদার বলেন, তাঁর ছেলের জন্মনিবন্ধন করতে ৫০০ টাকা নিয়েছেন আফসার। আরেক ভুক্তভোগী রিয়াদ হোসেন জানান, তাঁর জন্মনিবন্ধন করতে ৫০০ টাকা আদায় করা হয়েছে।

চর মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘জন্মনিবন্ধনে হয়রানি বা অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ কেউ করেনি। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’

চর মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউছুফ আলী মিয়া বলেন, ‘সরকারি ফ্রির বাইরে ২০ টাকা নিতে বলেছি।’ অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়ে তিনি অস্বীকার করেন। 
কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুজ্জামান জানান, জন্মনিবন্ধনে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়: তিন দফা দাবিতে সোমবার মাঠে নামছেন শিক্ষার্থীরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত