Ajker Patrika

ওএমএসের চালের কার্ডে পক্ষপাতের অভিযোগ

নড়াইল প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২২, ১১: ১৬
Thumbnail image

নড়াইল সদর উপজেলার শেখহাটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য এরশাদ শেখের বিরুদ্ধে ওএমএসের চালের কার্ড বিতরণে পক্ষপাতের অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচনে যারা তাঁর প্রতিপক্ষের হয়ে কাজ করেছিলেন তাঁদের এ চালের কার্ড দেননি বলে জানা গেছে।

ইউপি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শেখহাটি ইউনিয়নে মোট ২১৭ জনকে ওএমএসের চাল কেনার কার্ড বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ৭৮টি কার্ড বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

৮ নম্বর ওয়ার্ডের পচিশা গ্রামের এনামুল মোল্লা বলেন, ‘আমার ৬০ নম্বর কার্ড। ১০ টাকা কেজি দরে মাসে ৩০ কেজি চাল পেতাম। বর্তমান মেম্বর এরশাদ শেখ নতুন করে কার্ড দেবার নাম করে আমার কার্ড নিয়ে গেছে। এ ছাড়া করোনার কার্ড দেবার নামে আমার কাছ থেকে ৫০ টাকা নিয়েছে। কার্ড চাইলে মেম্বর এখন কথা বলে না। ধমক দেয়।’

একই গ্রামের বিধবা চায়না বেগম (৫০) বলেন, ‘জায়গা জমি নেই। পরের জায়গায় ঝুপড়ি ঘরে থাকি। মেম্বরের কাছে আমি একখান কার্ড চাইছিলাম। কিন্তু দেয়নি।’

স্থানীয় মসজিদের ইমাম হাফেজ মো. শাহাবুদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ। আমাকে একখান কার্ড দেয়নি। কার্ড চাইলে অপমান করেন মেম্বর।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে গ্রামের কয়েকজন বলেন, গত ইউপি নির্বাচনে যারা মেম্বরের পক্ষে কাজ করেনি ভোটে জিতে যাওয়ার পর সেই পরিবারগুলোর কার্ড কেটে নেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে ইউপি সদস্য এরশাদ শেখ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যে পরিবারে একাধিক কার্ড রয়েছে যেমন বিধবাভাতা, বয়স্কভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ অন্যান্য এবং যাদের পরিবার একটু সচ্ছল শুধুমাত্র সেই পরিবারগুলোর কার্ড চেয়ারম্যানের নির্দেশে কর্তন করে অন্য দুস্থ পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।

শেখহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলক কুমার বিশ্বাস বলেন, আমার ইউনিয়নে এমনও পরিবার আছে যে পরিবারে একাধিক কার্ড রয়েছে। যাদের খোলা বাজার থেকে সবকিছু কেনার সামর্থ্য আছে। পরিষদের পক্ষ থেকে তদন্ত সাপেক্ষে যাচাই-বাছাই করে সেই সমস্ত পরিবারগুলোর কার্ড কর্তন করে অসহায় পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। এখানে কোনো প্রকার ছলচাতুরী করা হয়নি। যারা এ ধরনের অভিযোগ করছেন তা সঠিক নয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত