Ajker Patrika

লক্ষ্মীছড়িতে একজনের দুই স্ত্রী, দুজনেই পেলেন ঘর

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২১, ১৫: ১০
Thumbnail image

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের ঘর বিতরণে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে । সচ্ছল একই পরিবারে একাধিক ব্যক্তিকে ঘর দেওয়া হয়েছে সেখানে। একজনের দুই স্ত্রী, দুজনই পেয়েছেন দুটি ঘর। শুধু তাই নয়, পরিবর্তন করা হচ্ছে ঘরের নকশাও। নিয়ম অনুযায়ী ঘরের দৈর্ঘ্য সাড়ে ১৯ ফুট হলেও অনেকে ২৫ ফুট দৈর্ঘ্যের ঘরও নির্মাণ করিয়ে নিয়েছেন।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, লক্ষ্মীছড়ি সদর ইউনিয়নের ছিলাছড়ি এলাকার মৃত জববরুল ইসলামের একই পরিবারে চারজনকে চারটি ঘর দেওয়া হয়েছে। এরা হলেন মো. আজম প্রকাশ কালু, বোন হাছিনা বেগম, বোন নারগিছ আক্তার ও ভাগিনা সাইকুল আলম।

ওই গ্রামেরই আরেক বাসিন্দা মো. জাকির মোল্লার দুই স্ত্রীকেই দেওয়া হয়েছে দুটি ঘর। এক স্ত্রী জাহানারা বেগম থাকেন সদর ইউনিয়নের ছিলাছড়ি গ্রামে, অন্যজন নুর জাহান থাকেন একই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মহিষকাটা গ্রামে।

মো. জাকির মোল্লার ছিলাছড়ি গ্রামে থাকা স্ত্রী জাহানারা বেগম আবার নকশা পরিবর্তন করে ঘর একটু বড়ও করেছেন।

৩ ফুট বাড়িয়ে ঘর নিজের মত আরও কয়েকটা রুম বানিয়েছেন একই গ্রামের সাইকুল আলম। এ কাজে এক হাজার ইট, ২৮ বস্তা সিমেন্ট ৮ হাজার টাকা ও নিজের কাঠ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

নির্ধারিত নকশার চেয়ে ঘর ৩ ফুট বাড়িয়ে বড় করেছেন ছিলাছড়ি গ্রামের রাজু আহাম্মদ। এ জন্য এক হাজার ইট, ৩০ বস্তা সিমেন্ট ও ১০ হাজার টাকা ঠিকাদারকে দিয়েছেন তিনি। একইভাবে সরকারি ঘর ৩ ফুট বাড়িয়ে বড় করেছেন ইউসুপের স্ত্রী কমলা বেগম। তিনিও এ জন্য ১৫শ ইট এবং ২৭ বস্তা সিমেন্ট দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

লক্ষ্মীছড়িতে হত দরিদ্রদের ঘর নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুনীতির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে লক্ষীছড়ির ইউএনও মো. ইয়াসিন আজকের পত্রিকাকে জানান, লক্ষীছড়িতে ঘর নির্মাণে অনিয়ম দুনীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা হয়নি। তবে একাধিক ভাই বোন থাকলে তাদের পরিবার আলাদা থাকলে তারা ঘর পেতে পারেন। দুই স্ত্রী থাকলে দুজনে দুটি ঘর পাবেন না। ঘরের নকশা পরিবর্তন করার সুযোগ নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত