Ajker Patrika

অনলাইনে পণ্য বিক্রির নামে প্রতারণার ফাঁদ

হিরামন মণ্ডল সাগর, বটিয়াঘাটা
আপডেট : ১৮ জানুয়ারি ২০২২, ১০: ৫৩
অনলাইনে পণ্য বিক্রির নামে প্রতারণার ফাঁদ

খুলনার বটিয়াঘাটায় সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পণ্য বিক্রির নামে গ্রাহকদের প্রতারণা ফাঁদে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব প্রতারণার ফাঁদে পড়ে টাকা খোয়াচ্ছেন উঠতি বয়সী ও কিশোর-কিশোরীরা।

এ অবস্থায় ভুয়া অনলাইন পণ্য বিক্রির প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

অনলাইনে পণ্য বিক্রির এসব প্রতিষ্ঠানগুলো প্রথমে ক্রেতাদের জানায়, অর্ডার করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঠিকানায় অর্ডারকৃত মালামাল পৌঁছে দেওয়া হবে। অর্ডার করার পূর্বে অগ্রিম টাকাও নেয় তাঁরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নানা টালবাহানা করে পণ্য আর পৌঁছে দেয় না। এসব ঘটনায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উদাসীনতা রয়েছে বলেও ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে এসব অনলাইনে পণ্য বিক্রির প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা বলেন, আগে টাকা পাঠান। তারপরে পণ্য দেওয়া হবে।

উপজেলার কয়েকজন ভুক্তভোগী বলেন, বুকিং বাবদ টাকা পাঠালে মালামাল আর পাওয়া যায় না। পরে কল দিলে এই পাঠাচ্ছি, আজ নয় কাল এমন বলে ঘোরাতে থাকে। এভাবেই চলছে গ্রাম অঞ্চলে সোশ্যাল মিডিয়ার অনলাইন মার্কেটিং।

ভুক্তভোগী রানা নামের এক যুবক বলেন, ‘আমি ‘ধারা শপ’ নামের একটি অনলাইনে পণ্য বিক্রির প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞাপন দেখে একটি মোবাইল অর্ডার করি। যার মূল্য ৪ হাজার ১০০ টাকা। তাঁরা বলে বুকিং করতে হলে অগ্রিম ৫০০ টাকা বিকাশে দিতে হবে। সেই মোতাবেক আমি তাদের একটি নম্বরে ৫০০ টাকা পাঠাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘পরের দিন আমার মোবাইল ডেলিভারি দেওয়ার কথা। যথাসময়ে পরদিন সকাল ১১টার সময় একটি নম্বর থেকে আমার নম্বরে সজিব পরিচয় দিয়ে একজন কল দেন। তিনি বলেন, আমি খুলনার নিউ মার্কেটে এসেছি। আপনি বাকি টাকাটা আমাদের অনলাইনের ওই নম্বরে পেমেন্ট করে আমার সঙ্গে দেখা করুন। তারপর আমি আপনার মোবাইলটি দেব।’

তিনি আরও বলেন, ‘তখন আমি কারণ জানতে চাইলে তাঁরা বলে এটা একটি কান্ট্রি কোড দিয়ে মোবাইল খুলতে হয়। তাই আপনি টাকাটা পেমেন্ট করে কান্ট্রি কোডটা আমাকে বলবেন। আমি টাকা পাঠানোর পর আমার কাছে কোনো কান্ট্রি কোড আসেনি। আর পরিশোধ করা টাকাও ফেরত পাইনি। শুধু আমি একাই নই। আমার এলাকার আক্তারুল, ইমরান, অজিত রায়সহ বেশ কিছু বন্ধুরা এসব অনলাইন মার্কেটিংয়ের প্রতারণার শিকার হয়েছেন।’

এ বিষয়ে ‘ধারা শপ’ কোম্পানির কর্মকর্তা আল রুমার কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর ফোন কেটে দেন। পরে একাধিকবার কল দিয়ে তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মমিনুর রহমান বলেন, ‘এসব অনলাইন প্রতারকদের বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইম আইনে মামলা করা যেতে পারে। যদি কোনো ব্যক্তি অভিযোগ দেয় সে ক্ষেত্রে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জেলা গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘দেশে প্রতারক চক্রের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এদের নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন। তারপরও আমরা বসে নেই। এসব চক্রের সদস্যদের তদন্ত সাপেক্ষে আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে। ভুক্তভোগীরা আমাদের কাছে অভিযোগ দিলে অবশ্যই তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জোরপূর্বক অপুর স্বীকারোক্তি নিয়েছেন বিএনপির ইশরাক, এনসিপির ব্যবস্থা করা সংবাদ সম্মেলনে দাবি স্ত্রীর

‘মিরপুরের উইকেটের পাশে পুঁইশাক বের হচ্ছে, এত বছর হয়নি কেন’

ভোররাতে হাঁসের মাংস খেতে ৩০০ ফুটে যান আসিফ মাহমুদ, না পেয়ে যান ওয়েস্টিনে

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ভুলভাবে কথা বলেছেন: প্রেস সচিব

নীলা মার্কেটের হাঁসের মাংস নাকি ওয়েস্টিনের—কোনটি সেরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত