Ajker Patrika

চালের দামও বাড়াল ডলার!

মিলন উল্লাহ, কুষ্টিয়া
আপডেট : ০৪ আগস্ট ২০২২, ১২: ১০
চালের দামও বাড়াল ডলার!

কুষ্টিয়ায় চালের বাজার আবারও অস্থিতিশীল। ভারত থেকে আমদানির খবরে বাজার কিছুটা স্থিতিশীল হলেও সপ্তাহ ব্যবধানে সব ধরনের চালে কেজিতে বেড়েছে দুই টাকা করে।

এদিকে কিছুদিন পরপর এভাবে চালের দাম বাড়ায় ক্রেতাদের পাশাপাশি বিপাকে খুচরা বিক্রেতারাও।

গতকাল বুধবার সকালে কুষ্টিয়ার খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ৬৮ থেকে ৭০ কেজি দরে। যা সাত দিন আগেও ছিল ৬৬ থেকে ৬৮ টাকা। কাজল লতা ৫৮ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকায়, আটাশ ৫০ থেকে বেড়ে ৫২ টাকায় এবং বাঁশমতি ৭৮ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে এর আগে কয়েক দফায় মিলমালিক, আড়তদার এবং খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টরা। মিলে চালানো হয়েছে অভিযান। করা হয়েছে জরিমানাও। খাদ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে চালের দাম আর না বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন চাল ব্যবসায়ী। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই আবারও বাড়ল চালের দাম।

কুষ্টিয়ার পৌরবাজারের খুচরা চাল ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারের চাল আমদানির সিদ্ধান্তের পর বাজার কিছুটা স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু ৮ থেকে ১০ দিনের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে দুই টাকা বেড়েছে। সামনের দিকে আরও বাড়তে পাড়ে।’

কালাচাঁদ স্টোরের মালিক কালাচাঁদ বলেন, ‘আমরা যে দামে চাল বিক্রি করি সেই দাম চার্টে ঝুলিয়ে রাখতে হয়। এখানে কারসাজির কোনো সুযোগ নেই। ধানের দাম বৃদ্ধি এবং ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে চালের দাম বাড়ছে।’

হাবিবুর নামে আরেক দোকানি বলেন, ‘বাইরে থেকে যে চাল আমদানি করা হলো সেই চাল বাজারে এখানো চোখে পড়েনি। তাহলে আমদানি করে লাভ হলো কী।’

এদিকে দফায় দফায় চালের মূল্য বৃদ্ধিতে চরম বিপাকে পড়েছে জেলার নিম্ন আয়ের মানুষ। শুধু চালই নয় নিত্য প্রয়োজনীয় সবকিছুর দাম বাড়ায় তাদের জীবনযাপন করাই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। জানতে চাইলে দেলোয়ার নামের এক রিকশাচালক বলেন, ‘দিনে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা আয় করি। চারজনের সংসার। দুই কেজি চাল, একটু তেল কিনতে গেলেই উপার্জনের সব টাকা ফুরিয়ে যায়। সবকিছুর দাম বাড়ছে। তরকারির কথা না হয় বাদই দিলাম। কীভাবে সংসারের সদস্যদের মুখে চারটে ভাত তুলে দেব সেটাই এখন চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

এসব বিষয়ে জেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন প্রধান বলেন, ‘বর্তমানে দেশের বাজারে চাহিদা মতো ধান পাওয়া যাচ্ছে না। যে পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে তার দামও অনেক বেশি। এ ছাড়া চাল আমদানির অনুমতির পর থেকেই ডলারের দাম অনেকটাই বেড়েছে, ফলে বাইরে থেকে আমদানি করতে গেলেও দাম দেশে উৎপাদিত চালের মতোই পড়ে যাচ্ছে। এ জন্য ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে চাল আমদানি করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।’

তিনি আরও বলেন, ‘এসবে প্রভাব পড়ছে চালের বাজারে। নতুন ধান বাজারে না আসা পর্যন্ত এ অবস্থার পরিবর্তন হবে না।’

জেলা প্রশাসক সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বাজারে নজরদারি বাড়িয়েছি। কাল (বৃহস্পতিবার) থেকেই তদারকি দল বাজারে কাজ করবে। এরপরও কেউ কারসাজি করে চালের বাজার অস্থির করার চেষ্টা করলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রুয়া নির্বাচন: বিএনপিপন্থীদের বর্জন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জামায়াতপন্থী ২৭ জন নির্বাচিত

সৌদি আরবের কেনা ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলকে দেওয়ার অনুরোধ যুক্তরাষ্ট্রের, প্রত্যাখ্যান করে কিসের ইঙ্গিত দিল রিয়াদ

‘পাপ কাহিনী’র হাত ধরে দেশের ওটিটিতে ফিরল অশ্লীলতা

আওয়ামী লীগ নেতাকে ধরতে গিয়ে ছেলের বঁটির আঘাতে এসআই আহত, আটক ২

সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় সমন্বয়ক পরিচয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি, আটক ৫

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত