Ajker Patrika

ফ্রাঁসোয়া রোলাঁ ত্রুফো

সম্পাদকীয়
ফ্রাঁসোয়া রোলাঁ ত্রুফো

ফ্রাঁসোয়া রোলাঁ ত্রুফো ছিলেন ফরাসি চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, প্রযোজক, অভিনেতা ও চলচ্চিত্র সমালোচক। চলচ্চিত্রের দুনিয়ায় যা ‘ফরাসি নবতরঙ্গ’ নামে পরিচিত, সেই আন্দোলনের সামনের সারির একজন কুশীলব ত্রুফো।

তিনি জন্মেছেন ১৯৩২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ফ্রান্সের প্যারিসে। ১৯৫০ সালে ১৮ বছর বয়সে ত্রুফো ফরাসি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন।সেনাবাহিনী ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার অপরাধে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৯৪৮ সালে নিজের চলচ্চিত্র ক্লাব শুরুর পর অঁদ্রে বাজাঁর সঙ্গে পরিচিত হন তিনি। তাঁর পেশাদারি ও ব্যক্তিগত জীবনে বাজাঁর ব্যাপক প্রভাব ছিল। বাজাঁ ছিলেন একজন চলচ্চিত্র সমালোচক এবং একটি চলচ্চিত্র সমিতির প্রধান। ত্রুফোর সঙ্গে গভীর বন্ধুত্বের কারণে তিনি ত্রুফোকে বিভিন্ন রকমের আর্থিক সহায়তা প্রদান করতেন।

বাজাঁর রাজনৈতিক যোগসূত্রের মাধ্যমে ত্রুফোকে জেল থেকে ছাড়িয়ে নেন এবং তাঁকে তাঁর নব্যপ্রতিষ্ঠিত চলচ্চিত্র সাময়িকী ‘কাইয়ে দ্যু সিনেমায়’ চাকরি দেন। পরবর্তী কয়েক বছরের মধ্যে তিনি এই পত্রিকার সিনেমা সমালোচক হিসেবে পরিচিতি পান। পরবর্তী সময়ে তিনি পত্রিকাটির সম্পাদক হন। সেখানে তিনি তাঁর নিষ্ঠুর ও নির্দয় পর্যালোচনার জন্য এমনই খ্যাত হয়ে ওঠেন যে, একপর্যায়ে তাঁকে ‘ফরাসি চলচ্চিত্রের গোরখোদক’ নাম দেওয়া হয়। তিনিই একমাত্র ফরাসি সমালোচক ছিলেন, যাকে ১৯৫৮ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

মাত্র ২৫ বছরের কর্মজীবন ছিল ত্রুফোর। বৈশ্বিক এই ফিল্ম আইকন জীবদ্দশায় চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন ২৫টি। প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্র ছিল ‘দ্য ফোর হান্ড্রেড ব্লোজ’ (১৯৫৯)। এরপর একে একে তিনি নির্মাণ করেছেন ‘শুট দ্য পিয়ানো প্লেয়ার’ (১৯৬০), ‘জুলস অ্যান্ড জিম’ (১৯৬১), ‘দ্য ওয়াইল্ড চাইল্ড’ (১৯৭০), ‘টু ইংলিশ গার্লস’ (১৯৭১), ‘ডে ফর নাইট’ (১৯৭৩), ‘দ্য ওম্যান নেক্সট ডোর’ (১৯৮১) ইত্যাদি সব চমৎকার চলচ্চিত্র।

১৯৮৪ সালের ২১ অক্টোবর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত