Ajker Patrika

প্রশস্ত হচ্ছে গ্রামীণ রাস্তা

মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৩: ১০
Thumbnail image

খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার দুর্গম এলাকায় এক সময় বাজারে যাওয়া-আসার জন্য গ্রামীণ সড়কই ভরসা ছিল। অনুন্নত এসব সড়ক দিয়ে উপজেলা সদরেও যাতায়াত করতে হতো স্থানীয় বাসিন্দাদের। বর্তমানে অতিদরিদ্রেদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) প্রকল্পের মাধ্যমে দুর্গম এলাকায় বদলে যাচ্ছে গ্রামীণ অবকাঠামো।

বিশেষ করে যেখানে গ্রামীণ সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী ছিল, সেখানে ইজিপিপি প্রকল্পের মাধ্যমে সড়কগুলো চলাচলের উপযুক্ত করা হচ্ছে। সড়কের আশপাশে জঙ্গল কেটে রাস্তা প্রশস্ত করা হচ্ছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় ও ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি), ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর তৃণমূলের (আন্তসড়ক ও গ্রামীণ) সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করছে। এর আগে জনপদের একেবারে অনুন্নত এলাকায় কাবিখা, কাবিটা ও ৪০ দিনের প্রকল্পে অতিদরিদ্র নারী ও পুরুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতো। আর প্রকল্প বাস্তবায়নে পাল্টে যেত জনপদের চিত্র। এভাবেই প্রতিটি জনপদের গ্রামীণ সড়কে আমূল পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগে।

ইজিপিপি প্রকল্পের অধীনে সড়কে কাজ করছেন শ্রমিকেরা। সম্প্রতি মানিকছড়ির তিনটহরী ইউপির রাইংগ্যাপাড়া-পূর্ব তিনটহরী সড়ক থেকে তোলা ছবিসম্প্রতি এসব প্রকল্পের আদলে শুরু হয়েছে গ্রামের অতিদরিদ্রের কর্মসংস্থানে কর্মসূচি (ইজিপিপি)। মূলত ৪০ দিনের প্রকল্পের আদলে এই কর্মসূচিতে এলাকার অতিদরিদ্ররা দৈনিক হাজিরা হিসেবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। উপজেলার চারটি ইউনিয়নের ২৩টি অনুন্নত গ্রামীণ রাস্তাকে জনচলাচল উপযোগী করতে ইজিপিপি প্রকল্পে প্রথম পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এতে ৫১১ জন অতিদরিদ্র নারী-পুরুষের শ্রমের বিনিময়ে আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। জনপ্রতি দৈনিক ৪০০ টাকা নিজস্ব মোবাইল অ্যাকাউন্টে কয়েক ধাপে শ্রমিকেরা মজুরি পাবেন।

তিনটহরী ইউপির রাইগ্যাপাড়া-পূর্ব তিনটহরী সড়কে গত বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, এই অনুন্নত পাড়ার হেঁটে চলার সরু রাস্তাটি প্রশস্তকরণে মাটি কাটছেন ১৬ জন নারী-পুরুষ। এ সময় আনুমা মারমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই গ্রামের শতাধিক মানুষ হেঁটে গ্রামীণ সড়কে গিয়ে মোটরসাইকেলে হাটবাজারে যাওয়া-আসা করত। এখন মাটির কাজ হয়ে গেলে বাড়িতেই গাড়ি আসবে। ছেলে-মেয়েরা অনায়াসে স্কুলে যেতে পারবে।’

এ সময় ইউপি সদস্য মো. জাহাঙ্গীর হোসেনকে কাজ তদারকি করতে দেখা গেছে। তিনি বলেন, ‘আমার এই ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রত্যন্ত এলাকার পাড়া বা গ্রামে যাতায়াতের সরু রাস্তা এই প্রকল্পে জনচলাচল উপযোগী করা হবে।’

ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম বলেন, ‘গ্রামীণ সড়কের মধ্যে একেবারে মানুষের দোরগোড়ায় যাওয়ার রাস্তাঘাটে উন্নয়নের ছোঁয়ার অংশ হিসেবে ইজিপিপি প্রকল্পে এই ইউপিতে প্রথম পর্যায়ে আটটি প্রকল্প দেওয়া হয়েছে।’

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন বলেন, এতে সত্যিই পাল্টে যাবে গ্রামীণ জনপদের জীবনচিত্র। শ্রমিকরা জনপ্রতি প্রতিদিন ৪০০ টাকা হারে সপ্তাহ/পক্ষকাল ও মাসিক কিস্তিতে নিজস্ব মোবাইল অ্যাকাউন্টে টাকা পাবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত