সাঈম শামস্
ঈদ মানেই বর্ণিল পাঞ্জাবির বিপুল সমাহার। এটি পুরুষের অন্যতম পছন্দের পোশাক। পাঞ্জাবি ছাড়া অনেকে ঈদের কথা ভাবতেই পারে না। তবে যথাযথ যত্নের অভাব কিংবা ভুল পদক্ষেপের কারণে পাঞ্জাবির সৌন্দর্য ম্লান হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। কীভাবে পাঞ্জাবির যত্ন নেবেন, জেনে নিন।
বারবার ধোয়া নয়
পাঞ্জাবি যত ধোয়া হবে এর কাপড় তত মলিন হবে। ততই এর ঝকমকে, অভিজাত লুকটি মিইয়ে যাবে। তাই ঘন ঘন পাঞ্জাবি ধোয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এর গায়ে কোনো দাগ পড়লে নির্দিষ্টভাবে সেই দাগ দূর করার চেষ্টা করতে হবে। তেলযুক্ত খাবার বা ময়লার কারণে দাগ পড়লে সেটা পরিষ্কার করার জন্য ১ চা-চামচ ডিশওয়াশিং ডিটারজেন্টের সঙ্গে ১ কাপ ঠান্ডা পানি মিশিয়ে, তাতে কটন বাড ডুবিয়ে নিয়ে সেটা দিয়ে ধীরে ধীরে দাগ পরিষ্কার করা যাবে। এতে কাজ না হলে একটি সাদা কাপড় বা পেপার টাওয়েল দিয়ে দাগ তোলার চেষ্টা করতে হবে।
নির্দেশনা মেনে
বিভিন্ন মানসম্মত ব্র্যান্ডের পাঞ্জাবির ঘাড়ের দিকে একধরনের স্টিকার থাকে। পাঞ্জাবি ধোয়ার আগে সেই স্টিকারটি দেখে নিন। স্টিকারে পাঞ্জাবির কাপড়-সংক্রান্ত তথ্য ও কীভাবে নিরাপদে পরিষ্কার করা যাবে, সে ব্যাপারে ছবি বা লেখাসহযোগে ইঙ্গিত দেওয়া থাকে। পাঞ্জাবি ধোয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা না থাকলে হাত দিয়ে ধোয়ার চেষ্টা করবেন। ওয়াশিং মেশিনের চেয়ে হাত দিয়ে ধোয়া বেশি কার্যকর ও নিরাপদ।
বোতাম বুঝে
পাঞ্জাবিতে ধাতব বোতাম বা ধাতব কোনো অলংকরণ থাকলে সেই পাঞ্জাবি ধোয়ার ক্ষেত্রে সাবধান হতে হবে। সাবান বা ওয়াশিং পাউডারের সঙ্গে পাঞ্জাবিতে থাকা ধাতব জিনিস অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বিক্রিয়া করতে পারে। ধাতব জিনিসের দাগ পাঞ্জাবিতে লেগে যেতে পারে, ধাতব অলংকার বা বোতামটির সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে, ক্ষয়ে যেতে পারে বা মরিচা পড়তে পারে। এ ক্ষেত্রে সম্ভব হলে পাঞ্জাবি থেকে ধাতব বস্তুগুলো খুলে নিয়ে ধোয়া যেতে পারে। এ ছাড়া ওয়াশিং মেশিনে পাঞ্জাবি ধোয়ার সময় সেগুলো ছিটকে গিয়ে ওয়াশিং মেশিনে যান্ত্রিক ত্রুটি সৃষ্টি করতে পারে। তাই ধোয়ার আগেই ধাতব বস্তুগুলো খুলে নেওয়া উত্তম।
ড্রাই ওয়াশ
বিভিন্ন পাঞ্জাবির বুকে, পিঠে ও হাতের কবজির অংশে পুঁতি, চকমকি ইত্যাদি দিয়ে কারুকাজ করা থাকে। এ ধরনের পাঞ্জাবি সাধারণভাবে না ধুয়ে, ড্রাইওয়াশ করতে হবে। সাধারণ প্রক্রিয়ায় ধুলে এর কাপড় থেকে পুঁতি, চকমকি ইত্যাদি ঝরে বা খুলে যেতে পারে। এখানে উল্লেখ্য, ড্রাই-ক্লিন করতে চাইলে এয়ার-ড্রাই করার চেষ্টা করবেন। হট-ড্রাই করতে গেলে পাঞ্জাবির কাপড়ে থাকা পুঁতি, চকমকির আঠা আলগা হয়ে খুলে আসতে পারে।
পরার আগে ইস্তিরি
পাঞ্জাবি পরার আগে অবশ্যই ইস্তিরি করে নেবেন। দোমড়ানো-কুঁচকানো পাঞ্জাবি আপনার সৌন্দর্যহানি ঘটাবে। তবে পাঞ্জাবির কাপড়ের নিরাপত্তার স্বার্থে কম তাপমাত্রা সেট করে ইস্তিরি করা ভালো। চাইলে ক্লথ-স্টিমারও ব্যবহার করতে পারেন।
ঠান্ডা পানি ব্যবহার
গরম পানিতে পাঞ্জাবি ধুলে রং চলে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি। তাই ঠান্ডা পানিতে পাঞ্জাবি ধুতে হবে।
রঙের বিষয়ে সতর্কতা
পাঞ্জাবির সঙ্গে একই বালতিতে বা ওয়াশিং মেশিনে অন্য কী কী কাপড় ধুচ্ছেন, সে-ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। নইলে অন্য কাপড় থেকে রং উঠে আপনার পছন্দের পাঞ্জাবিতে লেগে সর্বনাশ হয়ে যেতে পারে।
হালকা রোদে শুকান
দুপুরের প্রখর রোদে পাঞ্জাবি শুকোতে দেবেন না। এতে রং জ্বলে যেতে পারে। পাঞ্জাবি ধোয়ার পর সরাসরি প্রখর রোদের নিচে মেলে না দিয়ে বরং হালকা রোদ ও বাতাস আছে এ রকম জায়গায় মেলে দিন।
ঘাম শুকিয়ে নিন
ঘামে ভেজা পাঞ্জাবি ভাঁজ করে রাখবেন না। রাখলে এতে দুর্গন্ধ হবে এবং ঘাম শুকোনোর পর সাদা রঙের দাগ পড়ে যাবে। ঘর্মাক্ত পাঞ্জাবি হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে বাতাসে শুকিয়ে নিন।
ঈদ মানেই বর্ণিল পাঞ্জাবির বিপুল সমাহার। এটি পুরুষের অন্যতম পছন্দের পোশাক। পাঞ্জাবি ছাড়া অনেকে ঈদের কথা ভাবতেই পারে না। তবে যথাযথ যত্নের অভাব কিংবা ভুল পদক্ষেপের কারণে পাঞ্জাবির সৌন্দর্য ম্লান হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। কীভাবে পাঞ্জাবির যত্ন নেবেন, জেনে নিন।
বারবার ধোয়া নয়
পাঞ্জাবি যত ধোয়া হবে এর কাপড় তত মলিন হবে। ততই এর ঝকমকে, অভিজাত লুকটি মিইয়ে যাবে। তাই ঘন ঘন পাঞ্জাবি ধোয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এর গায়ে কোনো দাগ পড়লে নির্দিষ্টভাবে সেই দাগ দূর করার চেষ্টা করতে হবে। তেলযুক্ত খাবার বা ময়লার কারণে দাগ পড়লে সেটা পরিষ্কার করার জন্য ১ চা-চামচ ডিশওয়াশিং ডিটারজেন্টের সঙ্গে ১ কাপ ঠান্ডা পানি মিশিয়ে, তাতে কটন বাড ডুবিয়ে নিয়ে সেটা দিয়ে ধীরে ধীরে দাগ পরিষ্কার করা যাবে। এতে কাজ না হলে একটি সাদা কাপড় বা পেপার টাওয়েল দিয়ে দাগ তোলার চেষ্টা করতে হবে।
নির্দেশনা মেনে
বিভিন্ন মানসম্মত ব্র্যান্ডের পাঞ্জাবির ঘাড়ের দিকে একধরনের স্টিকার থাকে। পাঞ্জাবি ধোয়ার আগে সেই স্টিকারটি দেখে নিন। স্টিকারে পাঞ্জাবির কাপড়-সংক্রান্ত তথ্য ও কীভাবে নিরাপদে পরিষ্কার করা যাবে, সে ব্যাপারে ছবি বা লেখাসহযোগে ইঙ্গিত দেওয়া থাকে। পাঞ্জাবি ধোয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা না থাকলে হাত দিয়ে ধোয়ার চেষ্টা করবেন। ওয়াশিং মেশিনের চেয়ে হাত দিয়ে ধোয়া বেশি কার্যকর ও নিরাপদ।
বোতাম বুঝে
পাঞ্জাবিতে ধাতব বোতাম বা ধাতব কোনো অলংকরণ থাকলে সেই পাঞ্জাবি ধোয়ার ক্ষেত্রে সাবধান হতে হবে। সাবান বা ওয়াশিং পাউডারের সঙ্গে পাঞ্জাবিতে থাকা ধাতব জিনিস অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বিক্রিয়া করতে পারে। ধাতব জিনিসের দাগ পাঞ্জাবিতে লেগে যেতে পারে, ধাতব অলংকার বা বোতামটির সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে, ক্ষয়ে যেতে পারে বা মরিচা পড়তে পারে। এ ক্ষেত্রে সম্ভব হলে পাঞ্জাবি থেকে ধাতব বস্তুগুলো খুলে নিয়ে ধোয়া যেতে পারে। এ ছাড়া ওয়াশিং মেশিনে পাঞ্জাবি ধোয়ার সময় সেগুলো ছিটকে গিয়ে ওয়াশিং মেশিনে যান্ত্রিক ত্রুটি সৃষ্টি করতে পারে। তাই ধোয়ার আগেই ধাতব বস্তুগুলো খুলে নেওয়া উত্তম।
ড্রাই ওয়াশ
বিভিন্ন পাঞ্জাবির বুকে, পিঠে ও হাতের কবজির অংশে পুঁতি, চকমকি ইত্যাদি দিয়ে কারুকাজ করা থাকে। এ ধরনের পাঞ্জাবি সাধারণভাবে না ধুয়ে, ড্রাইওয়াশ করতে হবে। সাধারণ প্রক্রিয়ায় ধুলে এর কাপড় থেকে পুঁতি, চকমকি ইত্যাদি ঝরে বা খুলে যেতে পারে। এখানে উল্লেখ্য, ড্রাই-ক্লিন করতে চাইলে এয়ার-ড্রাই করার চেষ্টা করবেন। হট-ড্রাই করতে গেলে পাঞ্জাবির কাপড়ে থাকা পুঁতি, চকমকির আঠা আলগা হয়ে খুলে আসতে পারে।
পরার আগে ইস্তিরি
পাঞ্জাবি পরার আগে অবশ্যই ইস্তিরি করে নেবেন। দোমড়ানো-কুঁচকানো পাঞ্জাবি আপনার সৌন্দর্যহানি ঘটাবে। তবে পাঞ্জাবির কাপড়ের নিরাপত্তার স্বার্থে কম তাপমাত্রা সেট করে ইস্তিরি করা ভালো। চাইলে ক্লথ-স্টিমারও ব্যবহার করতে পারেন।
ঠান্ডা পানি ব্যবহার
গরম পানিতে পাঞ্জাবি ধুলে রং চলে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি। তাই ঠান্ডা পানিতে পাঞ্জাবি ধুতে হবে।
রঙের বিষয়ে সতর্কতা
পাঞ্জাবির সঙ্গে একই বালতিতে বা ওয়াশিং মেশিনে অন্য কী কী কাপড় ধুচ্ছেন, সে-ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। নইলে অন্য কাপড় থেকে রং উঠে আপনার পছন্দের পাঞ্জাবিতে লেগে সর্বনাশ হয়ে যেতে পারে।
হালকা রোদে শুকান
দুপুরের প্রখর রোদে পাঞ্জাবি শুকোতে দেবেন না। এতে রং জ্বলে যেতে পারে। পাঞ্জাবি ধোয়ার পর সরাসরি প্রখর রোদের নিচে মেলে না দিয়ে বরং হালকা রোদ ও বাতাস আছে এ রকম জায়গায় মেলে দিন।
ঘাম শুকিয়ে নিন
ঘামে ভেজা পাঞ্জাবি ভাঁজ করে রাখবেন না। রাখলে এতে দুর্গন্ধ হবে এবং ঘাম শুকোনোর পর সাদা রঙের দাগ পড়ে যাবে। ঘর্মাক্ত পাঞ্জাবি হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে বাতাসে শুকিয়ে নিন।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪