Ajker Patrika

মধ্যরাতেও মুখর বিপণিবিতান

সিলেট প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২২, ১০: ৫১
Thumbnail image

তখন রাত ১২টা, নগরীর অভিজাত ফ্যাশন হাউস মাহা-তে পা ফেলার জায়গা নেই। কেউ পোশাক কিনছেন, কেউ কসমেটিকস, কেউবা গয়না।

জামা কিনতে এসেছে নাবিহাত (১২)। নির্ঘুম চোখে মা-বাবার সঙ্গে দিব্যি ঘুরে ঘুরে ঈদের কেনাকাটা করছে সে। নাবিহাত বলে, ‘দিনে আব্বু-আম্মু ব্যস্ত থাকেন, তাই আমরা রাতে এসেছি ঈদের শপিং করতে।’

ফ্যাশন হাউস মাহার মতো নগরীর ছোট-বড় সব মার্কেট, শপিংমল, দোকান এখন ক্রেতায় ভরপুর। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে কেনাকাটা। গত কয়েক দিন ধরে ভরদুপুরের মতো মধ্যরাতেও নগরীর জিন্দাবাজার, নয়াসড়ক এলাকায় দীর্ঘসময় থাকে যানজট।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে টানা দুই বছর সিলেটে জমেনি ঈদবাজার। এ বছর করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় রোজার আগে থেকেই ক্রেতা আকর্ষণে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে সাজসজ্জাসহ নানা প্রস্তুতি নেন ব্যবসায়ীরা। তবে রোজার শুরুর দিকে খুব একটা ক্রেতাসমাগম না হলেও গত কয়েক দিন ধরে নতুন জামা-কাপড় কিনতে ভিড় করছেন ক্রেতারা।

গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে নগরীর জিন্দাবাজারের ব্লু-ওয়াটার শপিং সিটি, আল-হামরা শপিং সেন্টার, শুকরিয়া মার্কেট, মধুবন সুপার মার্কেটসহ বেশ কয়েকটি শপিংমল ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতাদের ভিড়। বাহারি ডিজাইনের পোশাক বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিক্রেতারা। গতকাল শনিবারও নগরীর মার্কেটগুলোতে ছিল ক্রেতাদের ভিড়। নগরীর অভিজাত ফ্যাশনপাড়া হিসেবে পরিচিত কুমারপাড়া ও নয়াসড়ক এলাকায়ও ছিল ক্রেতা সমাগম। তবে ওই এলাকার ব্যবসায়ীরা জানান, দিনের চেয়ে রাতে ক্রেতারা বেশি আসেন এই এলাকার মার্কেট ও শপিংমলগুলোতে।

এদিকে ঈদবাজারকে কেন্দ্র করে বর্ণিল সাজে সেজেছে সিলেট নগরী। নগরীর প্রতিটি মার্কেট আর শপিংমলে করা হয়েছে আলোকসজ্জা। শুধু মার্কেট আর শপিংমলে নয় আলোকসজ্জা করা হয়েছে সড়কেও। এসব আলোকসজ্জাও ক্রেতাদের শপিং করতে আকৃষ্ট করছে।

নগরীর জিন্দাবাজারের ব্লু ওয়াটার শপিং সিটিতে ঈদের পোশাক কিনতে আসা সামিয়া রিমি বলেন, ‘গত বছর করোনা থাকায় মার্কেটে আসতে পারিনি। তাই এবার সবকিছু স্বাভাবিক থাকায় শপিং করতে চলে এসেছি। আমরা দুবোন অরগেন্জা টিস্যু ড্রেস কিনেছি। ড্রেস কেনার পাশাপাশি আমরা প্রচুর ঘোরাঘুরিও করতেছি।’

মাহা ফ্যাশন হাউসের ব্যবস্থাপক আব্দুল কাদির বলেন, ‘বিক্রি অনেক ভালো হচ্ছে। অনেক ক্রেতা আসছেন। আমরা সাধ্যমতো সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। নতুন ট্রেন্ডি পোশাকসহ বাহারি পণ্য আমরা ক্রেতাদের সরবরাহ করছি। মধ্যরাত পর্যন্ত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখছি ক্রেতাদের সুবিধার্থে।’

আরেকটি অভিজাত শপিংমল আল হামরা শপিং সিটির ব্যবসায়ী আমির হোসেন বলেন, সিলেটবাসী কেনাকাটা শুরু করেছেন। রাত আটটার পর থেকে পুরো মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড় লেগে থাকে রাত একটা থেকে দুইটা পর্যন্ত। দিনের বেলাও কিছু ক্রেতা আসেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত