Ajker Patrika

মামলা নিয়ে ‘নীরব’ বিএনপি

সাবিত আল হাসান, নারায়ণগঞ্জ
আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১০: ৫১
মামলা নিয়ে ‘নীরব’ বিএনপি

বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির ভূমিকায় থাকা বিএনপি আন্দোলন সংগ্রামে একসময় নারায়ণগঞ্জে উঠে আসত গুরুত্বসহ। ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে নানান কর্মসূচি গুরুত্বসহকারে পালন করে আলোচনায় থাকত নারায়ণগঞ্জ। এর পেছনে ছিল নারায়ণগঞ্জে তৎকালীন বিএনপি নেতাদের সক্রিয় ভূমিকা এবং দলটির বিশাল কর্মী বাহিনী।

তবে দিনে দিনে সেই ভূমিকা হারিয়ে গেছে বিএনপি থেকে। এখন সহিংস কর্মসূচি দূরে থাক, মানববন্ধন বা বিক্ষোভ সমাবেশও আয়োজন করেন না নিজ থেকে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির ঘোষণা এলে প্রেসক্লাবের গলিতে ১০-১২ জন দাঁড়িয়ে সেরে নেন ফটোসেশন। মাঝে তৈমুর আলম খন্দকার বিএনপির দায়িত্ব পাওয়ার পর কর্মীদের উপস্থিতি বাড়লেও তাঁকে বহিষ্কারের পর অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বিএনপির।

৩ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ আদালতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্তত ১৫ নেতার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন গ্রহণ করে আদালত। এর আগে, গত বছরের ২২ ডিসেম্বর মামলার আবেদন করেন জয়বাংলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আকরাম হোসেন বাদল। আদালত ডিবি পুলিশকে মামলার তদন্তভার দেওয়ায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেয় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি। কোনো প্রকার প্রতিবাদ না দিয়ে নীরব অবস্থানে আছে একই দলের মহানগর কমিটি।

নারায়ণগঞ্জের মতো জেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর বিএনপির নেতাদের এমন অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কর্মীরা। ফতুল্লা ওয়ার্ড বিএনপির নেতা রফিকের মতে, এই মামলার প্রতিবাদে জেলা ও মহানগর কমিটির নিন্দা জ্ঞাপনসহ প্রতিটি শাখায় প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ সমাবেশ ডাকার মতো সক্ষমতা রাখেন তাঁরা। কিন্তু তা না করে জেলা কমিটি বিবৃতি দিয়েই তাঁদের দায়িত্ব শেষ করেছে। আর এমন নীরব আচরণ সহজেই বিএনপির দুর্বলতাকে ইঙ্গিত করে।

জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রোজেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসলে যারা মামলা করেছে তাঁদের বিষয়টি আমরা খুব একটা আমলে নিইনি। আর জেলা বিএনপির তরফ থেকে মামলার প্রতিবাদে কোনো কর্মসূচির সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা আমাদের প্রতিবাদলিপিতেই নিজেদের অবস্থান জানিয়েছি।’

মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই কোনো কর্মসূচি বা প্রতিবাদ বিবৃতি দেওয়া হয়নি। আদালত যেই তদন্ত দিয়েছেন আমরা তার সুষ্ঠু তদন্ত চাইব। পাশাপাশি এই মামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এ ছাড়া সারা দেশের কোথাও কেউ কথা বললেন না, আর এই বাদী একাই এই বিষয়ে মাথা ঘামালেন, সেই বিষয়টিও তদন্ত সংস্থাকে খতিয়ে দেখার আবেদন জানাব।’

কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে মামলার পরে দলের গা ছাড়া ভাবের কারণ জানতে চাইলে মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা যখন রাজনীতি করেছি তখন দল ও নেত্রীকে ভালোবেসে করেছি। এখন দল অনেকটা স্বার্থ রক্ষার কাজে ব্যবহার হয়। নিজ নিজ স্বার্থ রক্ষার জন্য কাজ করেন অনেকে। খোদ দলের নেতা–কর্মীরাই মহাসচিবের বিরুদ্ধে মামলা করার স্পর্ধা দেখান। এ ধরনের ঘটনার কারণেই অচেনা অজানা মানুষেরা মামলা করে ফেলতে পারেন।’

একই বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মামুন মাহমুদের কাছে। তবে তাঁর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

উল্লেখ্য বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে করা মামলায় প্রধান বিবাদী করা হয়েছে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেঘালয়ে হানিমুনের সময় ভাড়াটে খুনি দিয়ে স্বামীকে হত্যা, উত্তর প্রদেশে নববধূর আত্মসমর্পণ

ভিকারুননিসার ছাত্রী মেয়েকে সাঁতার শেখাচ্ছিলেন বাবা, ডুবে প্রাণ গেল দুজনেরই

মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় খুন—কীভাবে এক নববধূ হয়ে উঠলেন হত্যাকারী

কানাডার লেকে বোট উল্টে বাংলাদেশের পাইলট ও গার্মেন্টস ব্যবসায়ীর মৃত্যু

হাসিনার মতো মাফিয়াকে বিতাড়িত করেছি, এখন আমরাই বড় মাফিয়া: এনসিপি নেতা জুবাইরুল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত