সম্পাদকীয়
জ্যেষ্ঠ কন্যা মীনাক্ষী, মানে মিমির তখন এক বছর বয়স। বুদ্ধদেব বসু আর প্রতিভা বসু ঠিক করলেন সমুদ্রের কাছে যাবেন। লেখালেখি আর পড়াশোনায় বুদ্ধদেব বসুর তুলনা মেলা ভার, কিন্তু সন্তান পালনে তাঁর অসহায়ত্ব অবর্ণনীয়। স্নানঘরে প্রতিভা বসু গেলে শুনতে পেতেন বুদ্ধদেবের চিৎকার, ‘রানু, অ্যাই দেখো, খাট থেকে নামতে চাইছে, পড়ে গেলে আমি কী করব?’
রানু, মানে প্রতিভা চেঁচিয়ে বলতেন, ‘ধরে রাখো, ধরে রাখো!’
‘রানু, এই দ্যাখো, আমার হাত থেকে বই নিয়ে ছিঁড়ে ফেলছে।’
‘কী আশ্চর্য, বইটা ওর হাত থেকে কেড়ে নিচ্ছ না কেন?’
এরপর অধৈর্য হয়ে বুদ্ধদেব বলছেন, ‘তোমার কি আর স্নান হয় না নাকি?...আমি আর রাখতে পারছি না। আমার চুল টানছে।’
এমন এক লোককে নিয়ে আসা হয়েছে ওয়ালটেয়ারে, সমুদ্র দেখতে। ঘোড়ার গাড়িওয়ালাকে বলা হলো, সমুদ্রের কাছাকাছি একটা হোটেল খুঁজে দিতে। হোটেলের নিচের তলার ঘরগুলো ছোট, বিশ্রী রকম অন্ধকার। পছন্দ হলো না। ওপরে নাকি একটা বড় ভালো ঘর আছে, কিন্তু দাম চড়া। সেই ঘরটাই পছন্দ হয়ে গেল। প্রশস্ত ঘরের সঙ্গে বারান্দা।
একজন আয়া ঠিক হলো, নাম সর্মা (সরমা)। সর্মাকে পেয়ে বুদ্ধদেব-প্রতিভা খুব খুশি। কিন্তু কিছুক্ষণ পর দেখা গেল প্রতিভার দামি ফারকোটটা নেই।
ঠিক এ সময় দরজার বাইরে থেকে একটি কণ্ঠ শোনা গেল, ‘বুদ্ধদেব বাবু আছেন নাকি?’
পাশের ঘরের দুজন লোক এসেছেন বুদ্ধদেবের নাম শুনে। প্রতিভা তার ফারকোট হারানোর কথা বলতেই বোঝা গেল, লোক দুজনের একজন পুলিশের লোক! তিনি সঙ্গে সঙ্গে সক্রিয় হলেন। তাঁর হাঁকডাকে ম্যানেজার পর্যন্ত চলে এল। লোকটি বললেন, ‘কোট হারালে আমি এই হোটেল তুলে দেব।’
একটু পর নিচতলা থেকে একজন কোটটা এনে বলল, ‘ওরা নিচের ঘরে রেখে এসেছিলেন ফারকোট।’ কথাটা হয়তো সত্য নয়।
পুলিশের লোকটার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকলেও তাঁর নামটি মনে রাখতে পারেননি বুদ্ধদেব-প্রতিভা।
সূত্র: প্রতিভা বসু, জীবনের জলছবি, পৃষ্ঠা ১৩৩-১৩৫
জ্যেষ্ঠ কন্যা মীনাক্ষী, মানে মিমির তখন এক বছর বয়স। বুদ্ধদেব বসু আর প্রতিভা বসু ঠিক করলেন সমুদ্রের কাছে যাবেন। লেখালেখি আর পড়াশোনায় বুদ্ধদেব বসুর তুলনা মেলা ভার, কিন্তু সন্তান পালনে তাঁর অসহায়ত্ব অবর্ণনীয়। স্নানঘরে প্রতিভা বসু গেলে শুনতে পেতেন বুদ্ধদেবের চিৎকার, ‘রানু, অ্যাই দেখো, খাট থেকে নামতে চাইছে, পড়ে গেলে আমি কী করব?’
রানু, মানে প্রতিভা চেঁচিয়ে বলতেন, ‘ধরে রাখো, ধরে রাখো!’
‘রানু, এই দ্যাখো, আমার হাত থেকে বই নিয়ে ছিঁড়ে ফেলছে।’
‘কী আশ্চর্য, বইটা ওর হাত থেকে কেড়ে নিচ্ছ না কেন?’
এরপর অধৈর্য হয়ে বুদ্ধদেব বলছেন, ‘তোমার কি আর স্নান হয় না নাকি?...আমি আর রাখতে পারছি না। আমার চুল টানছে।’
এমন এক লোককে নিয়ে আসা হয়েছে ওয়ালটেয়ারে, সমুদ্র দেখতে। ঘোড়ার গাড়িওয়ালাকে বলা হলো, সমুদ্রের কাছাকাছি একটা হোটেল খুঁজে দিতে। হোটেলের নিচের তলার ঘরগুলো ছোট, বিশ্রী রকম অন্ধকার। পছন্দ হলো না। ওপরে নাকি একটা বড় ভালো ঘর আছে, কিন্তু দাম চড়া। সেই ঘরটাই পছন্দ হয়ে গেল। প্রশস্ত ঘরের সঙ্গে বারান্দা।
একজন আয়া ঠিক হলো, নাম সর্মা (সরমা)। সর্মাকে পেয়ে বুদ্ধদেব-প্রতিভা খুব খুশি। কিন্তু কিছুক্ষণ পর দেখা গেল প্রতিভার দামি ফারকোটটা নেই।
ঠিক এ সময় দরজার বাইরে থেকে একটি কণ্ঠ শোনা গেল, ‘বুদ্ধদেব বাবু আছেন নাকি?’
পাশের ঘরের দুজন লোক এসেছেন বুদ্ধদেবের নাম শুনে। প্রতিভা তার ফারকোট হারানোর কথা বলতেই বোঝা গেল, লোক দুজনের একজন পুলিশের লোক! তিনি সঙ্গে সঙ্গে সক্রিয় হলেন। তাঁর হাঁকডাকে ম্যানেজার পর্যন্ত চলে এল। লোকটি বললেন, ‘কোট হারালে আমি এই হোটেল তুলে দেব।’
একটু পর নিচতলা থেকে একজন কোটটা এনে বলল, ‘ওরা নিচের ঘরে রেখে এসেছিলেন ফারকোট।’ কথাটা হয়তো সত্য নয়।
পুলিশের লোকটার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকলেও তাঁর নামটি মনে রাখতে পারেননি বুদ্ধদেব-প্রতিভা।
সূত্র: প্রতিভা বসু, জীবনের জলছবি, পৃষ্ঠা ১৩৩-১৩৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫