বৃহস্পতিবার রাতেই প্রকাশ পেল বিয়ের খবর। বিয়ে করে নতুন সংসার সামলাচ্ছেন দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। প্রায় দুই মাস হতে চলল তাঁর নতুন সংসারের বয়স। পূর্ণিমা ভীষণ বাস্তববাদী মানুষ। চলার পথে বাধা এলে ঠান্ডা মাথায় সামলে নিতে জানেন। সম্পর্কের ভাঙনের ভেতর দিয়ে তাঁকেও যেতে হয়েছিল। কিন্তু ভেঙে পড়েননি। নতুনভাবে জীবন শুরু করেছেন। নতুন জীবন আর জীবনসঙ্গীকে নিয়ে পূর্ণিমার সঙ্গে কথা হয়েছে আজকের পত্রিকার।
নতুন জীবনে পা দিয়েছেন। আপনাকে অভিনন্দন। নিশ্চয়ই অনেক ফোন পাচ্ছেন?
হ্যাঁ, অনেকেই ফোন করছেন। শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। ভালো লাগছে। তবে একটু মন খারাপ মায়ের জন্য।
কী হয়েছে তাঁর?
অ্যাজমার সমস্যা বেড়েছে, আরও কিছু অসুবিধা নিয়ে ৪/৫ দিন হলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা। এখন সেখানেই যাচ্ছি।
আপনার মায়ের পাত্র পছন্দ হয়েছে?
হয়েছে তো! দুই পরিবারের আলাপের মধ্য দিয়েই তো বিয়েটা হয়েছে।
এ বিষয়ে আরেকটু বিস্তারিত বলবেন? মানে, পাত্রের নাম কী, বাড়ি কোথায়, কী করেন—এসব?
ওর নাম রবিন, পুরো নাম আশফাকুর রহমান রবিন। তার সঙ্গে পরিচয় ২০১৮ সালে। তখন সে একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি করত। বিভিন্ন ইভেন্টের জন্য বিভিন্ন অঙ্গনের তারকাদের নিয়ে ছিল তার কাজ। আমিও বেশ কয়েকটি কাজ করি। ধীরে ধীরে রবিনের সঙ্গে সখ্য বাড়ে। বন্ধুত্ব তৈরি হয়।
ব্যক্তি রবিন সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন?
খুব ভালো মনের একজন মানুষ রবিন। যার কাছে মনের সব কথা খুলে বলা যায়। যাকে সব বিষয়ে বিশ্বাস করা যায়।
বিয়েটা হয়েছে কবে? কোথায়?
২৭ মে, ঢাকাতে।
ফাহাদের সঙ্গে সম্পর্কটি কবে থেকে নেই?
আমার সঙ্গে প্রায় আড়াই থেকে তিন বছর ধরে সম্পর্ক নেই। যেহেতু আমার একটি মেয়ে আছে। মেয়ের বাবা সে। মেয়ে স্কুলে পড়ে। সবকিছু মিলিয়ে আমরা ওভাবে কোনো কিছু জানাতে চাইনি। যাতে মেয়ের ওপর কোনো এফেক্ট না হয়। কিন্তু (নতুন সম্পর্কটি) আমার মেয়েও ভালোভাবে অ্যাকসেপ্ট করে নিয়েছে। আর ফাহাদের সঙ্গে আগে থেকেই আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ে ঝামেলা ছিল, ঝামেলা না হলে তো কেউ সংসার ভাঙতে চায় না। সে কারণে আমরা আলাদা হয়ে গিয়েছিলাম।
রবিনের ফ্যামিলি তো খুবই কনজারভেটিভ। অন্যদিকে আমার একটা ব্যাকগ্রাউন্ড আছে। সব মিলিয়ে সবাই অ্যাকসেপ্ট করবে কি না, সে বিষয়ে একটা টেনশন তো ছিলই। কিন্তু তাঁর পরিবার বিষয়টি সুন্দরভাবেই নিয়েছে। —পূর্ণিমা, অভিনেত্রী
মেয়ে নিশ্চয়ই এখন আপনার সঙ্গে আছে...
হ্যাঁ, মেয়ে আমার সঙ্গেই আছে।
রবিনদের গ্রামের বাড়ি কোথায়? তাঁদের পরিবারে আর কে কে আছেন?
ওদের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। বাবা-মা আর দুই বোনকে নিয়ে তাদের সংসার। খুবই রক্ষণশীল একটি পরিবার। রবিন অস্ট্রেলিয়া থেকে ডাবল মাস্টার্স করে এখন বাংলাদেশে একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে আছে। মার্কেটিংয়ে।
এখন তো তাহলে আপনারা একসঙ্গেই থাকছেন?
হ্যাঁ, আমি শ্বশুরবাড়িতেই আছি।
দুই পরিবারই আপনাদের সম্পর্কটা স্বাভাবিকভাবে নিয়েছেন?
দুজনেরই যখন মনে হয় জীবনসঙ্গী হিসেবে আমাদের এগোনো উচিত, তখনই পরিবারকে জানিয়েছি। রবিনের ফ্যামিলি তো খুবই কনজারভেটিভ। অন্যদিকে আমার একটা ব্যাকগ্রাউন্ড আছে। সব মিলিয়ে সবাই অ্যাকসেপ্ট করবে কি না, সে বিষয়ে একটা টেনশন তো ছিলই। কিন্তু তার পরিবার বিষয়টি সুন্দরভাবেই নিয়েছে।
বিবাহ-উত্তর কোনো আনুষ্ঠানিকতার আয়োজন করবেন না?
আসলে দুই পরিবারের সিদ্ধান্তে কোনো রকম প্রস্তুতি ছাড়াই বিয়েটা হয়েছে। আর বিয়ের পর উভয় পরিবারের অনেকে অসুস্থ থাকায় আনুষ্ঠানিকতা করা হয়নি। ডিসেম্বরে বিবাহ-উত্তর সংবর্ধনা আয়োজনের পরিকল্পনা আছে। তবে সেটা একেবারেই পরিবারিক আয়োজনে।
বিয়ের খবর এত দেরি করে প্রকাশ করার কারণ?
ওই যে বললাম পরিবারের অনেকেই অসুস্থ ছিল। তা ছাড়া, চাচ্ছিলাম সব ধরনের নেগেটিভিটি থেকে দূরে থাকতে। কারণ, মানুষ নেগেটিভ ভাইব দিয়ে এসব নিউজ ক্যাশ করতে চায়, ওটাকেই ভয় পাচ্ছিলাম।
নতুন জীবনের অভিজ্ঞতা কেমন?
আলহামদুলিল্লাহ, খুবই ভালো। সবার দোয়ায় আমরা ভালো আছি।
এই সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
বৃহস্পতিবার রাতেই প্রকাশ পেল বিয়ের খবর। বিয়ে করে নতুন সংসার সামলাচ্ছেন দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। প্রায় দুই মাস হতে চলল তাঁর নতুন সংসারের বয়স। পূর্ণিমা ভীষণ বাস্তববাদী মানুষ। চলার পথে বাধা এলে ঠান্ডা মাথায় সামলে নিতে জানেন। সম্পর্কের ভাঙনের ভেতর দিয়ে তাঁকেও যেতে হয়েছিল। কিন্তু ভেঙে পড়েননি। নতুনভাবে জীবন শুরু করেছেন। নতুন জীবন আর জীবনসঙ্গীকে নিয়ে পূর্ণিমার সঙ্গে কথা হয়েছে আজকের পত্রিকার।
নতুন জীবনে পা দিয়েছেন। আপনাকে অভিনন্দন। নিশ্চয়ই অনেক ফোন পাচ্ছেন?
হ্যাঁ, অনেকেই ফোন করছেন। শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। ভালো লাগছে। তবে একটু মন খারাপ মায়ের জন্য।
কী হয়েছে তাঁর?
অ্যাজমার সমস্যা বেড়েছে, আরও কিছু অসুবিধা নিয়ে ৪/৫ দিন হলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা। এখন সেখানেই যাচ্ছি।
আপনার মায়ের পাত্র পছন্দ হয়েছে?
হয়েছে তো! দুই পরিবারের আলাপের মধ্য দিয়েই তো বিয়েটা হয়েছে।
এ বিষয়ে আরেকটু বিস্তারিত বলবেন? মানে, পাত্রের নাম কী, বাড়ি কোথায়, কী করেন—এসব?
ওর নাম রবিন, পুরো নাম আশফাকুর রহমান রবিন। তার সঙ্গে পরিচয় ২০১৮ সালে। তখন সে একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি করত। বিভিন্ন ইভেন্টের জন্য বিভিন্ন অঙ্গনের তারকাদের নিয়ে ছিল তার কাজ। আমিও বেশ কয়েকটি কাজ করি। ধীরে ধীরে রবিনের সঙ্গে সখ্য বাড়ে। বন্ধুত্ব তৈরি হয়।
ব্যক্তি রবিন সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন?
খুব ভালো মনের একজন মানুষ রবিন। যার কাছে মনের সব কথা খুলে বলা যায়। যাকে সব বিষয়ে বিশ্বাস করা যায়।
বিয়েটা হয়েছে কবে? কোথায়?
২৭ মে, ঢাকাতে।
ফাহাদের সঙ্গে সম্পর্কটি কবে থেকে নেই?
আমার সঙ্গে প্রায় আড়াই থেকে তিন বছর ধরে সম্পর্ক নেই। যেহেতু আমার একটি মেয়ে আছে। মেয়ের বাবা সে। মেয়ে স্কুলে পড়ে। সবকিছু মিলিয়ে আমরা ওভাবে কোনো কিছু জানাতে চাইনি। যাতে মেয়ের ওপর কোনো এফেক্ট না হয়। কিন্তু (নতুন সম্পর্কটি) আমার মেয়েও ভালোভাবে অ্যাকসেপ্ট করে নিয়েছে। আর ফাহাদের সঙ্গে আগে থেকেই আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ে ঝামেলা ছিল, ঝামেলা না হলে তো কেউ সংসার ভাঙতে চায় না। সে কারণে আমরা আলাদা হয়ে গিয়েছিলাম।
রবিনের ফ্যামিলি তো খুবই কনজারভেটিভ। অন্যদিকে আমার একটা ব্যাকগ্রাউন্ড আছে। সব মিলিয়ে সবাই অ্যাকসেপ্ট করবে কি না, সে বিষয়ে একটা টেনশন তো ছিলই। কিন্তু তাঁর পরিবার বিষয়টি সুন্দরভাবেই নিয়েছে। —পূর্ণিমা, অভিনেত্রী
মেয়ে নিশ্চয়ই এখন আপনার সঙ্গে আছে...
হ্যাঁ, মেয়ে আমার সঙ্গেই আছে।
রবিনদের গ্রামের বাড়ি কোথায়? তাঁদের পরিবারে আর কে কে আছেন?
ওদের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। বাবা-মা আর দুই বোনকে নিয়ে তাদের সংসার। খুবই রক্ষণশীল একটি পরিবার। রবিন অস্ট্রেলিয়া থেকে ডাবল মাস্টার্স করে এখন বাংলাদেশে একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে আছে। মার্কেটিংয়ে।
এখন তো তাহলে আপনারা একসঙ্গেই থাকছেন?
হ্যাঁ, আমি শ্বশুরবাড়িতেই আছি।
দুই পরিবারই আপনাদের সম্পর্কটা স্বাভাবিকভাবে নিয়েছেন?
দুজনেরই যখন মনে হয় জীবনসঙ্গী হিসেবে আমাদের এগোনো উচিত, তখনই পরিবারকে জানিয়েছি। রবিনের ফ্যামিলি তো খুবই কনজারভেটিভ। অন্যদিকে আমার একটা ব্যাকগ্রাউন্ড আছে। সব মিলিয়ে সবাই অ্যাকসেপ্ট করবে কি না, সে বিষয়ে একটা টেনশন তো ছিলই। কিন্তু তার পরিবার বিষয়টি সুন্দরভাবেই নিয়েছে।
বিবাহ-উত্তর কোনো আনুষ্ঠানিকতার আয়োজন করবেন না?
আসলে দুই পরিবারের সিদ্ধান্তে কোনো রকম প্রস্তুতি ছাড়াই বিয়েটা হয়েছে। আর বিয়ের পর উভয় পরিবারের অনেকে অসুস্থ থাকায় আনুষ্ঠানিকতা করা হয়নি। ডিসেম্বরে বিবাহ-উত্তর সংবর্ধনা আয়োজনের পরিকল্পনা আছে। তবে সেটা একেবারেই পরিবারিক আয়োজনে।
বিয়ের খবর এত দেরি করে প্রকাশ করার কারণ?
ওই যে বললাম পরিবারের অনেকেই অসুস্থ ছিল। তা ছাড়া, চাচ্ছিলাম সব ধরনের নেগেটিভিটি থেকে দূরে থাকতে। কারণ, মানুষ নেগেটিভ ভাইব দিয়ে এসব নিউজ ক্যাশ করতে চায়, ওটাকেই ভয় পাচ্ছিলাম।
নতুন জীবনের অভিজ্ঞতা কেমন?
আলহামদুলিল্লাহ, খুবই ভালো। সবার দোয়ায় আমরা ভালো আছি।
এই সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪