Ajker Patrika

উৎপাদন খরচই উঠছে না

মেহেদী হাসান, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) 
উৎপাদন খরচই উঠছে না

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে আলু চাষ করে গত বছরের মতো এবারও লোকসানে পড়েছেন অধিকাংশ চাষি। তাঁদের দাবি, আগাম আলুর দাম বেশি থাকলেও বর্তমানে তাঁরা উৎপাদন খরচই তুলতে পারছেন না।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর ফুলবাড়ীতে ১ হাজার ৯৯৪ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে। এতে মোট উৎপাদন ধরা হয়েছে ৪৫ হাজার ৮৬২ টন।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আলুর জাত ও ধরন অনুযায়ী উৎপাদন খরচের বেশ তারতম্য রয়েছে। প্রতি বিঘায় চাষাবাদ খরচ হয়েছে ২৮ থেকে ৩৮ হাজার টাকা।
উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের পলি শিবনগর গ্রামের আব্দুর রহিম জানান, তিনি ১৬ শতক জমি থেকে ২২ বস্তা (প্রতিটি ৮০ কেজি) ফলন পেয়েছেন। বাজারদর অনুযায়ী এই আলুর দাম ২৩ হাজার ১০০ টাকা। অথচ উৎপাদন করতে খরচ হয়েছে প্রায় ২৬ হাজার টাকা।

রাজারামপুর মাছুয়াপাড়া গ্রামের রঞ্জিত দাস বলেন, ‘আলু আবাদ     করেছি দুই বিঘা জমিতে। বাজারদর অনুযায়ী প্রতি বিঘায় কমপক্ষে ১২ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হবে।’

রঞ্জিত জানান, আগাম জাতের আলু এক বস্তা ২ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন আলু বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬৫০ টাকায়।

চাষিদের কাছ থেকে আলু সংগ্রহ করা নাটোরের পাইকারি ব্যবসায়ী মতিয়ার রহমান জানান, সব জাতের আলু কেজিতে পাঁচ থেকে সাত টাকা কমে বেচাকেনা হচ্ছে।

পৌর বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী শাহাজামাল বলেন, বর্তমানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি গুটি লাল আলু ২৫ ও সাদা আলু ১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দুই সপ্তাহ আগেও এ দাম দ্বিগুণ ছিল।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুম্মান আক্তার বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলার সব এলাকাতেই আলুর উৎপাদন ভালো হয়েছে। যেসব কৃষক আগাম আলু চাষ করেছেন তাঁদের লাভ বেশি হয়েছে। তবে দাম কমে আসায় কৃষকদের লাভ একটু কম হলেও লোকসান হবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, মদিনা-ঢাকা ফ্লাইটকে নামতে হলো সিলেটে

ভারত–বাংলাদেশ বাণিজ্য বিধিনিষেধের মূল্য গুনছেন ব্যবসায়ীরা

গায়ে কেরোসিন ঢেলে কলেজছাত্রীর আত্মহনন, পলাতক ইমাম গ্রেপ্তার

সরকারি মাধ্যমিকের সহকারী শিক্ষকেরা পাচ্ছেন গেজেটেড মর্যাদা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত