‘সবুজ জ্বালানি’ নিয়ে দ্বন্দ্ব

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আপডেট : ০৩ জানুয়ারি ২০২২, ১১: ৫৪
Thumbnail image

কয়েকটি প্রাকৃতিক গ্যাস ও পারমাণবিক জ্বালানিকে ‘সবুজ জ্বালানি’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। তবে এসব জ্বালানি কতটা পরিবেশবান্ধব বা টেকসই, তা নিয়ে ২৭টি দেশের সংঘটির সদস্যদের মধ্যে যথেষ্ট তর্ক রয়েছে।

এসব জ্বালানিকে সবুজ তকমা দিতে ইতিমধ্যে একটি খসড়া তৈরি করেছে ইউরোপীয় কমিশন (ইসি)। এক বছর তর্কবিতর্কের পর এ খসড়া তৈরি করা হয়েছে। চলতি মাসের শেষের দিকে এ খসড়াটি সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে। চূড়ান্ত হওয়ার আগে তাতে নানা পরিবর্তন আসবে। এ প্রস্তাব ইউরোপীয় পার্লামেন্টে পাস হলে আইনে পরিণত হয়ে ২০২৩ সাল থেকে কার্যকর হতে পারে।

খসড়ায় গ্যাস ও পারমাণবিক জ্বালানিকে সবুজের মর্যাদা দিতে বিশেষ কড়াকড়ির কথা বলা হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য পারমাণবিক কেন্দ্র স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট কোম্পানির তেজস্ক্রিয় বর্জ্য নিরাপদে ধ্বংস করার প্রয়োজনীয় বাজেট, পরিকল্পনা এবং জায়গা থাকা বাধ্যতামূলক। তা ছাড়া ২০৪৫ সালের আগে এ ধরনের কেন্দ্র স্থাপনের অনুমতি নিতে হবে।

আর গ্যাসের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোওয়াটে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কয়লার চেয়ে কম হতে হবে। এ ধরনের কারখানা স্থাপনের অনুমতি নিতে হবে ২০৩০ সালের আগে।

প্রস্তাব নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে অস্ট্রিয়া, জার্মানি ও লুক্সেমবার্গ। আর প্রস্তাবের পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছে ফ্রান্স, চেক রিপাবলিক, ফিনল্যান্ড। এসব দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎ আসে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে।

গ্যাস কার্বন নিঃসরণের বড় উৎস হওয়ায় এবং পারমাণবিক স্থাপনা সাধারণভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ইইউর খসড়া প্রস্তাব নিয়ে তর্ক চলছে। ইসির যুক্তি, পূর্ণাঙ্গভাবে রূপান্তরযোগ্য জ্বালানিতে যাওয়ার আগে ‘মধ্যবর্তী সময়ে’ এসব জ্বালানি ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু ইসির এ পদক্ষেপ বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ইইউর ভাবমূর্তিকে মলিন করবে বলে মনে করেন জার্মানির গ্রিন পার্টির প্রেসিডেন্ট ফিলিপ ল্যাম্বার্টস।

এদিকে গত শুক্রবার তিনটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের ঘোষণ দিয়েছে জার্মানি। নিজেদের জ্বালানি খাত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব করার অংশ হিসেবে এটা করা হয়েছে। দেশটির বাকি তিনটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রও চলতি বছরের মধ্যে বন্ধ করা হবে।

গত বছর দেশটির মোট বিদ্যুতের প্রায় ১২ শতাংশ এসেছে ওই ছয়টি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে। আর একই সময়ে দেশটির নবায়নযোগ্য জ্বালানির পরিমাণ ছিল ৪১ শতাংশ। আর কয়লা ও গ্যাস থেকে এসেছে যথাক্রমে ২৮ ও ১৫ শতাংশ বিদ্যুৎ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত