Ajker Patrika

ভালোবাসার রং মেখেছি কাছে আসব বলে

শিহাব আহমেদ
আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৭: ৪৫
Thumbnail image

অন্য সবার মতো ভালোবাসার মধুর কাব্য আছে শোবিজ তারকাদের জীবনেও। ভালোবেসে বিয়ে করেছেন অনেক তারকা। কেউ কেউ ভালোবেসেছেন মিডিয়ার মানুষকে, কেউ আবার সম্পর্ক গড়েছেন মিডিয়ার বাইরের মানুষের সঙ্গে। তাঁদেরও আছে কাছে আসার গল্প। তিন দম্পতির কাছে আসার গল্প নিয়ে প্রতিবেদন লিখেছেন শিহাব আহমেদ

প্রীতম-শেহতাজ
গানের শুটিংয়ে প্রথম ভালো লাগা
প্রীতম হাসানের ‘জাদুকর’ মিউজিক ভিডিওতে মডেল হয়েছিলেন শেহতাজ। সেই গানের শুটিংয়ে তাঁদের প্রথম পরিচয়। পরিচয় থেকেই দুজনের ভালো লাগা শুরু। প্রেম নয়, প্রথমেই শেহতাজকে বিয়ের প্রস্তাব দেন প্রীতম। মিডিয়ার কাজে সব সময় শেহতাজের সঙ্গে থাকতেন তাঁর মা। মায়ের সামনেই শেহতাজকে বিয়ের প্রস্তাব দেন প্রীতম। তিনি বলেন, ‘শেহতাজের মুখোমুখি বসে মায়ের সামনে বলেছি আপনার মেয়েকে বিয়ে করব। তাঁর মা আপত্তি করেননি। আমাকে শুধু একটা তালিকা ধরিয়ে দিয়েছেন, যেখানে উল্লেখ আছে কখন কী করতে হবে। আমি বলেছি, ঠিক আছে।’

শেহতাজ বললেন, ‘মিডিয়ার কাজে আমার আম্মু সব সময় আমার সঙ্গে থাকতেন। তাই আমি তারকা হলেও অবাধ চলাফেরার স্বাধীনতা পাইনি। পরিবার থেকে নিষেধ ছিল আমি যেন হরহামেশা প্রীতমের সঙ্গে দেখা না করি। তাই আমরা যতটা না প্রেমিক-প্রেমিকা ছিলাম, তার চেয়ে বেশি ছিলাম বন্ধু। কথা বলতে বলতেই একজন আরেকজনকে জানতে পেরেছি। জীবনসঙ্গী হিসেবে কারও ওপর ভরসা করা সহজ কাজ নয়। তাই আমরা সময় নিয়েছি।’

দীর্ঘ পাঁচ বছরের প্রেম একসময় প্রণয়ে রূপ নেয়। গত বছরের ২৮ অক্টোবর শ্রীমঙ্গলের পাঁচ তারকা হোটেলে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরেছেন তাঁরা। সিলেটে বিয়ের আয়োজন প্রসঙ্গে শেহতাজ জানান, ‘আগে থেকেই ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের পরিকল্পনা ছিল। এ জন্যই শ্রীমঙ্গলের মতো সুন্দর জায়গায় একটি রিসোর্ট বেছে নিয়েছিলাম।’

 পূর্ণিমা-রবিন
কাজের সূত্র ধরেই কাছে আসা
একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি করতেন আশফাকুর রহমান রবিন। ইভেন্টের প্রয়োজনে তারকাদের নিয়ে ছিল তাঁর কাজ। কাজের সূত্র ধরেই ২০১৮ সালের দিকে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় দিলারা হানিফ পূর্ণিমার। ধীরে ধীরে সখ্য বাড়ে দুজনের। শুরু হয় বন্ধুত্ব, তারপর প্রেম। প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে পূর্ণিমা বলেন, ‘তখন সে (রবিন) যে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি করত সেখানে অনেক ইভেন্ট হতো। সংগীতশিল্পী, ক্রিকেটারসহ বিভিন্ন অঙ্গনের তারকাদের নিয়ে ছিল রবিনের কাজ। কাজের সূত্র ধরেই রবিনের সঙ্গে সখ্য। ধীরে ধীরে যখন বুঝলাম আমাদের বোঝাপড়াটাও ভালো, তখন মনে হলো রবিন হতে পারে আমার জীবনচলার সঙ্গী।’

তিন বছরেরও বেশি সময়ের প্রেম আর বোঝাপড়া শেষে পরিবারের দ্বারস্থ হলেন দুজনে। অবশেষে সবার সম্মতিতে গত বছরের ২৭ মে বিয়ে করেন পূর্ণিমা ও রবিন। পূর্ণিমা বলেন, ‘সিদ্ধান্তটা নেওয়া হয়েছে হুট করেই। গত রোজার ঈদের পর যখন পরিবারের সদস্যদের জানানো হলো, তাঁরা বললেন, তাহলে আর দেরি করো না। এক-দুই সপ্তাহের মধ্যে বিয়ে করে ফেল। কোনো ধরনের প্রস্তুতি ছাড়াই হুট করে আমরা বিয়েটা করেছি।’

 বিদ্যা সিনহা মিম-সনি পোদ্দার
ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে পরিচয়
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বন্ধুদের একটি গ্রুপে যুক্ত ছিলেন বিদ্যা সিনহা মিম। সেখানেই সনি পোদ্দারের সঙ্গে পরিচয় মিমের। মিম বলেন, ‘ওর (সনি) সঙ্গে আমার পরিচয় ফেসবুকে সানজিদা অর্নি নামের এক বান্ধবীর মাধ্যমে। অর্নি ও সনি তখন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডে চাকরি করত। অর্নি প্রায়ই জানতে চাইত, আমার লাইফে কেউ আছে কি না, কারও সঙ্গে প্রেম করি কি না। একবার মজার ছলে ওকে বললাম, খোঁজ পেলে জানাইস। একদিন অর্নি বলল, দোস্ত একটা ভালো ছেলে আছে। কথা বলবি? আমি সরাসরি না করে দিই। পরে অর্নির অনুরোধেই বন্ধু হিসেবে কথা বলা শুরু হয় সনির সঙ্গে।’

পরিচয়ের সাত মাস পর সনি পোদ্দার প্রেমের প্রস্তাব দেন মিমকে। ‘ও অসম্ভব লক্ষ্মী আর বিনয়ী ছেলে, প্রেমের প্রস্তাবে না করতে পারিনি’—বললেন মিম। এরপর মায়ের সঙ্গে শেয়ার করলেন সনির কথা।

মা তখন সম্মতি জানাননি। তাই লুকিয়েই চলছিল সনি-মিমের প্রেম। দেখা হতো কম, মোবাইল ফোনে কথা হতো বেশি। পরিবারকে রাজি করাতে চিত্রনায়ক ফেরদৌসের সহযোগিতা চাইলেন মিম। রাজি হলেন ফেরদৌস। কিন্তু তার আগেই ২০১৯ সালে পরিবার মেনে নিল তাঁদের সম্পর্ক। ২০২১ সালে নিজের জন্মদিনে সনি পোদ্দারের সঙ্গে বাগদানের পর গত বছর ৪ জানুয়ারি জমকালো আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয় তাঁদের।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত