Ajker Patrika

শীতের সবজিতে ফিরেছে স্বস্তি

ধনবাড়ী প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬: ০৪
শীতের সবজিতে ফিরেছে স্বস্তি

আগাম চাষ বাড়ায় বাজারে আসছে নানা ধরনের শাকসবজি। তাই সবজির দামও অনেকটা কম। কিছুদিন আগেও এসবের দাম ছিল দু-তিন গুণ বেশি। শাকসবজির দাম কিছুটা কমে আসায় মানুষজনের মধ্যে ফিরেছে স্বস্তি। তবে বিভিন্ন মসলাজাতীয় পণ্যের দাম বেড়েছে।

গতকাল বুধবার সরেজমিনে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে দেখা গেছে, বাজারে এসেছে শীতকালীন নানা ধরনের শাকসবজি। বিক্রেতারা শাকসবজি দিয়ে দোকানগুলো সাজিয়েছেন। দেখতেও বেশ সতেজ এসব সবজি। বাজার ঘুরে-ঘুরে পছন্দের শাকসবজি কিনছেন ক্রেতারা।

বাজারে লালশাক ১৫, লাউশাক ২০, পালংশাক ৩০, মুলাশাক ১৫, সরিষার শাক ২০, ফুলকপি ৪০, বাঁধাকপি ৬০, করলা ৪০, লাউ ২৫, শিম ৩৫-৪০, বেগুন ৪০, নতুন আলু ৬০, গাছ পেঁয়াজ ৩০, পেঁপে ১০, ধুন্দল ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে কাঁচা টমেটো ও গাজরের দামটা বেশি।

ধনবাড়ী বাজারে শাকসবজি কিনতে আসা মো. পাবেল আহমেদ ও জুয়েল মিয়া বলেন, ‘শীতকালীন শাকসবজি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসতে শুরু করেছে। এটি কৃষিপ্রধান এলাকা। কৃষিকাজের পাশাপাশি সবাই শাকসবজির আবাদ করেন। বাজার থেকে চাহিদামতো শাকসবজি কিনে নিয়ে গেলাম। দাম অনেকটা কমায় সবার মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।’

বাজারে মাছ নিতে আসা দেলোয়ার রহমান বলেন, ‘বৃদ্ধ বাবা বড় মাছ দিয়ে লাউ খেতে চেয়েছেন। এ জন্য ৭০০ টাকায় রুই মাছ ও দুটি লাউ ৫০ টাকা দিয়ে নিলাম। কিছুদিন আগেও দুটি লাউয়ের দাম ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকা।’

সবজি বিক্রেতা আব্দুর রহিম ও কাদের শেখ বলেন, ‘বর্তমানে বাজরে শাকসবজির দাম অনেক কমে গেছে। এলাকার কৃষকদের কাছ থেকে পাইকারিতে সবজি কিনে আমরা বিক্রি করি। দাম কমায় ক্রেতারাও যার যার ইচ্ছেমতো কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।’

উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ৫০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের শাকসবজি আবাদ করা হয়েছে। কৃষকদের নানা প্রণোদনার মাধ্যমে সহযোগিতাও করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বাজারে এসব সবজি আসতে শুরু করেছে। তাই দাম কিছুটা কম।

এ ছাড়া উপজেলার সবজিখেত ঘুরে দেখা যায়, এখানকার শাকসবজির আবাদ অনেক ভালো হয়েছে। কৃষকেরা শাকসবজির খেতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। দ্রুত বাজারজাত ও ফলন ভালো করতে তাঁদের এই চেষ্টা। কৃষকেরা সবজির দাম ভালো পাচ্ছেন বলে তাঁদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

উপজেলার মুশুদ্দি এলাকার কৃষক আহম্মেদ আলী বলেন, ‘আমি ১ বিঘা জমিতে শিম আবাদ করেছি। এ ছাড়া অন্য জাতের সবজি আবাদ করেছি। কিছুদিন আগে দাম বেশি ছিল। এখন যে দাম পাচ্ছি, তা মোটামুটি ভালো। আশা করি, এ বছরও স্বাবলম্বী হতে পারব।’

অপর কৃষক আসাদুজ্জামান চাঁন মিয়া বলেন, ‘আমি উন্নত ইসলামপুরী জাতের বেগুন ১ বিঘা জমিতে চাষ করেছি। দাম ভালোই পাচ্ছি।’

উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘এ উপজেলা মূলত কৃষিপ্রধান অঞ্চল। ধানের পাশাপাশি কৃষকেরা সব ধরনের শাকসবজি আবাদ করে থাকেন। আমরা মাঠে গিয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত