অনলাইন ডেস্ক
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রয়াত উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের সাবেক পুত্রবধূ নীলা ইস্রাফিল। তাঁর অভিযোগ, তুষার বিভিন্ন সময়ে তাকে কেবল ‘আপত্তিকর কথা’ এবং ‘খারাপ প্রস্তাব’ই দেননি, এনসিপি থেকে দূরে সরানোরও চেষ্টা করেন।
আজ বৃহস্পতিবার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেন নীলা, যেখানে তিনি নিজেকে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী এবং এনসিপির কর্মী হিসেবে দাবি করেন। ফেসবুকে সম্প্রতি যে অডিওকল ফাঁস হয়েছে, তাতে তুষারের সঙ্গে কথা বলা নারীটি যে তিনি-ই, তা তার এই পোস্টের মধ্য দিয়ে পরিষ্কার হলো।
ফেসবুক পোস্টে নীলা ইস্রাফিল বলেন, ‘রোজার সময় একদিন তুষার আমাকে অত্যন্ত আপত্তিকর একটি কথা বলে। ইতিপূর্বে সকল আলাপের সীমা ছাড়ানো এই আলাপে আমি বিব্রত বোধ করি এবং ওকে জানাই যে আমি আর কথা বলতে চাই না। কিন্তু তুষার আমাকে আলাপের জন্য বিভিন্নভাবে চাপ দিতে থাকে। একপর্যায়ে তুষার আমাকে জানায় ডিটেকটিভ পুলিশ বা ডিবি ওর সাথে কথা বলেছে, সেই বিষয়ে সে আমার সাথে আলাপ করতে চায়।’
ফেসবুকে ফাঁস হওয়া অডিওকল নীলা নিজেই রেকর্ড করেছিলেন উল্লেখ করে এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমি তখন উপদেষ্টা হাসান আরিফের মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি এবং তুষার আমাকে ডিবির কথা বলেছে, তাই আমার কাছে মনে হয়েছে বিষয়টি নিশ্চয়ই আইনি, ডিবি ও পুলিশসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ আলাপ হতে পারে এবং আমার নিরাপত্তার জন্য হুমকির কোনো বিষয় থাকতে পারে— এই বিবেচনায় আমি আলাপটি রেকর্ড করি। প্রায় দেড় ঘণ্টার আলাপে ৪৭ মিনিট আমি রেকর্ড রাখি।
‘তুষার আমাকে জানায়, ডিবি তাকে নীলা ইস্রাফিল সম্পর্কে জানতে চেয়েছে এবং সে ডিবিকে জানিয়েছে যে নীলা তার গার্লফ্রেন্ড, যা নিয়ে আমি তুষারকে প্রশ্ন করি। তাছাড়া আমরা তুষারের খারাপ প্রস্তাব নিয়েও আলাপ করি। আমি তাকে প্রশ্ন করি, আমার কোনো অ্যাটিটিউড, ব্যবহার বা আচরণে মনে হয়েছে আমাকে এই ধরনের প্রস্তাব করা যেতে পারে? তুষার আমাকে বিষয়টি ভুলে যেতে বলে।
‘কিন্তু তুষারের খারাপ প্রস্তাব ও তুষারের সাথে ডিবির যোগাযোগের বিষয়টি আমি মানবাধিকারকর্মী রেজাউল করিম লেনিন ও তুষারের এক্স-গার্লফ্রেন্ড বীথি সপ্তর্ষিকে জানাই। আমার নিরাপত্তা ও ডিবির প্রসঙ্গ থাকায় নিজের নিরাপত্তার জন্য আমি তুষারের সাথে আলাপের অডিওটি সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরকেও শেয়ার করি। আমার নিরাপত্তা হুমকি ও আমার পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজন পড়লে প্রকাশের অনুমতি দিয়ে রাখি।’
তিনি বলেন, ‘আমি প্রচণ্ড আহত হলেও, কাছের বন্ধুদের জানালেও তুষারের আপত্তিকর আলাপের বিষয়টি নিয়ে উচ্চকিত হইনি, বরং সাংগঠনিকভাবে গোপনীয়তার সাথে বিষয়টি ডিল করার চেষ্টা করি। কিন্তু তুষার আমাকে সেই সুযোগ দেয় নাই। বিষয়টি আমার প্রফেশনাল লাইফে প্রভাব ফেলে।’
তাঁকে এনসিপির কার্যক্রম থেকে দূরে রাখতে তুষার চেষ্টা চালান— এই অভিযোগ এনে নীলা বলেন, ‘সে আমার সহযোগীদেরকে বলা শুরু করে, নীলার থেকে দূরে থাকতে হবে। সে আমাকে এনসিপি থেকে দূরে রাখতে, আমাকে বিভিন্ন সেল থেকে দূরে রাখতে, সাংস্কৃতিক সেল, নারী উইং, মহানগর কমিটি থেকে দূরে রাখার জন্য বিভিন্নভাবে প্রভাব খাটাতে থাকে।’
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক তুষারের আপত্তিকর আচরণের বিষয়ে দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে জানানো হয়েছিল দাবি করে নীলা পোস্টে বলেন, ‘কোরবানির দিন রাতে একটি অনুষ্ঠানে নাহিদের সাথে দেখা হয় এবং নাহিদকে বিষয়টি জানাই। নাহিদ আমাকে বিষয়টি দলীয় শৃঙ্খলার দিক থেকে ডিল করতে ও মহানগরে দায়িত্বে থাকা শাহরিয়ার ও নিজামকে বিষয়টি অবগত করতে বলে। যেদিন সন্ধ্যায় শাহরিয়ার ও নিজামকে আমি জানাই। তার পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে জানতে পারি, অডিওটি কেটে সামাজিক মিডিয়ায় প্রকাশ করা হয়েছে এবং ভাইরাল হয়েছে।’
দলের মধ্যে থেকে তুষারের বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেছিলেন— পোস্টে এমনটাই দাবি করেন নীলা। তিনি বলেন, ‘আমি তুষারের কোনো ক্ষতি চাইনি। আমি পার্টির ভেতরে বিষয়টা মীমাংসার চেষ্টা করেছি, চেয়েছি তুষার একটা ইন্টারনাল শাস্তি পেয়ে শুদ্ধ হোক। আমার মতো আর কোনো নারী যেন পার্টির ভেতরে তুষার বা তুষারের মতো কারও লালসার শিকার না হয়। এনসিপি ভদ্রলোকদের দল—এখানে যেন ভদ্র নারীরা নিরাপদে বিচরণ করতে পারে।’
পোস্টের শেষে তিনি বলেন, ‘আমি জ্বলন্ত আগুনের উপর দিয়ে হেঁটে আসা চরিত্র আর সতীত্বের পরীক্ষায় পাশ করে আসা একজন নারী। আপনাদের পরীক্ষায় পাশ ফেল করা না করায় আমার কিছুই যায় আসে না। এই বিষয়ে এইটা আমার ফাইনাল বক্তব্য। আমি এই নিয়ে আর কোনো কথা বলতে চাই না। বাকি যা বলার আমি তদন্ত কমিটিকে বলব। আমি এই ঘটনাটি পেরিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।’
তুষারের বিরুদ্ধে এর আগেও যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছিল। ২০২১ সালে তার সাবেক প্রেমিকা বীথি সপ্তর্ষি ওই অভিযোগ করেন। তুষার সেসময় রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য ছিলেন।
বীথির অভিযোগের ভিত্তিতে সেসময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মির্জা তাসলিমাকে আহ্বায়ক করে আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সামিনা লুৎফা, আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ও গবেষক দিলশানা পারুলের সমন্বয়ে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
অভিযুক্ত ও অভিযোগকারী উভয়ের বক্তব্য নিয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিলও করেছিল তদন্ত কমিটি। তুষারের বিরুদ্ধে বীথির অভিযোগের বিষয়ে ‘গ্রহণযোগ্য নিষ্পত্তি হয়নি’ বলে সম্প্রতি এক বিবৃতিতে জানান ড. শহিদুল আলম। সেই বিবৃতিতে সই করেন মির্জা তাসলিমা সুলতানা ও ড. সামিনা লুৎফাও।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাষ্ট্রচিন্তার একজন সদস্য সারোয়ার তুষারের বিরুদ্ধে উত্থাপিত যৌন নিপীড়ন ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তে গঠিত কমিটির সদস্য হিসেবে আমরা ৩০ জানুয়ারি ২০২১ থেকে এক বছর কাজ করেছি এবং ৩০ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে সর্বসম্মতিক্রমে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিই। এই ধরনের তদন্তের রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংবেদনশীলতার কথা বিবেচনা করে তদন্ত প্রসঙ্গে আমরা কোনো পাবলিক প্ল্যাটফর্মে মন্তব্য করা থেকে বিরত থেকেছি। এখনো থাকছি।
‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তীকালে অভিযুক্ত ব্যক্তি সারোয়ার তুষারের নেতা হিসেবে রাজনৈতিক উত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগটির নিষ্পত্তি নিয়ে আমাদেরকে অনেকে প্রশ্ন করেছেন। তাদের প্রশ্নের জবাবে আমরা শুধু এটুকুই বলতে পারি যে, আমাদের মতে অভিযোগটির গ্রহণযোগ্য নিষ্পত্তি হয়নি। আমাদের এই মতামত দ্রুত রাষ্ট্রচিন্তাকে জানিয়ে দিলেও তারা আমাদের মতামত গ্রাহ্য করেনি।’
আরও পড়ুন—
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রয়াত উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের সাবেক পুত্রবধূ নীলা ইস্রাফিল। তাঁর অভিযোগ, তুষার বিভিন্ন সময়ে তাকে কেবল ‘আপত্তিকর কথা’ এবং ‘খারাপ প্রস্তাব’ই দেননি, এনসিপি থেকে দূরে সরানোরও চেষ্টা করেন।
আজ বৃহস্পতিবার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেন নীলা, যেখানে তিনি নিজেকে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী এবং এনসিপির কর্মী হিসেবে দাবি করেন। ফেসবুকে সম্প্রতি যে অডিওকল ফাঁস হয়েছে, তাতে তুষারের সঙ্গে কথা বলা নারীটি যে তিনি-ই, তা তার এই পোস্টের মধ্য দিয়ে পরিষ্কার হলো।
ফেসবুক পোস্টে নীলা ইস্রাফিল বলেন, ‘রোজার সময় একদিন তুষার আমাকে অত্যন্ত আপত্তিকর একটি কথা বলে। ইতিপূর্বে সকল আলাপের সীমা ছাড়ানো এই আলাপে আমি বিব্রত বোধ করি এবং ওকে জানাই যে আমি আর কথা বলতে চাই না। কিন্তু তুষার আমাকে আলাপের জন্য বিভিন্নভাবে চাপ দিতে থাকে। একপর্যায়ে তুষার আমাকে জানায় ডিটেকটিভ পুলিশ বা ডিবি ওর সাথে কথা বলেছে, সেই বিষয়ে সে আমার সাথে আলাপ করতে চায়।’
ফেসবুকে ফাঁস হওয়া অডিওকল নীলা নিজেই রেকর্ড করেছিলেন উল্লেখ করে এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমি তখন উপদেষ্টা হাসান আরিফের মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি এবং তুষার আমাকে ডিবির কথা বলেছে, তাই আমার কাছে মনে হয়েছে বিষয়টি নিশ্চয়ই আইনি, ডিবি ও পুলিশসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ আলাপ হতে পারে এবং আমার নিরাপত্তার জন্য হুমকির কোনো বিষয় থাকতে পারে— এই বিবেচনায় আমি আলাপটি রেকর্ড করি। প্রায় দেড় ঘণ্টার আলাপে ৪৭ মিনিট আমি রেকর্ড রাখি।
‘তুষার আমাকে জানায়, ডিবি তাকে নীলা ইস্রাফিল সম্পর্কে জানতে চেয়েছে এবং সে ডিবিকে জানিয়েছে যে নীলা তার গার্লফ্রেন্ড, যা নিয়ে আমি তুষারকে প্রশ্ন করি। তাছাড়া আমরা তুষারের খারাপ প্রস্তাব নিয়েও আলাপ করি। আমি তাকে প্রশ্ন করি, আমার কোনো অ্যাটিটিউড, ব্যবহার বা আচরণে মনে হয়েছে আমাকে এই ধরনের প্রস্তাব করা যেতে পারে? তুষার আমাকে বিষয়টি ভুলে যেতে বলে।
‘কিন্তু তুষারের খারাপ প্রস্তাব ও তুষারের সাথে ডিবির যোগাযোগের বিষয়টি আমি মানবাধিকারকর্মী রেজাউল করিম লেনিন ও তুষারের এক্স-গার্লফ্রেন্ড বীথি সপ্তর্ষিকে জানাই। আমার নিরাপত্তা ও ডিবির প্রসঙ্গ থাকায় নিজের নিরাপত্তার জন্য আমি তুষারের সাথে আলাপের অডিওটি সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরকেও শেয়ার করি। আমার নিরাপত্তা হুমকি ও আমার পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজন পড়লে প্রকাশের অনুমতি দিয়ে রাখি।’
তিনি বলেন, ‘আমি প্রচণ্ড আহত হলেও, কাছের বন্ধুদের জানালেও তুষারের আপত্তিকর আলাপের বিষয়টি নিয়ে উচ্চকিত হইনি, বরং সাংগঠনিকভাবে গোপনীয়তার সাথে বিষয়টি ডিল করার চেষ্টা করি। কিন্তু তুষার আমাকে সেই সুযোগ দেয় নাই। বিষয়টি আমার প্রফেশনাল লাইফে প্রভাব ফেলে।’
তাঁকে এনসিপির কার্যক্রম থেকে দূরে রাখতে তুষার চেষ্টা চালান— এই অভিযোগ এনে নীলা বলেন, ‘সে আমার সহযোগীদেরকে বলা শুরু করে, নীলার থেকে দূরে থাকতে হবে। সে আমাকে এনসিপি থেকে দূরে রাখতে, আমাকে বিভিন্ন সেল থেকে দূরে রাখতে, সাংস্কৃতিক সেল, নারী উইং, মহানগর কমিটি থেকে দূরে রাখার জন্য বিভিন্নভাবে প্রভাব খাটাতে থাকে।’
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক তুষারের আপত্তিকর আচরণের বিষয়ে দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে জানানো হয়েছিল দাবি করে নীলা পোস্টে বলেন, ‘কোরবানির দিন রাতে একটি অনুষ্ঠানে নাহিদের সাথে দেখা হয় এবং নাহিদকে বিষয়টি জানাই। নাহিদ আমাকে বিষয়টি দলীয় শৃঙ্খলার দিক থেকে ডিল করতে ও মহানগরে দায়িত্বে থাকা শাহরিয়ার ও নিজামকে বিষয়টি অবগত করতে বলে। যেদিন সন্ধ্যায় শাহরিয়ার ও নিজামকে আমি জানাই। তার পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে জানতে পারি, অডিওটি কেটে সামাজিক মিডিয়ায় প্রকাশ করা হয়েছে এবং ভাইরাল হয়েছে।’
দলের মধ্যে থেকে তুষারের বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেছিলেন— পোস্টে এমনটাই দাবি করেন নীলা। তিনি বলেন, ‘আমি তুষারের কোনো ক্ষতি চাইনি। আমি পার্টির ভেতরে বিষয়টা মীমাংসার চেষ্টা করেছি, চেয়েছি তুষার একটা ইন্টারনাল শাস্তি পেয়ে শুদ্ধ হোক। আমার মতো আর কোনো নারী যেন পার্টির ভেতরে তুষার বা তুষারের মতো কারও লালসার শিকার না হয়। এনসিপি ভদ্রলোকদের দল—এখানে যেন ভদ্র নারীরা নিরাপদে বিচরণ করতে পারে।’
পোস্টের শেষে তিনি বলেন, ‘আমি জ্বলন্ত আগুনের উপর দিয়ে হেঁটে আসা চরিত্র আর সতীত্বের পরীক্ষায় পাশ করে আসা একজন নারী। আপনাদের পরীক্ষায় পাশ ফেল করা না করায় আমার কিছুই যায় আসে না। এই বিষয়ে এইটা আমার ফাইনাল বক্তব্য। আমি এই নিয়ে আর কোনো কথা বলতে চাই না। বাকি যা বলার আমি তদন্ত কমিটিকে বলব। আমি এই ঘটনাটি পেরিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।’
তুষারের বিরুদ্ধে এর আগেও যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছিল। ২০২১ সালে তার সাবেক প্রেমিকা বীথি সপ্তর্ষি ওই অভিযোগ করেন। তুষার সেসময় রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য ছিলেন।
বীথির অভিযোগের ভিত্তিতে সেসময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মির্জা তাসলিমাকে আহ্বায়ক করে আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সামিনা লুৎফা, আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ও গবেষক দিলশানা পারুলের সমন্বয়ে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
অভিযুক্ত ও অভিযোগকারী উভয়ের বক্তব্য নিয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিলও করেছিল তদন্ত কমিটি। তুষারের বিরুদ্ধে বীথির অভিযোগের বিষয়ে ‘গ্রহণযোগ্য নিষ্পত্তি হয়নি’ বলে সম্প্রতি এক বিবৃতিতে জানান ড. শহিদুল আলম। সেই বিবৃতিতে সই করেন মির্জা তাসলিমা সুলতানা ও ড. সামিনা লুৎফাও।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাষ্ট্রচিন্তার একজন সদস্য সারোয়ার তুষারের বিরুদ্ধে উত্থাপিত যৌন নিপীড়ন ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তে গঠিত কমিটির সদস্য হিসেবে আমরা ৩০ জানুয়ারি ২০২১ থেকে এক বছর কাজ করেছি এবং ৩০ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে সর্বসম্মতিক্রমে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিই। এই ধরনের তদন্তের রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংবেদনশীলতার কথা বিবেচনা করে তদন্ত প্রসঙ্গে আমরা কোনো পাবলিক প্ল্যাটফর্মে মন্তব্য করা থেকে বিরত থেকেছি। এখনো থাকছি।
‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তীকালে অভিযুক্ত ব্যক্তি সারোয়ার তুষারের নেতা হিসেবে রাজনৈতিক উত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগটির নিষ্পত্তি নিয়ে আমাদেরকে অনেকে প্রশ্ন করেছেন। তাদের প্রশ্নের জবাবে আমরা শুধু এটুকুই বলতে পারি যে, আমাদের মতে অভিযোগটির গ্রহণযোগ্য নিষ্পত্তি হয়নি। আমাদের এই মতামত দ্রুত রাষ্ট্রচিন্তাকে জানিয়ে দিলেও তারা আমাদের মতামত গ্রাহ্য করেনি।’
আরও পড়ুন—
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল আগামী ২২ জুন চীন সফরে যাচ্ছে। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে এই সফর। দলীয় সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগেসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অডিও কল ভাইরালের প্রেক্ষিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেছেন, আমি এক ঘৃণ্য রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক ওয়ালে এমন কথা জানান তিনি। ফেসবুক স্ট্যাটাসটি সরাসরি তুলে ধরা হলো।
৩ ঘণ্টা আগেঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, ‘৩২টি রাজনৈতিক দল নিয়ে ব্যাপক আলাপ-আলোচনা হচ্ছে, এর আগে দলগুলো নিজেদের কয়েকমাস ধরে বক্তব্য উপস্থাপন করার জন্য আলাদা আলাদা বৈঠক করার সুযোগ পেয়েছিল, তারপরও গত তিন দিন ধরে ব্যাপক আলোচনা-বিশ্লেষণ চলছে, কিন্তু কোনো বিষয়েই ঐকমত
৩ ঘণ্টা আগেবিবৃতিতে বলা হয়, এটি বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। এরই মধ্যে নানা সময়ে এনসিপির নারী নেত্রীদের লক্ষ্য করে একই ধরনের অবমাননাকর প্রচারণা চালানো হয়েছে। এই ধরনের কুরুচিপূর্ণ প্রচার ও প্রোপাগান্ডা কেবল নারীর প্রতি অবমাননা ও নিপীড়নের বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং এটি তাঁদের রাজনৈতিক কর্তাসত্তা ও সক্ষমতাকে অস্বীকার করা...
৪ ঘণ্টা আগে