Ajker Patrika

নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় মামলা

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ ডিসেম্বর ২০২১, ১০: ১৭
নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় মামলা

ঢাকার কেরানীগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার নতুন বাক্তারচর এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান। এ মামলায় তোফাজ্জল হোসেন (৩৩) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

হাবিবুর রহমানের অভিযোগ, ইউপি নির্বাচনে কোন্ডা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে মেম্বার প্রার্থী ছিলেন তাঁর মামাতো ভাই দুদু মিয়া। নির্বাচনের দিন হাবিবুর রহমান ও তাঁর ছেলে ফাহিম রহমান বাক্তারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুদু মিয়ার পক্ষে এজেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। বিকেলে প্রতিপক্ষ প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেনের লোকজন জালভোট দেওয়ার চেষ্টা করলে তাঁরা বাধা দেন।

হাবিবুর রহমান আরও জানান এতে তাদের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরে তোফাজ্জলের নেতৃত্বে আমজাদ হোসেন, ফারুক, হারুন, মালেক ও অজ্ঞাত ১০/১২ জন হাবিব ও ফাহিমকে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে। পরে হাবিবের ভাগনে হৃদয় হোসেন, ভাতিজা রনি মিয়া, স্ত্রী জোসনা বেগম, ছোট ছেলে তায়িন রহমান বাঁচাতে গেলে তাঁদের ওপরও হামলা চালানো হয়। এ সময় চাপাতির আঘাতে হৃদয়ের মাথায় ও রনির কানে রক্তাক্ত জখম হয়।

এদিকে নির্বাচনের দিন ওই একই কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে স্থানীয় কোন্ডা ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরীকে প্রাণনাশের হুমকি দেন তোফাজ্জল হোসেনের লোকজন। পরে এ বিষয়ে নিজের নিরাপত্তা চেয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন তিনি।

জানতে চাইলে কোন্ডা ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচনের দিন আমি এলাকার চেয়ারম্যান হিসেবে কেন্দ্রটি পরিদর্শনে যাই। এ সময় মেম্বার প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেনের ভাই মনির হোসেন ও তাঁর লোকজন আমাকে জনসম্মুখে প্রাণনাশের হুমকি দেন।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, পৃথক ঘটনায় একটি মামলা ও একটি জিডি হয়েছে। মামলার ঘটনায় তোফাজ্জল হোসেন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। জিডির বিষয়ে তদন্ত চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত