সন্দ্বীপ (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কুমিরা-গুপ্তছড়া নৌপথে স্পিডবোটের ভাড়া আবার বাড়ানো হয়েছে। গত শুক্রবার থেকে ২৫০ টাকার ভাড়া ৩০০ টাকা করে আদায় করছেন ঘাটের কর্মীরা। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সন্দ্বীপের বাসিন্দারা। তবে ঘাটের নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম জেলা পরিষদদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি তারা জানে না।
এর আগে ১ ফেব্রুয়ারি পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই এই রুটের ভাড়া ২০ শতাংশ বৃদ্ধি করেন ঘাটের ইজারাদার আনোয়ার হোসেন। তখনো বিষয়টি জেলা পরিষদ জানত না বলে দাবি করেছিলেন কর্মকর্তারা। তবে তীব্র সমালোচনার মুখে সাত দিনের মাথায় বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন ইজারাদার। এ ঘটনার দেড় মাসের মাথায় আবার ভাড়া বাড়ানোর বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ওয়ালে ঘোষণা দেন আনোয়ার হোসেন। তিনি গত শুক্রবার বর্ধিত ভাড়া কার্যকর করেন।
এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ওমর ফয়সাল নামের এক ভুক্তভোগী বলেন, ‘ঘাটের নিয়ন্ত্রণ নেই জেলা পরিষদের হাতে। ইজারদার চাইলেই তাঁর ইচ্ছামাফিক ভাড়া বাড়াতে পারেন। এটা কেমন কথা! এ ধরনের স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ করতে হবে।’
জানতে চাইলে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী সাব্বির ইকবাল বলেন, ‘এবারও ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে আমরা অবগত না। আগেরবার সমস্যা দেখা দেওয়ার পর ইজারাদারকে বলেছিলাম, ভাড়া বাড়ানোর আগে স্থানীয় সাংসদ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করতে।’
এ বিষয়ে সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সম্রাট খীসা বলেন, একটা নীতিমালার ওপর ভিত্তি করে ঘাট পরিচালনা করে জেলা পরিষদ। ভাড়া নির্ধারণের দায়িত্ব একমাত্র তাদের। এখানে উপজেলা পরিষদের কিছু করার এখতিয়ার নেই। উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে ভাড়া বাড়াতে বলা জেলা পরিষদের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার মনগড়া প্রস্তাব।
এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সন্দ্বীপের সাংসদ মাহফুজুর রহমান মিতা। তিনি বলেন, ‘কুমিরা ঘাটের ভাড়া বৃদ্ধি অযৌক্তিক ও অন্যায্য। এটা সন্দ্বীপের মানুষের ওপর কশাঘাত। যেখানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সেখানে ভাড়া আরও ৫০ টাকা বাড়ানো অন্যায়।’
এ বিষয়ে জেলা পরিষদের সদস্য আমম দিলশাদ বলেন, ইজারাদারের সঙ্গে দৈনিক ভিত্তিতে খাস কালেকশনের চুক্তি হয়েছে তাঁদের। কিন্তু স্পিডবোট চালানোর কোনো চুক্তি নেই। এ জন্য ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে তাঁরা কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। তাহলে জেলা পরিষদ কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তাঁরা দেখবেন। পরবর্তী সময়ে এটা নিয়ে সুস্পষ্ট একটা নীতিমালা তৈরি করা হবে।
এদিকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইজারাদার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমার ঘরে আমি পান্তা ভাত খাব নাকি গরম ভাত খাব, সেটা আমার ব্যাপার। জেলা পরিষদকে জিজ্ঞেস করার কী আছে?’
এদিকে কুমিরা-গুপ্তছড়া ফেরিঘাটে ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে গতকাল রোববার বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে চট্টগ্রাম নগরের হালিশহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে। প্রতিবাদ সমাবেশে অধ্যাপক শাহীন ইব্রাহিমের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সোয়াইব উদ্দিন হায়দার, সমাজকর্মী জিয়াউদ্দিন, খাদেমুল ইসলামসহ প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ইজারাদারের স্বেচ্ছাচারিতার কাছে সন্দ্বীপের চার লাখ মানুষ জিম্মি। তাঁরা চান একক ইজারা বাতিল করা হোক। ভাড়া হোক অন্যান্য নৌরুটের মতো। যত দিন দাবি আদায় হবে না, তত দিন আন্দোলন চলবে।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কুমিরা-গুপ্তছড়া নৌপথে স্পিডবোটের ভাড়া আবার বাড়ানো হয়েছে। গত শুক্রবার থেকে ২৫০ টাকার ভাড়া ৩০০ টাকা করে আদায় করছেন ঘাটের কর্মীরা। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সন্দ্বীপের বাসিন্দারা। তবে ঘাটের নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম জেলা পরিষদদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি তারা জানে না।
এর আগে ১ ফেব্রুয়ারি পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই এই রুটের ভাড়া ২০ শতাংশ বৃদ্ধি করেন ঘাটের ইজারাদার আনোয়ার হোসেন। তখনো বিষয়টি জেলা পরিষদ জানত না বলে দাবি করেছিলেন কর্মকর্তারা। তবে তীব্র সমালোচনার মুখে সাত দিনের মাথায় বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন ইজারাদার। এ ঘটনার দেড় মাসের মাথায় আবার ভাড়া বাড়ানোর বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ওয়ালে ঘোষণা দেন আনোয়ার হোসেন। তিনি গত শুক্রবার বর্ধিত ভাড়া কার্যকর করেন।
এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ওমর ফয়সাল নামের এক ভুক্তভোগী বলেন, ‘ঘাটের নিয়ন্ত্রণ নেই জেলা পরিষদের হাতে। ইজারদার চাইলেই তাঁর ইচ্ছামাফিক ভাড়া বাড়াতে পারেন। এটা কেমন কথা! এ ধরনের স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ করতে হবে।’
জানতে চাইলে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী সাব্বির ইকবাল বলেন, ‘এবারও ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে আমরা অবগত না। আগেরবার সমস্যা দেখা দেওয়ার পর ইজারাদারকে বলেছিলাম, ভাড়া বাড়ানোর আগে স্থানীয় সাংসদ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করতে।’
এ বিষয়ে সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সম্রাট খীসা বলেন, একটা নীতিমালার ওপর ভিত্তি করে ঘাট পরিচালনা করে জেলা পরিষদ। ভাড়া নির্ধারণের দায়িত্ব একমাত্র তাদের। এখানে উপজেলা পরিষদের কিছু করার এখতিয়ার নেই। উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে ভাড়া বাড়াতে বলা জেলা পরিষদের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার মনগড়া প্রস্তাব।
এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সন্দ্বীপের সাংসদ মাহফুজুর রহমান মিতা। তিনি বলেন, ‘কুমিরা ঘাটের ভাড়া বৃদ্ধি অযৌক্তিক ও অন্যায্য। এটা সন্দ্বীপের মানুষের ওপর কশাঘাত। যেখানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সেখানে ভাড়া আরও ৫০ টাকা বাড়ানো অন্যায়।’
এ বিষয়ে জেলা পরিষদের সদস্য আমম দিলশাদ বলেন, ইজারাদারের সঙ্গে দৈনিক ভিত্তিতে খাস কালেকশনের চুক্তি হয়েছে তাঁদের। কিন্তু স্পিডবোট চালানোর কোনো চুক্তি নেই। এ জন্য ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে তাঁরা কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। তাহলে জেলা পরিষদ কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তাঁরা দেখবেন। পরবর্তী সময়ে এটা নিয়ে সুস্পষ্ট একটা নীতিমালা তৈরি করা হবে।
এদিকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইজারাদার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমার ঘরে আমি পান্তা ভাত খাব নাকি গরম ভাত খাব, সেটা আমার ব্যাপার। জেলা পরিষদকে জিজ্ঞেস করার কী আছে?’
এদিকে কুমিরা-গুপ্তছড়া ফেরিঘাটে ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে গতকাল রোববার বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে চট্টগ্রাম নগরের হালিশহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে। প্রতিবাদ সমাবেশে অধ্যাপক শাহীন ইব্রাহিমের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সোয়াইব উদ্দিন হায়দার, সমাজকর্মী জিয়াউদ্দিন, খাদেমুল ইসলামসহ প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ইজারাদারের স্বেচ্ছাচারিতার কাছে সন্দ্বীপের চার লাখ মানুষ জিম্মি। তাঁরা চান একক ইজারা বাতিল করা হোক। ভাড়া হোক অন্যান্য নৌরুটের মতো। যত দিন দাবি আদায় হবে না, তত দিন আন্দোলন চলবে।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৮ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫