গাইবান্ধা প্রতিনিধি
‘ভোর থিকা কম দামত তিন কেজি চাল কিনার লাগি লাইনত দাঁড়ে আছোম। যাগরে চিনা-জানা আছে, তারা চাল আটা নিয়া যাচ্ছে। অখন বারোটা বাজে, তা-ও মুই চাল পাইনি। প্যাটোত খিদা না লাগলে মুই লাইনত দাড়ানোনু না হয়।’
কথাগুলো বলছিলেন গাইবান্ধা শহরের সুখশান্তির মোড় এলাকার বিধবা আমেনা বেওয়া (৭০)। তাঁর মতো অনেকেই দাঁড়িয়ে আছেন এই স্বল্প মূল্যের চাল-আটা কেনার জন্য। তাঁদের অনেকেই চাল-আটা না পেয়ে ক্ষুধা নিয়েই ফেরেন বাড়ি
তবে ডিলাররা বলছেন, ‘চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অনেক কম। তাই বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন। অন্যদিকে প্রশাসন বলছে, বরাদ্দ বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। আমরা বরাদ্দ ছাড়া বেশি মাল দেবে কীভাবে? যতক্ষণ থাকে আমরা ততক্ষণ দিই। কে পাবে আর কে পাবে না, এগুলো আমাদের দেখার বিষয় নয়।’
গাইবান্ধা জেলা খাদ্য অধিদপ্তর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শুরুতে প্রতিদিন ওএমএসের ডিলার প্রতি দুই টন করে চাল বা আটা বরাদ্দ দেওয়া হতো। গত ১৬ অক্টোবর থেকে বরাদ্দ কমিয়ে এক টন করা হয়েছে। এসব চাল-আটা সপ্তাহের দুই দিন ১১ জন ডিলার ও ৯ জন ডিলার সপ্তাহের ছয় দিন ওএমএসের ডিলারদের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়।
গত সোমবার সরেজমিনে গাইবান্ধা শহরের বিভিন্ন ওএমএস পয়েন্টে দেখা গেছে, ওএমএসের পণ্য কিনতে স্বল্প আয়ের মানুষের লম্বা লাইন। পণ্য শেষ হওয়ায় ডিলার বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন। ক্রেতারা পণ্য না পেয়ে বাইরে হাহাকার করছেন। পরপর কয়েক দিন লাইনে দাঁড়িয়েও পণ্য পাচ্ছেন না বলে এমন অভিযোগ করছেন অনেকে।
এ সময় কথা হয় শহরের ডিবি রোড এলাকার ওএমএসের ডিলারের দোকানের লাইনে দাঁড়ানো গৃহপরিচারিকা ছালেদা বেগমের (৬০) সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘হামরা গরিব মানুষ। সংসারে এক প্রতিবন্ধীসহ পাঁচজন খানেআলা। এটি থাকি কম দামে চাল-আটা পালে কিছু পয়সা বাঁচে। তয় মাঝে-মধ্যেই চাল না পেয়ে খালি হাতে ঘুরে যাওয়া লাগে।’
গত বুধবার পৌর শহরের কলেজ রোডের ওএমএসের ডিলার গোলাম রহমান বলেন, ‘চাল কিনতে প্রতিদিন পাঁচ শতাধিক লোক আসে। কিন্তু আমার বরাদ্দ এক টন, যা দিয়ে ২০০ জন লোককে দেওয়া যায়। তাই আমাদের প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হয়।’
এ ব্যাপারে গাইবান্ধা জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক অন্তরা মল্লিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বরাদ্দ বাড়ানো ক্ষমতা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের নেই। শুরুতে দুই টন করে বরাদ্দ দেওয়া হতো। গত ১৬ অক্টোবর থেকে বরাদ্দ কমিয়ে এক টন করা হয়েছে। এ কারণেই এখন দুপুরের মধ্যেই পণ্য শেষ হয়ে যায়।’
‘ভোর থিকা কম দামত তিন কেজি চাল কিনার লাগি লাইনত দাঁড়ে আছোম। যাগরে চিনা-জানা আছে, তারা চাল আটা নিয়া যাচ্ছে। অখন বারোটা বাজে, তা-ও মুই চাল পাইনি। প্যাটোত খিদা না লাগলে মুই লাইনত দাড়ানোনু না হয়।’
কথাগুলো বলছিলেন গাইবান্ধা শহরের সুখশান্তির মোড় এলাকার বিধবা আমেনা বেওয়া (৭০)। তাঁর মতো অনেকেই দাঁড়িয়ে আছেন এই স্বল্প মূল্যের চাল-আটা কেনার জন্য। তাঁদের অনেকেই চাল-আটা না পেয়ে ক্ষুধা নিয়েই ফেরেন বাড়ি
তবে ডিলাররা বলছেন, ‘চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অনেক কম। তাই বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন। অন্যদিকে প্রশাসন বলছে, বরাদ্দ বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। আমরা বরাদ্দ ছাড়া বেশি মাল দেবে কীভাবে? যতক্ষণ থাকে আমরা ততক্ষণ দিই। কে পাবে আর কে পাবে না, এগুলো আমাদের দেখার বিষয় নয়।’
গাইবান্ধা জেলা খাদ্য অধিদপ্তর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শুরুতে প্রতিদিন ওএমএসের ডিলার প্রতি দুই টন করে চাল বা আটা বরাদ্দ দেওয়া হতো। গত ১৬ অক্টোবর থেকে বরাদ্দ কমিয়ে এক টন করা হয়েছে। এসব চাল-আটা সপ্তাহের দুই দিন ১১ জন ডিলার ও ৯ জন ডিলার সপ্তাহের ছয় দিন ওএমএসের ডিলারদের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়।
গত সোমবার সরেজমিনে গাইবান্ধা শহরের বিভিন্ন ওএমএস পয়েন্টে দেখা গেছে, ওএমএসের পণ্য কিনতে স্বল্প আয়ের মানুষের লম্বা লাইন। পণ্য শেষ হওয়ায় ডিলার বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন। ক্রেতারা পণ্য না পেয়ে বাইরে হাহাকার করছেন। পরপর কয়েক দিন লাইনে দাঁড়িয়েও পণ্য পাচ্ছেন না বলে এমন অভিযোগ করছেন অনেকে।
এ সময় কথা হয় শহরের ডিবি রোড এলাকার ওএমএসের ডিলারের দোকানের লাইনে দাঁড়ানো গৃহপরিচারিকা ছালেদা বেগমের (৬০) সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘হামরা গরিব মানুষ। সংসারে এক প্রতিবন্ধীসহ পাঁচজন খানেআলা। এটি থাকি কম দামে চাল-আটা পালে কিছু পয়সা বাঁচে। তয় মাঝে-মধ্যেই চাল না পেয়ে খালি হাতে ঘুরে যাওয়া লাগে।’
গত বুধবার পৌর শহরের কলেজ রোডের ওএমএসের ডিলার গোলাম রহমান বলেন, ‘চাল কিনতে প্রতিদিন পাঁচ শতাধিক লোক আসে। কিন্তু আমার বরাদ্দ এক টন, যা দিয়ে ২০০ জন লোককে দেওয়া যায়। তাই আমাদের প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হয়।’
এ ব্যাপারে গাইবান্ধা জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক অন্তরা মল্লিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বরাদ্দ বাড়ানো ক্ষমতা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের নেই। শুরুতে দুই টন করে বরাদ্দ দেওয়া হতো। গত ১৬ অক্টোবর থেকে বরাদ্দ কমিয়ে এক টন করা হয়েছে। এ কারণেই এখন দুপুরের মধ্যেই পণ্য শেষ হয়ে যায়।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪