মেহেদী হাসান, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর)
‘বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কারণে বাপ-দাদার ভিটেমাটি গেল, আন্দোলন করতে গিয়ে জেল খাটতে হলো। একমাত্র সম্বল ছিল খনিতে শ্রমিকের কাজ। করোনার কারণে সেই চাকরি হারিয়ে এখন ভ্যান চালাই।’
কথাগুলো আক্ষেপ করে বলছিলেন দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির সাবেক শ্রমিক আবুল কালাম (৩৮)। বর্তমানে তিনি ভ্যানচালক। তাঁর মতো এ কয়লাখনির আরও ৫৪৫ জনকে করোনার সময় ছাঁটাই করা হয়েছে। বর্তমানে তাঁরা বেকার। তাঁদের আর কাজে নেওয়া হচ্ছে না। অন্য পেশায় তাঁরা মানিয়ে নিতেও পারছেন না।
সব মিলিয়ে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে তাঁদের জীবন।
আবুল কালামের বাড়ি ছিল খনিসংলগ্ন জিগাগাড়ী গ্রামে। ভূমি অধিগ্রহণে তাঁর বাড়ির ভিটেসহ ২০ শতক জমির জন্য ক্ষতিপূরণের মাত্র ৮ লাখ টাকা পেলেও অন্যত্র জায়গা কিনে বাড়ি করতে খরচ হয়েছে ১০ লাখ টাকা। এতে বাড়তি ঋণের বোঝা চেপেছে তাঁর মাথায়। আবুল কালাম বলেন, ‘করোনার কথা বলে আমাকেসহ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ৫৪৫ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়েছে। এতে আমরা মানবেতর জীবন যাপন করছি।’
জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৬ মার্চ কয়লাখনির দেশি ১ হাজার ৪৫ জন শ্রমিকের সবাইকে ছুটি দেওয়া হয়। সেই সময় শ্রমিকদের মাসিক ৪ হাজার টাকা ভাতা এবং দেড় হাজার টাকা রেশন বরাদ্দ হয়। কিন্তু অনেকেই শুধু রেশনের টাকা পেলেও ভাতার ৪ হাজার টাকা কেউ পায়নি বলে অভিযোগ শ্রমিকদের। করোনার পর খনি সচল করতে পর্যায়ক্রমে ৫০০ জনকে কাজে নেওয়া হলেও বাকিরা এখনো বেকার।
এরপর চলতি বছরের এপ্রিল মাসে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিএমসি-এক্সএমসি কনসোর্টিয়ামের অধীনে কর্মরত দেশি শ্রমিকেরা কর্মস্থলে যোগদান ও বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে মাসব্যাপী আন্দোলন করেন। দফায় দফায় আলোচনা শেষে খনি কর্তৃপক্ষ ওই সব শ্রমিককে দিয়েছে শুধুই আশ্বাস।
খনিশ্রমিক মো. রহিম উদ্দিনসহ অন্যান্য বেকার শ্রমিক জানান, করোনা-পরবর্তী সময়ে সব সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান চালু হলেও বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির শ্রমিকেরা নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগ দিতে পারেনি আজও। খনি কর্তৃপক্ষও নিচ্ছে না কোনো পদক্ষেপ।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘প্রায় দুই যুগ ধরে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দেশি শ্রমিকদের জিম্মি করে রেখেছে। আন্দোলন করলে চীনা কোম্পানি ও খনি কর্তৃপক্ষ উল্টো শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। শ্রমিকদের কাজে যোগদানের বিষয়ে কোনো সঠিক সিদ্ধান্ত কিংবা সমস্যার সমাধান হয়নি আজও।
এদিকে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো. জাফর সাদিক জানান, বর্তমানে খনিতে ৬৮০ জন দেশি শ্রমিক কাজ করছেন। শ্রমিক নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে দক্ষ শ্রমিক বাছাই করে নেওয়া হচ্ছে। কাজের বাইরে যেসব শ্রমিক আছেন, তাঁদের রেশন বাবদ দেড় হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে।
বাদ পড়া শ্রমিকদের বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন, চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভালো ও দক্ষ শ্রমিক বাছাই করে কাজে নিচ্ছে।
চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঝুঁকি এড়াতে যা ভালো মনে করছে, সেভাবেই কাজ করছে।’
‘বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কারণে বাপ-দাদার ভিটেমাটি গেল, আন্দোলন করতে গিয়ে জেল খাটতে হলো। একমাত্র সম্বল ছিল খনিতে শ্রমিকের কাজ। করোনার কারণে সেই চাকরি হারিয়ে এখন ভ্যান চালাই।’
কথাগুলো আক্ষেপ করে বলছিলেন দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির সাবেক শ্রমিক আবুল কালাম (৩৮)। বর্তমানে তিনি ভ্যানচালক। তাঁর মতো এ কয়লাখনির আরও ৫৪৫ জনকে করোনার সময় ছাঁটাই করা হয়েছে। বর্তমানে তাঁরা বেকার। তাঁদের আর কাজে নেওয়া হচ্ছে না। অন্য পেশায় তাঁরা মানিয়ে নিতেও পারছেন না।
সব মিলিয়ে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে তাঁদের জীবন।
আবুল কালামের বাড়ি ছিল খনিসংলগ্ন জিগাগাড়ী গ্রামে। ভূমি অধিগ্রহণে তাঁর বাড়ির ভিটেসহ ২০ শতক জমির জন্য ক্ষতিপূরণের মাত্র ৮ লাখ টাকা পেলেও অন্যত্র জায়গা কিনে বাড়ি করতে খরচ হয়েছে ১০ লাখ টাকা। এতে বাড়তি ঋণের বোঝা চেপেছে তাঁর মাথায়। আবুল কালাম বলেন, ‘করোনার কথা বলে আমাকেসহ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ৫৪৫ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়েছে। এতে আমরা মানবেতর জীবন যাপন করছি।’
জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৬ মার্চ কয়লাখনির দেশি ১ হাজার ৪৫ জন শ্রমিকের সবাইকে ছুটি দেওয়া হয়। সেই সময় শ্রমিকদের মাসিক ৪ হাজার টাকা ভাতা এবং দেড় হাজার টাকা রেশন বরাদ্দ হয়। কিন্তু অনেকেই শুধু রেশনের টাকা পেলেও ভাতার ৪ হাজার টাকা কেউ পায়নি বলে অভিযোগ শ্রমিকদের। করোনার পর খনি সচল করতে পর্যায়ক্রমে ৫০০ জনকে কাজে নেওয়া হলেও বাকিরা এখনো বেকার।
এরপর চলতি বছরের এপ্রিল মাসে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিএমসি-এক্সএমসি কনসোর্টিয়ামের অধীনে কর্মরত দেশি শ্রমিকেরা কর্মস্থলে যোগদান ও বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে মাসব্যাপী আন্দোলন করেন। দফায় দফায় আলোচনা শেষে খনি কর্তৃপক্ষ ওই সব শ্রমিককে দিয়েছে শুধুই আশ্বাস।
খনিশ্রমিক মো. রহিম উদ্দিনসহ অন্যান্য বেকার শ্রমিক জানান, করোনা-পরবর্তী সময়ে সব সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান চালু হলেও বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির শ্রমিকেরা নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগ দিতে পারেনি আজও। খনি কর্তৃপক্ষও নিচ্ছে না কোনো পদক্ষেপ।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘প্রায় দুই যুগ ধরে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দেশি শ্রমিকদের জিম্মি করে রেখেছে। আন্দোলন করলে চীনা কোম্পানি ও খনি কর্তৃপক্ষ উল্টো শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। শ্রমিকদের কাজে যোগদানের বিষয়ে কোনো সঠিক সিদ্ধান্ত কিংবা সমস্যার সমাধান হয়নি আজও।
এদিকে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো. জাফর সাদিক জানান, বর্তমানে খনিতে ৬৮০ জন দেশি শ্রমিক কাজ করছেন। শ্রমিক নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে দক্ষ শ্রমিক বাছাই করে নেওয়া হচ্ছে। কাজের বাইরে যেসব শ্রমিক আছেন, তাঁদের রেশন বাবদ দেড় হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে।
বাদ পড়া শ্রমিকদের বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন, চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভালো ও দক্ষ শ্রমিক বাছাই করে কাজে নিচ্ছে।
চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঝুঁকি এড়াতে যা ভালো মনে করছে, সেভাবেই কাজ করছে।’
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫