Ajker Patrika

‘অচেনা প্রাণী’ খ্যাঁকশিয়াল হিসেবে শনাক্ত

পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২১, ২২: ০৮
‘অচেনা প্রাণী’ খ্যাঁকশিয়াল হিসেবে শনাক্ত

দেড় মাসের অধিক সময় ধরে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ছয়টি গ্রামে ছড়িয়ে পড়া আতঙ্ক ‘অচেনা প্রাণী’ শিয়াল বলে শনাক্ত করেছে ঢাকা থেকে আসা বন বিভাগের তিন সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ দল।

গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের তালুক কেওয়াবাড়ী গ্রামে দলের সদস্য বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ মো. কামরুদ্দীন রাশেদ বলেন, ‘মঙ্গলবার ও বুধবার আমরা এসব এলাকায় কাজ করেছি। তা ছাড়া স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলাসহ বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছি। এসব এলাকায় ছোট ছোট শিয়াল ও খ্যাঁকশিয়ালের অবাধ বিচরণ রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘রাজশাহী বন বিভাগের বন্যপ্রাণী প্রকৃতি সংরক্ষণ দলের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে, এটা ছোট প্রকৃতির শিয়াল বা খ্যাঁকশিয়াল। পর্যবেক্ষণকালে আমরা এই এলাকায় অধিক সংখ্যক শিয়ালজাতীয় প্রাণীর উপস্থিতি পেয়েছি। সেখানকার বেশির ভাগ শিয়ালকে আমরা স্বাভাবিক থাকতে দেখেছি। খুব স্বল্পসংখ্যক শিয়াল জলাতঙ্ক ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় এই ঘটনা ঘটছে।’

রাজশাহী বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর কবীর হতাহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে অবাধে বন্যপ্রাণী হত্যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ, যেটা এই এলাকাগুলোতে ঘটানো হচ্ছে। ডুমুরগাছা গ্রামে একটি মেছো বিড়ালকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এটা কখনোই কাম্য নয়।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ মাহবুব-ই-খোদা জুয়েল, গাজী সাইফুল তারিক, মো. রাহাত হোসেন, জাহাঙ্গীর কবির, মো. রাকিবুল হাসান, মো. রিফাত হাসান, মো. জিসান মাহমুদ, মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত দেড় মাস ধরে পলাশবাড়ী উপজেলার ছয়টি গ্রামে অচেনা প্রাণীর আক্রমণ শুরু হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত