Ajker Patrika

বুকিং ম্যানেজার জেলে স্টেশন মাস্টার বরখাস্ত

কাউনিয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ অক্টোবর ২০২১, ১৮: ১৭
বুকিং ম্যানেজার জেলে স্টেশন মাস্টার বরখাস্ত

কাউনিয়া রেলওয়ে স্টেশনে টিকিট বিক্রির প্রায় ৩৪ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় স্টেশনের প্রধান টিকিট বুকিং ম্যানেজার মিশুক আল মামুনকে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে দায়িত্বে অবহেলার দায়ে স্টেশন মাস্টার বাবু আল রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের লালমনিরহাট ডিভিশনাল ম্যানেজার শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শাহ সুফি জানান, কাউনিয়া স্টেশনে গত ছয় মাস ধরে লালমনিরহাট ও রংপুর এক্সপ্রেস আন্তনগরসহ বিভিন্ন রুটের ১৪টি ট্রেনের টিকিট বিক্রির টাকা রেলওয়ে কোষাগারে জমা হয়নি। টিকিট বিক্রির প্রায় ৩৪ লাখ টাকা স্টেশনের প্রধান টিকিট বুকিং ম্যানেজার মামুন সরকারি কোষাগারে জমা না করে আত্মসাৎ করেন। টাকা জমা না হওয়ার বিষয়টি গত ২৪ সেপ্টেম্বর শাহ সুফির নজরে আসে। তিনি খতিয়ে দেখার পর টিকিট বিক্রির টাকায় গরমিলের বিষয়টি ধরা পড়ে। এ ঘটনায় তিনি গত ৪ অক্টোবর মামুনকে তাঁর কার্যালয়ে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পর দেখা যায় টিকিট বিক্রির টাকা কোষাগারে জমা না করে আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মামুনকে জিআরপি থানায় সোপর্দ করা হয় এবং ওই দিনই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

লালমনিরহাট ডিভিশনাল ম্যানেজার বলেন, এ ঘটনায় ওই দিনই লালমনিরহাট রেলওয়ের জুনিয়ার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ছহির উদ্দিন বাদী হয়ে মামুনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় মামুনকে গ্রেপ্তার করে রংপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

শাহ সুফি আরও জানান, রেলওয়ের একমাত্র রাজস্ব আদায় হয় যাত্রীদের কাছে টিকিট বিক্রি করে। নিয়ম রয়েছে স্টেশনের টিকিট বুকিং ম্যানেজার কাউন্টারে প্রতিদিন যাত্রীদের কাছে টিকিট বিক্রির টাকা হিসেব করে স্টেশন মাস্টারের কাছে জমা দেবেন। আর স্টেশন মাস্টারের দায়িত্ব হলো টিকিট বুকিং ম্যানেজারের কাছ থেকে বুঝে নেওয়া টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করবেন।

অথচ কাউনিয়া স্টেশনের মাস্টার রশিদ গত ছয় মাস ধরে টিকিট বিক্রির টাকা বুঝে নেননি। আর তাঁর উদাসীনতা ও নজরদারির অভাবে মামুন রেলের টাকা আত্মসাত করেন। এ ঘটনায় স্টেশন মাস্টার রশিদের দায়িত্বে অবহেলার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। তাই তাঁকে ৪ অক্টোবর দায়িত্বে অবহেলার দায়ে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

টাকা আত্মসাতে মামুনের সঙ্গে রশিদের সম্পৃক্ততা আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান শাহ সুফি।

এ বিষয়ে স্টেশন মাস্টার রশিদের বক্তব্য জানতে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। মেসেজ পাঠিয়েও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত