শিপুল ইসলাম, রংপুর
কাজের সন্ধানে ৩০ বছর আগে রংপুর শহরে স্বামীর সঙ্গে আসেন জুলেখা বেগম। বস্তির ভাড়া বাসায় দিনমজুরির আয়ে পাতেন সুখের সংসার। একে একে তিন সন্তান জন্ম নিলে সংসারের ব্যয় বাড়ে। তাই দিনমজুরি ছেড়ে স্বামী ধরেন কলার ব্যবসা। জুলেখা করেন রাজমিস্ত্রির সহকারীর কাজ। কিন্তু সাত বছর আগে স্বামী মারা গেলে সংসারের সব দায়িত্ব পড়ে জুলেখার ওপর। তিনি পথের ধারে শুরু করেন ডাব বিক্রির ব্যবসা। এতে যা আয় হতো তা দিয়ে সাত সদস্যের সংসার ভালোই চলত। কিন্তু ঊর্ধ্বমুখী বাজারদরের কারণে এখন কোনোভাবেই সংসার সামলাতে পারছেন না জুলেখা। আয় থেকে
ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় মূলধন ভাঙিয়ে চলতে হচ্ছে তাঁকে।
সম্প্রতি রংপুরের সুরভি উদ্যানের সামনে কথা হয় জুলেখার সঙ্গে। তিনি জানান, আড়ত থেকে প্রতিটি ডাব ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় কেনেন তিনি। গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করেন ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। আগে প্রতিদিন গড়ে ১২০টি ডাব বিক্রি করতে পারলেও এখন তার অর্ধেকও বিক্রি হয় না। অনেক সময় কেনা দামের কমেও ডাব বিক্রি করতে হয়। প্রতিদিন এ ব্যবসা থেকে তাঁর আয় ৫০০ টাকার মতো। কিন্তু দৈনিক সংসার চালাতে লাগে ৬০০ টাকা। ফলে কমতে শুরু করেছে ব্যবসার মূলধন।
এক দিনের সংসার খরচের হিসাব দিয়ে জুলেখা জানান, সংসারে সাতজন সদস্য এই ডাব বিক্রির আয়ে চলে। আগে এ ব্যবসার আয়ে খেয়েপরে কিছু জমাও করেছিলেন তিনি। সেই টাকায় তিন শতক জমি কিনে শালবন মিস্ত্রিপাড়ায় টিনের ঝুপড়ি বানিয়ে সন্তান, নাতি-নাতনিদের নিয়ে থাকেন। এখন তিন বেলার খাবারের টাকা জোটাতে পারছেন না জুলেখা। মূলধন প্রায় শেষ। মহাজনের কাছে বাকিতে ডাব এনে বিক্রি করছেন।
আগে যে মানুষগুলো তাঁর নিয়মিত গ্রাহক ছিলেন, তাঁরা এখন মাসে দু-এক দিন আসেন। সবারই সংসারের খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় বাড়েনি আয়। তাই কাটছাঁট করে চলছে সবাই। এমনি একজন নগরীর মুন্সিপাড়ার বাসিন্দা জীবন মিয়া। তিনি একটি বেসরকারি সংস্থায় ১৫ হাজার টাকা মাসিক বেতনে চাকরি করেন। এক সন্তান স্কুলে পড়ে। গত এক বছরে নিত্যপণ্যের দাম, বাসাভাড়া, জ্বালানির দাম বাড়লেও তাঁর বেতন বাড়েনি।
জীবন মিয়া বলেন, ‘আগে সপ্তাহে চাচির (জুলেখা) এখানে দুই দিন ডাব খেতাম। এখন মাসে এক দিনও আসতে পারি না। যেভাবে তরিতরকারি, চাল-ডাল, তেলের দাম বাড়ছে, তাতে একবেলা খেয়ে না খেয়ে বাঁচতে হচ্ছে। বেতনের টাকা বাদেও মাস শেষে বন্ধু, স্বজনদের কাছে ধার করতে হচ্ছে।’
এত কিছুর পরও জুলেখা নিয়মিত খবর শোনেন। তিনি জানতে পেরেছেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দেশে মন্দা আসবে। সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে মন্দা মোকাবিলায়। তাই এক ইঞ্চি জমিও যেন খালি পড়ে না থাকে। সবাইকে খাদ্যশস্য ফলাতে হবে। কিন্তু জুলেখার তো খাদ্যশস্য চাষের মতো জায়গা নেই! তাই সামনের দিনগুলো কীভাবে পার করবেন, সে চিন্তাও পেয়ে বসেছে তাঁকে। শুধু জুলেখাই নন। সংসার খরচ চালাতে এখন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো হিমশিম খাচ্ছে। সবচেয়ে কষ্টে আছেন ভূমিহীন দিনমজুরেরা।
কাজের সন্ধানে ৩০ বছর আগে রংপুর শহরে স্বামীর সঙ্গে আসেন জুলেখা বেগম। বস্তির ভাড়া বাসায় দিনমজুরির আয়ে পাতেন সুখের সংসার। একে একে তিন সন্তান জন্ম নিলে সংসারের ব্যয় বাড়ে। তাই দিনমজুরি ছেড়ে স্বামী ধরেন কলার ব্যবসা। জুলেখা করেন রাজমিস্ত্রির সহকারীর কাজ। কিন্তু সাত বছর আগে স্বামী মারা গেলে সংসারের সব দায়িত্ব পড়ে জুলেখার ওপর। তিনি পথের ধারে শুরু করেন ডাব বিক্রির ব্যবসা। এতে যা আয় হতো তা দিয়ে সাত সদস্যের সংসার ভালোই চলত। কিন্তু ঊর্ধ্বমুখী বাজারদরের কারণে এখন কোনোভাবেই সংসার সামলাতে পারছেন না জুলেখা। আয় থেকে
ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় মূলধন ভাঙিয়ে চলতে হচ্ছে তাঁকে।
সম্প্রতি রংপুরের সুরভি উদ্যানের সামনে কথা হয় জুলেখার সঙ্গে। তিনি জানান, আড়ত থেকে প্রতিটি ডাব ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় কেনেন তিনি। গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করেন ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। আগে প্রতিদিন গড়ে ১২০টি ডাব বিক্রি করতে পারলেও এখন তার অর্ধেকও বিক্রি হয় না। অনেক সময় কেনা দামের কমেও ডাব বিক্রি করতে হয়। প্রতিদিন এ ব্যবসা থেকে তাঁর আয় ৫০০ টাকার মতো। কিন্তু দৈনিক সংসার চালাতে লাগে ৬০০ টাকা। ফলে কমতে শুরু করেছে ব্যবসার মূলধন।
এক দিনের সংসার খরচের হিসাব দিয়ে জুলেখা জানান, সংসারে সাতজন সদস্য এই ডাব বিক্রির আয়ে চলে। আগে এ ব্যবসার আয়ে খেয়েপরে কিছু জমাও করেছিলেন তিনি। সেই টাকায় তিন শতক জমি কিনে শালবন মিস্ত্রিপাড়ায় টিনের ঝুপড়ি বানিয়ে সন্তান, নাতি-নাতনিদের নিয়ে থাকেন। এখন তিন বেলার খাবারের টাকা জোটাতে পারছেন না জুলেখা। মূলধন প্রায় শেষ। মহাজনের কাছে বাকিতে ডাব এনে বিক্রি করছেন।
আগে যে মানুষগুলো তাঁর নিয়মিত গ্রাহক ছিলেন, তাঁরা এখন মাসে দু-এক দিন আসেন। সবারই সংসারের খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় বাড়েনি আয়। তাই কাটছাঁট করে চলছে সবাই। এমনি একজন নগরীর মুন্সিপাড়ার বাসিন্দা জীবন মিয়া। তিনি একটি বেসরকারি সংস্থায় ১৫ হাজার টাকা মাসিক বেতনে চাকরি করেন। এক সন্তান স্কুলে পড়ে। গত এক বছরে নিত্যপণ্যের দাম, বাসাভাড়া, জ্বালানির দাম বাড়লেও তাঁর বেতন বাড়েনি।
জীবন মিয়া বলেন, ‘আগে সপ্তাহে চাচির (জুলেখা) এখানে দুই দিন ডাব খেতাম। এখন মাসে এক দিনও আসতে পারি না। যেভাবে তরিতরকারি, চাল-ডাল, তেলের দাম বাড়ছে, তাতে একবেলা খেয়ে না খেয়ে বাঁচতে হচ্ছে। বেতনের টাকা বাদেও মাস শেষে বন্ধু, স্বজনদের কাছে ধার করতে হচ্ছে।’
এত কিছুর পরও জুলেখা নিয়মিত খবর শোনেন। তিনি জানতে পেরেছেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দেশে মন্দা আসবে। সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে মন্দা মোকাবিলায়। তাই এক ইঞ্চি জমিও যেন খালি পড়ে না থাকে। সবাইকে খাদ্যশস্য ফলাতে হবে। কিন্তু জুলেখার তো খাদ্যশস্য চাষের মতো জায়গা নেই! তাই সামনের দিনগুলো কীভাবে পার করবেন, সে চিন্তাও পেয়ে বসেছে তাঁকে। শুধু জুলেখাই নন। সংসার খরচ চালাতে এখন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো হিমশিম খাচ্ছে। সবচেয়ে কষ্টে আছেন ভূমিহীন দিনমজুরেরা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪