সম্পাদকীয়
আমাদের দেশের সাধারণ এবং নিম্ন আয়ের মানুষ ভালো নেই। কেন ভালো নেই? এক কথায় জবাব দেওয়া কঠিন। জীবনযাত্রার ব্যয় প্রতিদিন বাড়তে থাকায় মানুষ এখন হিমশিম খাচ্ছে। বাজারে কোনো জিনিসের দাম স্থির থাকছে না। সম্প্রতি গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রভাব পড়েছে সাধারণ মানুষের ওপর। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নেই। দাম বাড়লে উচ্চবিত্ত, উচ্চ-মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের তেমন গায়ে না লাগলেও মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত, সীমিত ও স্বল্প আয়ের মানুষকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় বা হচ্ছে। হিসাব মেলাতে পারে না—কোনটি বাদ দিয়ে কোনটি কিনবে।
দাম বাড়ানোর পর তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) খুচরা পর্যায়ে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। আজকের পত্রিকায় বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, বুধবার জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সভায় উৎপাদক, পরিবেশক ও খুচরা বিক্রেতাদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের নির্ধারিত দাম ১ হাজার ৪২৩ টাকা। কিন্তু এই দামে বিক্রি করছেন না উৎপাদকেরা। পরিবেশকদের কাছ থেকে তাঁরা নিচ্ছেন ১ হাজার ৫২০ টাকা করে। আর খুচরা পর্যায়ে ১ হাজার ৪৯৮ টাকা দাম ঠিক করে দেওয়া হলেও ১ হাজার ৭০০ টাকার নিচে মিলছে না গ্যাস সিলিন্ডার। কোথাও কোথাও ১ হাজার ৮০০ টাকায় তা বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ, গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় ২০০-২৫০ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে।
উৎপাদক, পরিবেশক, খুচরা বিক্রেতা—কেউ-ই বিইআরসির নির্ধারিত দামে গ্যাস কেন বিক্রি করছে না, সেটা একটা বড় প্রশ্ন। এ বিষয়ে পরিবেশকদের বক্তব্য হলো, উৎপাদকেরা বেশি দাম নিচ্ছেন বলেই তাঁদের পক্ষে নির্ধারিত দামে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে উৎপাদকেরা বলছেন, ডলারের উচ্চমূল্যের কারণে তাঁদের আমদানি ব্যয় বেড়েছে। এ ছাড়া ডলারের সংকটে এলসি খুলতে সমস্যা হওয়ায় পণ্য খালাস করতে না পারায় এর প্রভাব পড়েছে দামে।
উৎপাদক, পরিবেশক, খুচরা বিক্রেতা–সবাই দাম বাড়িয়ে মুনাফা করছেন আর ক্ষতির শিকার হচ্ছে সাধারণ ক্রেতারা। এই ক্রেতাদের অধিকাংশই নিম্ন আয়ের মানুষ। প্রতিনিয়ত তাদের ব্যয় বাড়ছে কিন্তু আয় বাড়ছে না। এলপিজি বেশি দামে কিনতে গিয়ে তাদের পকেট যে আরও খালি হবে, সে খবর কে রাখবে? পেটে কিছু দিতে হলে তো চুলা জ্বালাতেই হবে। গ্যাস সিলিন্ডারের দামের তাপ ভোক্তার পকেট পোড়ায়, চাল সিদ্ধ করে না।
দেশে ভোক্তাদের নিয়ে কথা বলার প্রতিষ্ঠান ও আইন থাকলেও কেউ কি এসব তোয়াক্কা করে? জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বলে একটি প্রতিষ্ঠান আছে, কিন্তু এই সংগঠন যে ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণ করছে, তার কোনো নজির কি দেখা যায়? গরু গোয়ালে না থেকে শুধু কেতাবে থাকলে কী লাভ?
আমাদের দেশের সাধারণ এবং নিম্ন আয়ের মানুষ ভালো নেই। কেন ভালো নেই? এক কথায় জবাব দেওয়া কঠিন। জীবনযাত্রার ব্যয় প্রতিদিন বাড়তে থাকায় মানুষ এখন হিমশিম খাচ্ছে। বাজারে কোনো জিনিসের দাম স্থির থাকছে না। সম্প্রতি গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রভাব পড়েছে সাধারণ মানুষের ওপর। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নেই। দাম বাড়লে উচ্চবিত্ত, উচ্চ-মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের তেমন গায়ে না লাগলেও মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত, সীমিত ও স্বল্প আয়ের মানুষকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় বা হচ্ছে। হিসাব মেলাতে পারে না—কোনটি বাদ দিয়ে কোনটি কিনবে।
দাম বাড়ানোর পর তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) খুচরা পর্যায়ে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। আজকের পত্রিকায় বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, বুধবার জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সভায় উৎপাদক, পরিবেশক ও খুচরা বিক্রেতাদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের নির্ধারিত দাম ১ হাজার ৪২৩ টাকা। কিন্তু এই দামে বিক্রি করছেন না উৎপাদকেরা। পরিবেশকদের কাছ থেকে তাঁরা নিচ্ছেন ১ হাজার ৫২০ টাকা করে। আর খুচরা পর্যায়ে ১ হাজার ৪৯৮ টাকা দাম ঠিক করে দেওয়া হলেও ১ হাজার ৭০০ টাকার নিচে মিলছে না গ্যাস সিলিন্ডার। কোথাও কোথাও ১ হাজার ৮০০ টাকায় তা বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ, গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় ২০০-২৫০ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে।
উৎপাদক, পরিবেশক, খুচরা বিক্রেতা—কেউ-ই বিইআরসির নির্ধারিত দামে গ্যাস কেন বিক্রি করছে না, সেটা একটা বড় প্রশ্ন। এ বিষয়ে পরিবেশকদের বক্তব্য হলো, উৎপাদকেরা বেশি দাম নিচ্ছেন বলেই তাঁদের পক্ষে নির্ধারিত দামে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে উৎপাদকেরা বলছেন, ডলারের উচ্চমূল্যের কারণে তাঁদের আমদানি ব্যয় বেড়েছে। এ ছাড়া ডলারের সংকটে এলসি খুলতে সমস্যা হওয়ায় পণ্য খালাস করতে না পারায় এর প্রভাব পড়েছে দামে।
উৎপাদক, পরিবেশক, খুচরা বিক্রেতা–সবাই দাম বাড়িয়ে মুনাফা করছেন আর ক্ষতির শিকার হচ্ছে সাধারণ ক্রেতারা। এই ক্রেতাদের অধিকাংশই নিম্ন আয়ের মানুষ। প্রতিনিয়ত তাদের ব্যয় বাড়ছে কিন্তু আয় বাড়ছে না। এলপিজি বেশি দামে কিনতে গিয়ে তাদের পকেট যে আরও খালি হবে, সে খবর কে রাখবে? পেটে কিছু দিতে হলে তো চুলা জ্বালাতেই হবে। গ্যাস সিলিন্ডারের দামের তাপ ভোক্তার পকেট পোড়ায়, চাল সিদ্ধ করে না।
দেশে ভোক্তাদের নিয়ে কথা বলার প্রতিষ্ঠান ও আইন থাকলেও কেউ কি এসব তোয়াক্কা করে? জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বলে একটি প্রতিষ্ঠান আছে, কিন্তু এই সংগঠন যে ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণ করছে, তার কোনো নজির কি দেখা যায়? গরু গোয়ালে না থেকে শুধু কেতাবে থাকলে কী লাভ?
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫