তাসনীম হাসান, চট্টগ্রাম
ঘড়ির কাঁটায় তখন বেলা ১টা। মাথার ওপর জ্যৈষ্ঠের রোদ। এমন গরমে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে অর্ধশতাধিক মানুষ ঘামছিলেন। ওয়াসার জনতা ব্যাংকের করপোরেট শাখায় তাঁরা এসেছিলেন পানির বকেয়া বিল আর নতুন মিটার সংযোগ নেওয়ার টাকা জমা দিতে। যখন তাঁরা একেবারে বিল জমা নেওয়ার জানালার কাছাকাছি পৌঁছালেন, তখন ভেতর থেকে বলা হলো, এখন আর বিল নেওয়া হবে না।
এই চিত্র গত রোববারের। সেই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিদের একজন সঞ্জিত দাশ। কোতোয়ালি থেকে একটি ভবনের এই অফিস সহকারী প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে থেকে অসুস্থতাবোধ করছিলেন। এরপরও দাঁড়িয়ে ছিলেন বকেয়া বিল দিতে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেই সকাল ১০টা থেকে দাঁড়িয়ে আছি। তিন ঘণ্টা দাঁড়ানোর পর বলা হলো, বিল নেবে না। এখন মালিককে আমি কী জবাব দেব?’
শুধু সঞ্জিত নন, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়েও ব্যাংকে বিল জমা দিতে না পেরে প্রতিদিনই অনেক গ্রাহককে ফিরে যেতে হচ্ছে। মূলত গত দুই সপ্তাহ ধরে ওয়াসার সার্ভার জটিলতা দেখা দিয়েছে। এ কারণে বিল তৈরিসহ নানা কাজে সমস্যায় পড়ছেন ওয়াসার কর্মকর্তারা। এ জটিলতার কারণে বিল জমা নিতেও সমস্যা তৈরি হয়েছে। অনেক সময় দীর্ঘক্ষণে বিল নেওয়া যাচ্ছে না। আবার কখনো কখনো একেবারেই কাজ করছে না। এ কারণে ব্যাংক কর্মকর্তারাও পড়েছেন ভোগান্তিতে। যার প্রভাব পড়েছে গ্রাহকদের মধ্যেও।
গতকাল সোমবার দুপুরে ব্যাংকে বিল দিতে না পেরে সমাধান খুঁজতে গ্রাহকদের অনেকে ওয়াসার বাণিজ্যিক কর্মকর্তার দপ্তরে যান। সেখানে যাওয়া গ্রাহকদের একজন আবুল কাশেম। মাদারবাড়ি থেকে আসা এই গ্রাহকের বিল জমা দেওয়ার শেষদিন ছিল গতকাল। আবুল কাশেম বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ে বিল জমা দিতে না পারলে জরিমানা গুনতে হবে। কিন্তু বিল দিতে পারছি না।’
আগ্রাবাদ থেকে ওয়াসার নতুন মিটার সংযোগের বিল জমা দিতে এসেছিলেন আরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়েও বিল দিতে পারিনি। এখন কোনো সমাধান আছে কিনা জানতে কর্মকর্তাদের দপ্তরে দপ্তরে ঘুরছি।’
ওয়াসা ভবনের নিচ তলার দক্ষিণ পাশে জনতা ব্যাংকের শাখাটির অবস্থান। প্রতিদিন এই শাখায় ২৫০ থেকে ৩০০ জন গ্রাহক বিল জমা দেন। গত দুই সপ্তাহ ধরে সার্ভার জটিলতার কারণে তাঁদের বিল দিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আবার না দিতে পেরে ফিরেও যেতে হচ্ছে।
জনতা ব্যাংকের ওয়াসা ওয়াসা করপোরেট শাখার ব্যবস্থাপক অঞ্জনা রানী দেবী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসলে ব্যাংকে কোনো সমস্যা নেই। সমস্যাটা তৈরি হয়েছে ওয়াসার সার্ভার জটিলতার কারণে। এই জটিলতায় বিলগুলো তাদের সফটওয়্যারে পোস্টিং নিচ্ছে না। দুই সপ্তাহ ধরে সার্ভারের এই সমস্যা চলছে। গত সপ্তাহে আমাদের কয়েকজন কর্মকর্তা কয়েকবার ওয়াসার দপ্তরে গিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে। আজ (সোমবার) ওয়াসার কয়েকজন কর্মকর্তা আসলে আমরা পুনরায় তাঁদের বিষয়টি জানিয়েছি। সার্ভার ঠিক হয়ে গেলে, আমাদের কাজ করতেও আর সমস্যায় পড়তে হবে না। ফলে গ্রাহকদের ভোগান্তিও দূর হবে।’
গ্রাহকদের কাছে অভিযোগ পেয়ে জনতা ব্যাংকের কার্যালয়ে যান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আবু সাফায়েত মোহাম্মদ শাহেদুল ইসলাম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি অফিশিয়াল সফরে এত দিন রাজশাহী ছিলাম। গ্রাহকদের কাছ থেকে বিষয়টি জানার পর নিজেই ব্যাংকে গিয়ে তাঁদের বিল নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করি। আর সার্ভার জটিলতা নিরসনে টানা কাজ চলছে। আশা করছি, রাতের মধ্যেই সমস্যা মিটে যাবে।’
ঘড়ির কাঁটায় তখন বেলা ১টা। মাথার ওপর জ্যৈষ্ঠের রোদ। এমন গরমে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে অর্ধশতাধিক মানুষ ঘামছিলেন। ওয়াসার জনতা ব্যাংকের করপোরেট শাখায় তাঁরা এসেছিলেন পানির বকেয়া বিল আর নতুন মিটার সংযোগ নেওয়ার টাকা জমা দিতে। যখন তাঁরা একেবারে বিল জমা নেওয়ার জানালার কাছাকাছি পৌঁছালেন, তখন ভেতর থেকে বলা হলো, এখন আর বিল নেওয়া হবে না।
এই চিত্র গত রোববারের। সেই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিদের একজন সঞ্জিত দাশ। কোতোয়ালি থেকে একটি ভবনের এই অফিস সহকারী প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে থেকে অসুস্থতাবোধ করছিলেন। এরপরও দাঁড়িয়ে ছিলেন বকেয়া বিল দিতে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেই সকাল ১০টা থেকে দাঁড়িয়ে আছি। তিন ঘণ্টা দাঁড়ানোর পর বলা হলো, বিল নেবে না। এখন মালিককে আমি কী জবাব দেব?’
শুধু সঞ্জিত নন, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়েও ব্যাংকে বিল জমা দিতে না পেরে প্রতিদিনই অনেক গ্রাহককে ফিরে যেতে হচ্ছে। মূলত গত দুই সপ্তাহ ধরে ওয়াসার সার্ভার জটিলতা দেখা দিয়েছে। এ কারণে বিল তৈরিসহ নানা কাজে সমস্যায় পড়ছেন ওয়াসার কর্মকর্তারা। এ জটিলতার কারণে বিল জমা নিতেও সমস্যা তৈরি হয়েছে। অনেক সময় দীর্ঘক্ষণে বিল নেওয়া যাচ্ছে না। আবার কখনো কখনো একেবারেই কাজ করছে না। এ কারণে ব্যাংক কর্মকর্তারাও পড়েছেন ভোগান্তিতে। যার প্রভাব পড়েছে গ্রাহকদের মধ্যেও।
গতকাল সোমবার দুপুরে ব্যাংকে বিল দিতে না পেরে সমাধান খুঁজতে গ্রাহকদের অনেকে ওয়াসার বাণিজ্যিক কর্মকর্তার দপ্তরে যান। সেখানে যাওয়া গ্রাহকদের একজন আবুল কাশেম। মাদারবাড়ি থেকে আসা এই গ্রাহকের বিল জমা দেওয়ার শেষদিন ছিল গতকাল। আবুল কাশেম বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ে বিল জমা দিতে না পারলে জরিমানা গুনতে হবে। কিন্তু বিল দিতে পারছি না।’
আগ্রাবাদ থেকে ওয়াসার নতুন মিটার সংযোগের বিল জমা দিতে এসেছিলেন আরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়েও বিল দিতে পারিনি। এখন কোনো সমাধান আছে কিনা জানতে কর্মকর্তাদের দপ্তরে দপ্তরে ঘুরছি।’
ওয়াসা ভবনের নিচ তলার দক্ষিণ পাশে জনতা ব্যাংকের শাখাটির অবস্থান। প্রতিদিন এই শাখায় ২৫০ থেকে ৩০০ জন গ্রাহক বিল জমা দেন। গত দুই সপ্তাহ ধরে সার্ভার জটিলতার কারণে তাঁদের বিল দিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আবার না দিতে পেরে ফিরেও যেতে হচ্ছে।
জনতা ব্যাংকের ওয়াসা ওয়াসা করপোরেট শাখার ব্যবস্থাপক অঞ্জনা রানী দেবী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসলে ব্যাংকে কোনো সমস্যা নেই। সমস্যাটা তৈরি হয়েছে ওয়াসার সার্ভার জটিলতার কারণে। এই জটিলতায় বিলগুলো তাদের সফটওয়্যারে পোস্টিং নিচ্ছে না। দুই সপ্তাহ ধরে সার্ভারের এই সমস্যা চলছে। গত সপ্তাহে আমাদের কয়েকজন কর্মকর্তা কয়েকবার ওয়াসার দপ্তরে গিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে। আজ (সোমবার) ওয়াসার কয়েকজন কর্মকর্তা আসলে আমরা পুনরায় তাঁদের বিষয়টি জানিয়েছি। সার্ভার ঠিক হয়ে গেলে, আমাদের কাজ করতেও আর সমস্যায় পড়তে হবে না। ফলে গ্রাহকদের ভোগান্তিও দূর হবে।’
গ্রাহকদের কাছে অভিযোগ পেয়ে জনতা ব্যাংকের কার্যালয়ে যান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আবু সাফায়েত মোহাম্মদ শাহেদুল ইসলাম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি অফিশিয়াল সফরে এত দিন রাজশাহী ছিলাম। গ্রাহকদের কাছ থেকে বিষয়টি জানার পর নিজেই ব্যাংকে গিয়ে তাঁদের বিল নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করি। আর সার্ভার জটিলতা নিরসনে টানা কাজ চলছে। আশা করছি, রাতের মধ্যেই সমস্যা মিটে যাবে।’
সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশে বিদেশে’ বইয়ের হরফুন মৌলা বা সকল কাজের কাজী আবদুর রহমানের বলা একটি বাক্য—‘ইনহাস্ত ওয়াতানাম’—‘এই আমার জন্মভূমি’। সে কথা বলার সময় আফগানি আবদুর রহমানের চোখেমুখে যে অম্লান দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছিল, সে কথা দিব্যি অনুভব করে নেওয়া যায়...
১০ ঘণ্টা আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪