Ajker Patrika

সাদা বলে যেখানে স্বস্তি, টেস্টে সেখানেই চিন্তা বাংলাদেশের

লাইছ ত্বোহা, চট্টগ্রাম থেকে
সাদা বলে যেখানে স্বস্তি, টেস্টে সেখানেই চিন্তা বাংলাদেশের

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ওয়ানডে সিরিজের মধ্যেই কাল টেস্টের আবহ মিলল শ্রীলঙ্কার অনুশীলনে। ধনঞ্জয়া ডি সিলভা-মাহেশ তিকসানারা জোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন লাল বলের। ২২ মার্চ সিলেটে শুরু টেস্ট সিরিজ সামনে রেখে লাল বলের অনুশীলন শুরু করেছেন শুধু বাংলাদেশ টেস্ট দলে থাকা খালেদ আহমেদের মতো পেসারও। মিরপুরে তাঁর সঙ্গে লাল বলের অনুশীলন করছেন নাহিদ রানার মতো তরুণ পেসার, যিনি সবশেষ দুই বিপিএলে গতি দিয়ে বিশেষ নজর কেড়েছেন।

কাল চট্টগ্রামে ওয়ানডে সিরিজের অলিখিত ফাইনালের পরই বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের মনোযোগের কেন্দ্রে চলে আসবে টেস্ট। টেস্ট সিরিজের আগে বাংলাদেশের চিন্তা হতে পারে পেস বোলিং আক্রমণে সেরা কম্বিনেশন পাওয়া নিয়ে। সাদা বলে যে পেস বিভাগ নিয়ে খুব একটা চিন্তা করতে হয় না, লাল বলে সেটিই চন্ডিকা হাথুরুসিংহের কপালের ভাঁজ বাড়াবে নিশ্চিত। চোটের সমস্যায় ইবাদত হোসেন, তাসকিন আহমেদ টেস্টে নেই। অনেক আগে থেকে টেস্ট খেলেন না মোস্তাফিজুর রহমান। তাহলে সিলেট-চট্টগ্রামের স্পোর্টিং উইকেটে লঙ্কান ব্যাটারদের ‘হুমকি’ হতে বাংলাদেশের পেস বোলিং আক্রমণ সামলাবেন কারা? সবার আগে ছন্দে থাকা শরীফুল ইসলামের নাম আসবে। খালেদের নামও যোগ করতে হচ্ছে। টিম ম্যানেজমেন্টের বার্তা পেয়ে মিরপুর একাডেমি মাঠে গতকাল লাল বলের অনুশীলন শুরু করেছেন তিনি।

খালেদের পারফরম্যান্স অবশ্য খুব একটা আশাবাদী হওয়ার মতো নয়। নিজের শেষ ৭ ইনিংসের মধ্যে ৫ ইনিংসেই খালেদ ছিলেন উইকেটশূন্য। সুযোগ পাননি আফগানিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দেশের মাঠে হওয়া সবশেষ টেস্ট সিরিজে। শরীফুলের সঙ্গে তোপ দাগাতে অভিজ্ঞ কোনো পেসারকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। টেস্টের দরজা খুলতে যাচ্ছে তানজিদ হাসান সাকিব; ছন্দ হারিয়ে দল থেকে বাদ পড়া হাসান মাহমুদ ও রেজাউর রহমান রাজার মতো তরুণ পেসারের সামনে।

চট্টগ্রামে ওয়ানডে সিরিজ চলার সময়ে টেস্টের দল চূড়ান্ত করে ফেলেছে গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর নির্বাচক প্যানেল। অভিজ্ঞ পেস ইউনিট না থাকলেও কোনো সমস্যা দেখছেন না নির্বাচক হান্নান সরকার। গতকাল আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের টেস্ট দল তৈরি, শুধু ঘোষণার অপেক্ষা। সবকিছু বিবেচনা করে দল তৈরি করা হয়েছে। (অভিজ্ঞ বোলাররা না থাকায়) কঠিন হওয়ার কিছু নেই। আশা করছি, কোনো সমস্যা হবে না।’

এ মুহূর্তে বাংলাদেশ টেস্ট দলের পেস বোলিং আক্রমণ সাজাতে যেহেতু তারুণ্যে ভর করতে হচ্ছে, এতে সুযোগ আসতে পারে নাহিদ রানার মতো তরুণ পেসারের। নাহিদের সম্প্রতি পারফরম্যান্সও নির্বাচকদের উৎসাহিত করছে দলে রাখতে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এখনো পর্যন্ত ১৫ ম্যাচে ৬৩ উইকেট পেয়েছেন। এবারের বিপিএলে খুলনা টাইগার্সের হয়ে দুই ম্যাচ খেলে ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করে প্রশংসাও কুড়িয়েছেন।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ সামনে রেখে নাহিদকে তৈরি থাকতে বলেছে বাংলাদেশ দলের টিম ম্যানেজমেন্ট। ২১ বছর বয়সী ফাস্ট বোলার কাল মোবাইল ফোনে নিজের প্রস্তুতির কথাই শোনালেন, ‘দলের সঙ্গে সিলেটে যাব। আমাকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। সব দিক থেকে প্রস্তুত থাকার চেষ্টা করছি, প্রস্তুতি নিচ্ছি। সুযোগ পেলে অবশ্যই চেষ্টা করব, আস্থার প্রতিদান দেওয়ার।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত