সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে গত কয়েক দিন টানা বর্ষণের কারণে যেকোনো মুহূর্তে পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। চট্টগ্রাম নগরীতে পাহাড় ধসে হতাহতের ঘটনার পর দুর্ঘটনা এড়াতে সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরের ছিন্নমূল এলাকায় পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে মাইকিং করে উপজেলা প্রশাসন।
গত শনিবার ও গতকাল রোববার দুই দিনব্যাপী ঝুঁকিপূর্ণ বসতি ছেড়ে দিতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রচার চালানো হলেও তা আমলে নিচ্ছে না মানুষ। যেকোনো মুহূর্তে পাহাড় ধসে নিশ্চিত বিপদ হতে পারে জেনেও নিরাপদ আশ্রয়ের সরে আসতে অনীহা তাঁদের।
সীতাকুণ্ডে জঙ্গল সলিমপুরের পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা বাসিন্দা আসমা বেগম বলেন, ‘পাহাড় ভাঙি পড়িলেও এ্যাডেই আঁরার থাকন পরিবো। পাহাড় ভাঙি পড়ি মরণ অইলেও আঁরার আর যাইবার কোন জায়গা নাই।’
ছিন্নমূল এলাকার অপর বাসিন্দা আবুল কালাম ও আনোয়ার হোসেন জানান, তাঁরা দুজনেই পেশায় রিকশাচালক। স্থানীয় এক প্রভাবশালীর কাছ থেকে দুই শতক করে পাহাড় কিনেছেন। পরবর্তী সময়ে সেখানে তাঁরা বসতি স্থাপন করেছেন। তাঁদের পাশাপাশি আরও অনেকেই এখানে পাহাড় কিনে বসতি গড়ে বসবাস করছেন। তাঁদের মতো কেউবা পেশায় রিকশাচালক, কেউ সিএনজিচালক আবার কেউবা দিনমজুর, কেউ কেউ জুটমিল-টেক্সটাইল মিল শ্রমিক। এ ছাড়া ভিক্ষাবৃত্তিতে জীবন যাপন করা অনেকেই বসবাস করছেন এখানে। বর্ষায় পাহাড় ধসের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা মাইকিং তাঁরা শুনতে পেয়েছেন। কিন্তু সমতলে কোথায় যাওয়ার জায়গা না থাকায় প্রাণহানির আশঙ্কা জেনেও তাঁরা পাহাড় ছেড়ে যাননি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সীতাকুণ্ডে জঙ্গল সলিমপুরের পাহাড়গুলোতে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী মানুষগুলোকে সরিয়ে নেওয়া হলে শুধু জীবন নয়, একই সঙ্গে পাহাড়ও রক্ষা পাবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানাভাবে উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হলেও তার বাস্তবায়ন হচ্ছে না। বর্ষায় ভারী বর্ষণে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। পাহাড়ধসে মানুষ মারা যাওয়ার পর প্রশাসন নড়েচড়ে বসলেও শেষ পর্যন্ত পাহাড়ের পরিস্থিতি একই থাকে। এখনো নানাভাবে পাহাড় কাটা চলছে। এতে জড়িত প্রভাবশালীরা। পাহাড় কেটে প্লট বিক্রি করা হয়। বসতি গড়ে তোলা হয়। এর বাইরে বিভিন্ন পাহাড়ের পাদদেশে এবং ঢালুতে ঘর তৈরি করে অবৈধভাবে বসবাস করে নিম্ন আয়ের মানুষ। সীতাকুণ্ডে সব মিলিয়ে ২০ হাজার পরিবার পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সীতাকুণ্ডে জঙ্গল সলিমপুরের ছিন্নমূল এলাকার পাহাড়ে বসবাসকারী মানুষজনসহ উপজেলার পৌরসভাসহ সাতটি স্থানে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা মানুষজনকে সরে যেতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুদিন টানা মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হয়েছে। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেননি কেউ। সমতল ভূমিতে জায়গা না থাকায় বিপদের আশঙ্কা জেনেও পাহাড় ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে রাজি নন তাঁরা।
বন বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের পরিসংখ্যানে জানা যায়, সীতাকুণ্ডের বারৈয়াঢালা, পৌর সদর, কুমিরা, সোনাইছড়ি ও সলিমপুর ইউনিয়নে বনভূমি রয়েছে ১৬ হাজার ২৪৪ একর। এর মধ্যে বেদখলে রয়েছে সাড়ে ৫ হাজার একর বনভূমি। যার মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছেন ২০ হাজারেরও অধিক পরিবারের লক্ষাধিক মানুষ। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী মহল অবৈধভাবে এসব পাহাড় দখল করে প্লট বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। আর ঘূর্ণিঝড়ের কবল থেকে রক্ষা পেতে নিরাপদ স্থান হিসেবে উপকূলীয় এলাকার লোকজন অল্প দামে এসব জায়গা কিনে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসতি গড়ে বসবাস করছেন।
অভিযোগ উঠেছে, পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা এসব পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে স্থায়ী কোনো পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন। শুধু বর্ষা মৌসুম এলেই মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে দায় সারে প্রশাসন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘সীতাকুণ্ডে গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই তাঁরা পাহাড়ধসে প্রাণহানির ঘটনা এড়াতে গত শনিবার ও রোববার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়েছেন। এ সময় তাঁরা ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে একাধিকবার অনুরোধ জানিয়েছেন। কিন্তু তারপরও পাহাড়ের বসতি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাননি কেউ।’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে গত কয়েক দিন টানা বর্ষণের কারণে যেকোনো মুহূর্তে পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। চট্টগ্রাম নগরীতে পাহাড় ধসে হতাহতের ঘটনার পর দুর্ঘটনা এড়াতে সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরের ছিন্নমূল এলাকায় পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে মাইকিং করে উপজেলা প্রশাসন।
গত শনিবার ও গতকাল রোববার দুই দিনব্যাপী ঝুঁকিপূর্ণ বসতি ছেড়ে দিতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রচার চালানো হলেও তা আমলে নিচ্ছে না মানুষ। যেকোনো মুহূর্তে পাহাড় ধসে নিশ্চিত বিপদ হতে পারে জেনেও নিরাপদ আশ্রয়ের সরে আসতে অনীহা তাঁদের।
সীতাকুণ্ডে জঙ্গল সলিমপুরের পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা বাসিন্দা আসমা বেগম বলেন, ‘পাহাড় ভাঙি পড়িলেও এ্যাডেই আঁরার থাকন পরিবো। পাহাড় ভাঙি পড়ি মরণ অইলেও আঁরার আর যাইবার কোন জায়গা নাই।’
ছিন্নমূল এলাকার অপর বাসিন্দা আবুল কালাম ও আনোয়ার হোসেন জানান, তাঁরা দুজনেই পেশায় রিকশাচালক। স্থানীয় এক প্রভাবশালীর কাছ থেকে দুই শতক করে পাহাড় কিনেছেন। পরবর্তী সময়ে সেখানে তাঁরা বসতি স্থাপন করেছেন। তাঁদের পাশাপাশি আরও অনেকেই এখানে পাহাড় কিনে বসতি গড়ে বসবাস করছেন। তাঁদের মতো কেউবা পেশায় রিকশাচালক, কেউ সিএনজিচালক আবার কেউবা দিনমজুর, কেউ কেউ জুটমিল-টেক্সটাইল মিল শ্রমিক। এ ছাড়া ভিক্ষাবৃত্তিতে জীবন যাপন করা অনেকেই বসবাস করছেন এখানে। বর্ষায় পাহাড় ধসের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা মাইকিং তাঁরা শুনতে পেয়েছেন। কিন্তু সমতলে কোথায় যাওয়ার জায়গা না থাকায় প্রাণহানির আশঙ্কা জেনেও তাঁরা পাহাড় ছেড়ে যাননি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সীতাকুণ্ডে জঙ্গল সলিমপুরের পাহাড়গুলোতে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী মানুষগুলোকে সরিয়ে নেওয়া হলে শুধু জীবন নয়, একই সঙ্গে পাহাড়ও রক্ষা পাবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানাভাবে উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হলেও তার বাস্তবায়ন হচ্ছে না। বর্ষায় ভারী বর্ষণে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। পাহাড়ধসে মানুষ মারা যাওয়ার পর প্রশাসন নড়েচড়ে বসলেও শেষ পর্যন্ত পাহাড়ের পরিস্থিতি একই থাকে। এখনো নানাভাবে পাহাড় কাটা চলছে। এতে জড়িত প্রভাবশালীরা। পাহাড় কেটে প্লট বিক্রি করা হয়। বসতি গড়ে তোলা হয়। এর বাইরে বিভিন্ন পাহাড়ের পাদদেশে এবং ঢালুতে ঘর তৈরি করে অবৈধভাবে বসবাস করে নিম্ন আয়ের মানুষ। সীতাকুণ্ডে সব মিলিয়ে ২০ হাজার পরিবার পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সীতাকুণ্ডে জঙ্গল সলিমপুরের ছিন্নমূল এলাকার পাহাড়ে বসবাসকারী মানুষজনসহ উপজেলার পৌরসভাসহ সাতটি স্থানে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা মানুষজনকে সরে যেতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুদিন টানা মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হয়েছে। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেননি কেউ। সমতল ভূমিতে জায়গা না থাকায় বিপদের আশঙ্কা জেনেও পাহাড় ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে রাজি নন তাঁরা।
বন বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের পরিসংখ্যানে জানা যায়, সীতাকুণ্ডের বারৈয়াঢালা, পৌর সদর, কুমিরা, সোনাইছড়ি ও সলিমপুর ইউনিয়নে বনভূমি রয়েছে ১৬ হাজার ২৪৪ একর। এর মধ্যে বেদখলে রয়েছে সাড়ে ৫ হাজার একর বনভূমি। যার মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছেন ২০ হাজারেরও অধিক পরিবারের লক্ষাধিক মানুষ। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী মহল অবৈধভাবে এসব পাহাড় দখল করে প্লট বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। আর ঘূর্ণিঝড়ের কবল থেকে রক্ষা পেতে নিরাপদ স্থান হিসেবে উপকূলীয় এলাকার লোকজন অল্প দামে এসব জায়গা কিনে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসতি গড়ে বসবাস করছেন।
অভিযোগ উঠেছে, পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা এসব পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে স্থায়ী কোনো পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন। শুধু বর্ষা মৌসুম এলেই মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে দায় সারে প্রশাসন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘সীতাকুণ্ডে গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই তাঁরা পাহাড়ধসে প্রাণহানির ঘটনা এড়াতে গত শনিবার ও রোববার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়েছেন। এ সময় তাঁরা ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে একাধিকবার অনুরোধ জানিয়েছেন। কিন্তু তারপরও পাহাড়ের বসতি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাননি কেউ।’
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
২০ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫