Ajker Patrika

বনে আগুন, খোঁজ নেই কর্মকর্তাদের

আপডেট : ১০ মার্চ ২০২২, ১২: ২৬
বনে আগুন, খোঁজ নেই কর্মকর্তাদের

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলাজুড়ে রয়েছে বিশাল শাল-গজারি বন। বন বিভাগের আওতাভুক্ত সরকারি এ বনের বিভিন্ন জায়গায় জ্বলছে আগুন। বসন্তকালে পাতা ঝরায় বনে বেশি আগুন দেখা যায়। বন বিভাগের অসাধু কিছু কর্মচারী ও মাদকসেবী এ আগুন লাগিয়ে দেন বলে জানা গেছে। এতে বন দখলের পাশাপাশি হুমকিতে পড়েছে জীববৈচিত্র্য।

গতকাল বুধবার দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, শ্রীপুর রেঞ্জের সদর বিটের আওতাধীন বিন্দুবাড়ি গ্রামের বগার বিটা এলাকায় দিনদুপুরে জ্বলছে বন। অপর দিকে একই রেঞ্জের শিমলাপাড়া বিটের পাশে হাসিখালী সেতুর দুই পাশে বন জ্বলছে। দাউ দাউ করে আগুনে পুড়ছে বনের ছোট-বড় গাছপালা। বাতাসের কারণে মুহূর্তেই আগুন বনের গভীর থেকে গভীরে ছড়িয়ে যাচ্ছে। বনের ভেতরে থাকা পশুপাখি আগুন লাগার স্থান থেকে দূরে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কয়েক দিন ধরে জ্বলছে বন। বনে অনেকেই মাদক সেবন করেন। মাদকসেবীরা বেখেয়ালে জ্বলন্ত দেশলাইয়ের কাঠি বনে ঝরে পড়া পাতায় ফেলেন। এতে আগুন লেগে বন পুড়ে যায়।

অন্যদিকে পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগান বন বিভাগের অসাধু কর্মচারীরা। আগুন দেওয়ার ফলে বনের ছোট গাছ পুড়ে যায়। প্রতিবছর সেখানে আগুন দিলে নতুন করে কোনো গাছ বেড়ে উঠতে পারে না। পরে বয়স্ক গাছগুলো সরকারি বিধি মেনে কাটা হয়। এরপর সেখানে টাকার বিনিময়ে ঘরবাড়ি-দোকানপাট তুলে দেন বন বিভাগের কর্মচারীরা। তবে এ বিষয়ে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না বন বিভাগের কর্মকর্তাদের।

বিন্দুবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা আলী হোসেন বলেন, ‘শীতকাল শেষ হলে প্রতিবছর বনে আগুন জ্বলে। হঠাৎ করে সকালে উঠে দেখি বনের ভেতর আগুন জ্বলছে। আগুন নেভানোর জন্য বনের লোকজনকে আসতে দেখিনি। বন বিভাগের কিছু অসাধু লোক আগুন লাগানোর সঙ্গে যুক্ত। বন ধ্বংস করে এখানে বাড়িঘর তুলে দিতে পারলে তাঁদের লাভ।’

একই গ্রামের সারফুল ইসলাম বলেন, বনের ভেতর গরু চরাতে হয়। আগুনে ঘাস, তরুলতা ও কীটপতঙ্গ ধ্বংস হয়। রাতেই সাধারণত আগুন দেওয়া হয়। মাদকসেবী অথবা বন বিভাগের লোকজন আগুন ধরিয়ে দেন।

শ্রীপুর রেঞ্জের সদর বিটের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা মীর বজলুল রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার জানা নেই। কে কখন বনে আগুন ধরিয়ে চলে যায়, এটা ধরা খুবই কঠিন। আগুন ধরিয়ে বন পোড়ানোর ঘটনায় বন বিভাগের কেউ জড়িত থাকার কথা না। তবুও খোঁজখবর নিয়ে দেখব।’

শ্রীপুর রেঞ্জের দায়িত্বে থাকা সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেব বলেন, ‘কারা বনে আগুন দিচ্ছে—এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে তাঁদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। বন বিভাগের কোনো কর্মচারী বনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকলে তাঁদের খুঁজে বের করা হবে। মূলত মাদকসেবীরা বনে আগুন দিয়ে থাকে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেঘালয়ে হানিমুনের সময় ভাড়াটে খুনি দিয়ে স্বামীকে হত্যা, উত্তর প্রদেশে নববধূর আত্মসমর্পণ

ভিকারুননিসার ছাত্রী মেয়েকে সাঁতার শেখাচ্ছিলেন বাবা, ডুবে প্রাণ গেল দুজনেরই

মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় খুন—কীভাবে এক নববধূ হয়ে উঠলেন হত্যাকারী

কানাডার লেকে বোট উল্টে বাংলাদেশের পাইলট ও গার্মেন্টস ব্যবসায়ীর মৃত্যু

এআই যুগে চাকরি পেতে যে দক্ষতা লাগবেই, জানালেন মাইক্রোসফটের সিইও

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত