শহিদুল ইসলাম, বাসাইল
বাসাইল বাসস্ট্যান্ডসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-উপসড়ক এবং ফুটপাত দখল করে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে ছোট-বড় যানবাহনের অবৈধ স্ট্যান্ড। এতে চলাচলে দুর্ভোগে পোহাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
পথচারী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসনের নীরবতার সুযোগে সড়কের দুই পাশ দখল করে গড়ে ওঠা এসব স্ট্যান্ডের কারণে প্রতিনিয়ত বাড়ছে যানজট। জরুরি রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও আটকে পড়ে অনেক সময়। এসব স্ট্যান্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থী ব্যবসায়ী, পথচারী ও সচেতন মহল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌর এলাকার বিভিন্ন রাস্তার মোড়েই গড়ে উঠেছে অনুমোদনহীন স্ট্যান্ড। এর মধ্যে জিরো পয়েন্ট, কাঁচাবাজার, রেজিস্ট্রি অফিস ও মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এবং চারুবাগ মার্কেটসংলগ্ন এলাকাসহ রাস্তা দখল করে গড়ে উঠেছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, অটোভ্যনেরর অবৈধ স্ট্যান্ড। এসব স্ট্যান্ডে এলোমেলো দাঁড়িয়ে থাকা সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, অটোভ্যানের চাপে প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে যানজটের।
এদিকে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স থেকে উপজেলা গেট পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে পিকআপ ভ্যানের পার্কিংয়ের রাস্তা সংকুচিত হয়ে পড়ায় মানুষ ও যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। তার ওপর রোড পারমিট ও লাইসেন্সবিহীন অবৈধ ট্রাফেট্রাক্টরের বেপরোয়া চলাচলে দুর্ভোগে পড়ছেন পথচারী ও রাস্তার দুই পাশের ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কোনো প্রয়োজনে বাজারে এলে ভোগান্তির শেষ থাকে না। রাস্তার দুপাশ দখল করে অটোরিকশার স্ট্যান্ড বসানো হয়েছে। মাঝখান দিয়ে একটি গাড়ি ঠিকমতো যেতে পারে না। কোনো দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে যে কেনাকাটা করব, তারও কোনো সুযোগ নেই।
চারুবাগ মার্কেটের দোকানিরা বলেন, তাঁদের দোকানের সামনে এমনভাবে প্রাচীর করে অটোরিকশা, ভ্যান, সিএনজি দাঁড়িয়ে থাকে, কোনো কাস্টমার আসতে পারে না। এতে ব্যবসায়ীরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। যানবাহনগুলো একটু সরাতে বললেও চালকেরা ঝগড়া শুরু করেন।
অটোচালক সেলিম বেগ, ইয়াছিন আলীসহ অনেকেই বলেন, নির্ধারিত স্থানে গাড়ি রাখলে তাঁরা যাত্রী পান না। তাই বাধ্য হয়ে জিরো পয়েন্টে গাড়ি রাখেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মতিয়ার রহমান বলেন, বাসাইল বাসস্ট্যান্ড ও মরাগাঙ্গের পূর্বপার ছাড়া সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার জন্য নির্দিষ্ট কোনো স্ট্যান্ড নেই। এ জন্য গাড়িগুলো রাস্তায় রাখতে হচ্ছে।
পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম আহমেদ বলেন, নির্ধারিত স্থানে গাড়ি, সিএনজি, অটো রাখার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও চালকেরা ইচ্ছামতো যত্রতত্র স্ট্যান্ড করায় যানজট তৈরি হচ্ছে। এসব গাড়ির চাপে আমার বাসার সামনে নিজের গাড়িটি পার্কিং করতে পারছি না। শিগগিরই পৌরসভার পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের সহায়তায় সমস্যা নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজি অলিদ ইসলাম বলেন, কয়েকটি সড়কে চলাচল করা অটোরিকশা, অটোভ্যান ও সিএনজির নির্ধারিত স্ট্যান্ড নেই। বাসাইল বাসস্ট্যান্ড দখলমুক্ত করে ইতিমধ্যে রাস্তা প্রশস্ত করে সিএনজি দাঁড়ানোর স্ট্যান্ড নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য অনুমোদনহীন স্ট্যান্ড যেসব সড়কে রয়েছে ওই সড়কগুলো প্রশস্ত করতে পারলে যানজট নিরসন ও পথচারীদের চলাচলের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা পারভিন বলেন, ‘দীর্ঘদিন এ সমস্যা চলে আসছে। অনুমোদন ছাড়াই চলকেরা কয়েকটি স্পটে তাঁদের যানবাহন দাঁড় করিয়ে যাত্রী আনা-নেওয়া করছেন। এতে পথচারীদের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। যানজটমুক্ত পরিচ্ছন্ন বাসাইল গড়তে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাসাইল বাসস্ট্যান্ডসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-উপসড়ক এবং ফুটপাত দখল করে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে ছোট-বড় যানবাহনের অবৈধ স্ট্যান্ড। এতে চলাচলে দুর্ভোগে পোহাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
পথচারী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসনের নীরবতার সুযোগে সড়কের দুই পাশ দখল করে গড়ে ওঠা এসব স্ট্যান্ডের কারণে প্রতিনিয়ত বাড়ছে যানজট। জরুরি রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও আটকে পড়ে অনেক সময়। এসব স্ট্যান্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থী ব্যবসায়ী, পথচারী ও সচেতন মহল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌর এলাকার বিভিন্ন রাস্তার মোড়েই গড়ে উঠেছে অনুমোদনহীন স্ট্যান্ড। এর মধ্যে জিরো পয়েন্ট, কাঁচাবাজার, রেজিস্ট্রি অফিস ও মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এবং চারুবাগ মার্কেটসংলগ্ন এলাকাসহ রাস্তা দখল করে গড়ে উঠেছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, অটোভ্যনেরর অবৈধ স্ট্যান্ড। এসব স্ট্যান্ডে এলোমেলো দাঁড়িয়ে থাকা সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, অটোভ্যানের চাপে প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে যানজটের।
এদিকে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স থেকে উপজেলা গেট পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে পিকআপ ভ্যানের পার্কিংয়ের রাস্তা সংকুচিত হয়ে পড়ায় মানুষ ও যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। তার ওপর রোড পারমিট ও লাইসেন্সবিহীন অবৈধ ট্রাফেট্রাক্টরের বেপরোয়া চলাচলে দুর্ভোগে পড়ছেন পথচারী ও রাস্তার দুই পাশের ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কোনো প্রয়োজনে বাজারে এলে ভোগান্তির শেষ থাকে না। রাস্তার দুপাশ দখল করে অটোরিকশার স্ট্যান্ড বসানো হয়েছে। মাঝখান দিয়ে একটি গাড়ি ঠিকমতো যেতে পারে না। কোনো দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে যে কেনাকাটা করব, তারও কোনো সুযোগ নেই।
চারুবাগ মার্কেটের দোকানিরা বলেন, তাঁদের দোকানের সামনে এমনভাবে প্রাচীর করে অটোরিকশা, ভ্যান, সিএনজি দাঁড়িয়ে থাকে, কোনো কাস্টমার আসতে পারে না। এতে ব্যবসায়ীরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। যানবাহনগুলো একটু সরাতে বললেও চালকেরা ঝগড়া শুরু করেন।
অটোচালক সেলিম বেগ, ইয়াছিন আলীসহ অনেকেই বলেন, নির্ধারিত স্থানে গাড়ি রাখলে তাঁরা যাত্রী পান না। তাই বাধ্য হয়ে জিরো পয়েন্টে গাড়ি রাখেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মতিয়ার রহমান বলেন, বাসাইল বাসস্ট্যান্ড ও মরাগাঙ্গের পূর্বপার ছাড়া সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার জন্য নির্দিষ্ট কোনো স্ট্যান্ড নেই। এ জন্য গাড়িগুলো রাস্তায় রাখতে হচ্ছে।
পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম আহমেদ বলেন, নির্ধারিত স্থানে গাড়ি, সিএনজি, অটো রাখার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও চালকেরা ইচ্ছামতো যত্রতত্র স্ট্যান্ড করায় যানজট তৈরি হচ্ছে। এসব গাড়ির চাপে আমার বাসার সামনে নিজের গাড়িটি পার্কিং করতে পারছি না। শিগগিরই পৌরসভার পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের সহায়তায় সমস্যা নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজি অলিদ ইসলাম বলেন, কয়েকটি সড়কে চলাচল করা অটোরিকশা, অটোভ্যান ও সিএনজির নির্ধারিত স্ট্যান্ড নেই। বাসাইল বাসস্ট্যান্ড দখলমুক্ত করে ইতিমধ্যে রাস্তা প্রশস্ত করে সিএনজি দাঁড়ানোর স্ট্যান্ড নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য অনুমোদনহীন স্ট্যান্ড যেসব সড়কে রয়েছে ওই সড়কগুলো প্রশস্ত করতে পারলে যানজট নিরসন ও পথচারীদের চলাচলের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা পারভিন বলেন, ‘দীর্ঘদিন এ সমস্যা চলে আসছে। অনুমোদন ছাড়াই চলকেরা কয়েকটি স্পটে তাঁদের যানবাহন দাঁড় করিয়ে যাত্রী আনা-নেওয়া করছেন। এতে পথচারীদের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। যানজটমুক্ত পরিচ্ছন্ন বাসাইল গড়তে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪