Ajker Patrika

বন্যায় ভেসে গেছে ১১০৪ পুকুরের মাছ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ জুলাই ২০২২, ১৪: ২৫
Thumbnail image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে এখনো পানিবন্দী জেলার ৮ হাজার ২৩টি পরিবার। জেলার সদর উপজেলা, বিজয়নগর, নাসিরনগর, আখাউড়া ও বিজয়নগর উপজেলার নিম্নাঞ্চলে হওয়া এ বন্যায় দুর্ভোগে পড়েছে ৪০ হাজার মানুষ। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে অসংখ্য মাছচাষির স্বপ্ন। এতে পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মাছচাষিরা।

জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবারের বন্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১ হাজার ১০৪টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এর ফলে সব মিলিয়ে ৫ কোটি ১০ লাখ টাকারও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

জেলার মাছচাষিদের সূত্রে জানা গেছে, পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট চলমান বন্যায় পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। সহায়-সম্বল হারিয়ে দিশেহারা মাছ চাষের ওপর নির্ভরশীল পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের কষ্ট লাঘবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী মাছচাষিরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা তাজমহল বেগম বলেন, ‘হঠাৎ করে এমনভাবে পানি বেড়ে গেছে যে চাষিরা মাছগুলো রক্ষার জন্য কিছুই করতে পারেননি। মৎস্য অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করব।’

এদিকে এবারের বন্যায় চরম বিপাকে পড়েছে সদর উপজেলা, বিজয়নগর, নাসিরনগর, আখাউড়া ও বিজয়নগর উপজেলার নিম্নাঞ্চলবাসী। পানিবন্দী হওয়ায় কাজে বের হতে পারছেন না নিম্ন আয়ের মানুষেরা। পরিবার নিয়ে খাদ্যসংকটে পড়েছেন তাঁরা। আবার এমন অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। তাঁরা আছেন কিস্তি-আতঙ্কে।

বন্যাদুর্গত এলাকাগুলো ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ ঘরেই হাঁটুপানি জমেছে। পানির কারণে ঘরের মেঝের মাটি কাদা হয়ে গেছে। ফলে কাদার কারণে ঘরের ভেতর ঠিকমতো হাঁটাচলা করা যাচ্ছে না। অনেকে পরিবারের ছোট ছেলেমেয়েসহ স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে পানিবন্দী ঘরে রয়ে গেছেন জিনিসপত্র চুরি যাওয়ার ভয়ে।

সদর উপজেলার সীতানগর গ্রামের বাসিন্দা কমলা ঋষি জানান, তাঁর ঘরে হাঁটুপানি জমেছে। ছেলেমেয়েদের আত্মীয়ের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন। এখন স্বামীকে নিয়ে পানিবন্দী অবস্থায় আছেন কয়েক দিন ধরে। ঘরের জিনিসপত্র চুরি যাওয়ার ভয়ে বাড়ি ছেড়ে যাননি।

রায়মোহন ঋষি নামের আরেক বাসিন্দা জানান, তিনি স্থানীয় একটি বাজারে শ্রমিকের কাজ করেন। পানিবন্দী হয়ে পড়ায় নিয়মিত কাজে যেতে পারছেন না। এর ফলে পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। কোনো রকম খেয়ে না-খেয়ে দিন পার করছেন।

শ্রীমতি ঋষি নামের এক গৃহবধূ জানান, তাঁর ঘরের চারপাশে পানি উঠেছে। স্বামী ঠিকমতো কাজে যেতে পারছেন না। ফলে এনজিও থেকে নেওয়া ঋণের কিস্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে তাঁর পরিবার।

সার্বিক বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে নগদ অর্থ ও ত্রাণসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঋণের ১৩০০ কোটির এক টাকাও দেননি হলিডে ইনের মালিক

নারীদের খেলায় আর নাক গলাবে না, দেশ ও বিশ্ববাসীর কাছে ক্ষমা চাইল ভাঙচুরকারীরা

ইতালি নেওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় ফরিদপুরের ২ জনকে গুলি করে হত্যা

গণ–সমাবেশে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিলেন বিএনপি নেতা

হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যু, সেনা ক্যাম্প কমান্ডারকে প্রত্যাহার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত