মিনহাজ তুহিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বিভাগ থেকে না চাইলেও দুটি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর অভিযোগ উঠেছে। বাংলা ও আইন বিভাগে ঘটছে এ ঘটনা। বিভাগীয় পরিকল্পনা কমিটির আপত্তি সত্ত্বেও দুই বিভাগে নয়জন শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনী বোর্ডও আহ্বান করা হয়েছে।
বাংলা বিভাগে সাতজন এবং আইন বিভাগে দুজন শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। আজ রোববার আইন বিভাগের এবং আগামীকাল সোমবার বাংলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের নির্বাচনী বোর্ড অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী, কোনো বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ দিতে হলে প্রথমে বিভাগের পরিকল্পনা কমিটির সভায় তা অনুমোদন করতে হয়। সভায় অনুমোদিত হলে তা রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠাবেন বিভাগের সভাপতি। পরে রেজিস্ট্রার বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে উপাচার্যের সম্মতি নিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবেন। পরে রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা আবেদনপত্র সংগ্রহ করে বিভাগের পরিকল্পনা কমিটিতে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পাঠাবে। পরিকল্পনা কমিটি যাচাই-বাছাই করে যোগ্যদের তালিকা সংশ্লিষ্ট শাখায় পাঠানোর পর তাঁদের নামে প্রবেশপত্র ইস্যু করার নিয়ম।
আর তাই বিষয়টিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ লঙ্ঘন উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি বাতিল করতে গত ৯ সেপ্টেম্বর রেজিস্ট্রারকে চিঠি দিয়েছেন বাংলা বিভাগের সভাপতি। অন্যদিকে প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে নীতিবহির্ভূত উল্লেখ করে গত মার্চে শিক্ষক সমিতির কাছে চিঠি দিয়েছেন বাংলা বিভাগের পরিকল্পনা কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যরা। একইভাবে রেজিস্ট্রারকে চিঠি দিয়েছিলেন আইন বিভাগের আগের সভাপতি।
আবার বাংলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে যে যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে, সেটিতেও ইউজিসির নির্দেশনা মানা হয়নি বলে অভিযোগ ওই বিভাগের শিক্ষকদের।
বাংলা বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ডিসেম্বর এবং ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শূন্য পদের বিষয়ে বাংলা বিভাগের পরিকল্পনা কমিটির মতামত জানতে চায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ২০২২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বাংলা বিভাগের জন্য আপাতত শিক্ষক পদ পূরণে বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার প্রয়োজন নেই বলে পরিকল্পনা কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে মতামত দেয়। এই মতামতকে অগ্রাহ্য করে চলতি বছর জানুয়ারিতে সাত পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বাংলা বিভাগের শিক্ষকদের দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, বিজ্ঞাপনে শিক্ষক নিয়োগে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক দুটো মিলিয়ে যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে ৭ পয়েন্ট। কিন্তু কলা ও মানববিদ্যা অনুষদে শিক্ষার্থী হিসেবে আবেদনের জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা চাওয়া হয় ৭ দশমিক ৫ পয়েন্ট। পরিকল্পনা কমিটি তাই ৭ পয়েন্ট থেকে বাড়িয়ে ৮ পয়েন্ট যোগ্যতা নির্ধারণ করেছে, যেটি পরিকল্পনা কমিটি, অনুষদ ও একাডেমিক কাউন্সিলে অ্যাজেন্ডাভুক্ত হয়েছে।
আবার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে উভয়টিতে ৩.৩০ করে। কিন্তু পরিকল্পনা কমিটির সুপারিশ ছিল দুটির একটিতে ন্যূনতম ৩.৫০ এবং অপরটিতে ৩.৩০ পয়েন্ট।
চিঠিতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুসারে বাংলা বিভাগের শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় ক্লাস লোড নেই এবং বিভাগ গতিশীল। শিক্ষকেরা মনে করেন, চবি কর্তৃপক্ষের এমন পদক্ষেপ নীতিবহির্ভূত ও অমর্যাদাকর।
রেজিস্ট্রারকে দেওয়া চিঠিতে বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. তাসলিমা বেগম লেখেন, পরিকল্পনা কমিটির সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে এবং বিভাগকে না জানিয়ে পত্রিকায় শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে পরে পরিকল্পনা কমিটি অবহিত হয়। ওই বিজ্ঞপ্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৭৩-এর পরিপন্থী। যেখানে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদে ভর্তির যোগ্যতা ন্যূনতম ৭.৫০ থাকতে হবে, সেখানে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ন্যূনতম যোগ্যতা ৭ পয়েন্ট; যা হাস্যকর এবং কোনোভাবে কাম্য নয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলা বিভাগের পরিকল্পনা কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘আমাদের বিভাগে পর্যাপ্ত শিক্ষক রয়েছেন। পরিকল্পনা কমিটি বিচার-বিশ্লেষণ করে নতুন শিক্ষক না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরপরও শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পেছনে প্রশাসনের ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে।’
বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. তাসলিমা বেগম বলেন, ‘আমরা বিভাগের পরিকল্পনা কমিটির সিদ্ধান্ত প্রশাসনকে একাধিকবার চিঠি দিয়ে জানিয়েছি। আশা করছি উপাচার্য ম্যাম বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবেন।’
এদিকে আইন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ওই বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে বিভাগীয় পরিকল্পনা কমিটির মতামত চেয়ে গত ২৩ মার্চ রেজিস্ট্রার একটি চিঠি পাঠান। পরে বিভাগীয় পরিকল্পনা কমিটির সভায় শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়, যা ৯ এপ্রিল রেজিস্ট্রারকে চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দেন সভাপতি।
আইন বিভাগের একজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমাদের বিভাগে পর্যাপ্ত শিক্ষক রয়েছেন। পরিকল্পনা কমিটি বিচার-বিশ্লেষণ করে নতুন শিক্ষক না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরপরও শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার উদ্দেশ্য শুধু রাজনৈতিক কারণ ও দল ভারী করা।’
প্রসঙ্গত, আইন বিভাগে বর্তমানে শিক্ষক রয়েছেন ২৫ জন। সর্বশেষ এই বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে গত অক্টোবরে। আর বাংলা বিভাগে বর্তমানে শিক্ষক আছেন ১৯ জন। সর্বশেষ এই বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে ২০১৯ সালে। প্রতি শিক্ষাবর্ষে আইন বিভাগে ১১৫ এবং বাংলা বিভাগে ১১০ জন করে শিক্ষার্থী সাধারণ আসনে ভর্তি করানো হয়।
চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বলেন, ‘বিভাগে শিক্ষক লাগবে কি না, তা নির্ধারণ করবে বিভাগের পরিকল্পনা কমিটি। সেখানে আগ বাড়িয়ে অন্য কারও বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার সুযোগ নেই। এটা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের লঙ্ঘন। আমরা বৈঠক করে করণীয় নির্ধারণ করব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, ‘এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশের লঙ্ঘন। এটা (নিয়োগ প্রক্রিয়া) বন্ধ করা উচিত।’
রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদও দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মেনেই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার দাবি করেন, ‘সিন্ডিকেটের নির্দেশনা মোতাবেক সবকিছু আইন মেনেই হচ্ছে। কোনো অনিয়ম হচ্ছে না।’ তিনি বলেন, ‘আমরা একটা কমও নেব না, বেশিও নেব না।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বিভাগ থেকে না চাইলেও দুটি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর অভিযোগ উঠেছে। বাংলা ও আইন বিভাগে ঘটছে এ ঘটনা। বিভাগীয় পরিকল্পনা কমিটির আপত্তি সত্ত্বেও দুই বিভাগে নয়জন শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনী বোর্ডও আহ্বান করা হয়েছে।
বাংলা বিভাগে সাতজন এবং আইন বিভাগে দুজন শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। আজ রোববার আইন বিভাগের এবং আগামীকাল সোমবার বাংলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের নির্বাচনী বোর্ড অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী, কোনো বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ দিতে হলে প্রথমে বিভাগের পরিকল্পনা কমিটির সভায় তা অনুমোদন করতে হয়। সভায় অনুমোদিত হলে তা রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠাবেন বিভাগের সভাপতি। পরে রেজিস্ট্রার বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে উপাচার্যের সম্মতি নিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবেন। পরে রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা আবেদনপত্র সংগ্রহ করে বিভাগের পরিকল্পনা কমিটিতে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পাঠাবে। পরিকল্পনা কমিটি যাচাই-বাছাই করে যোগ্যদের তালিকা সংশ্লিষ্ট শাখায় পাঠানোর পর তাঁদের নামে প্রবেশপত্র ইস্যু করার নিয়ম।
আর তাই বিষয়টিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ লঙ্ঘন উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি বাতিল করতে গত ৯ সেপ্টেম্বর রেজিস্ট্রারকে চিঠি দিয়েছেন বাংলা বিভাগের সভাপতি। অন্যদিকে প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে নীতিবহির্ভূত উল্লেখ করে গত মার্চে শিক্ষক সমিতির কাছে চিঠি দিয়েছেন বাংলা বিভাগের পরিকল্পনা কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যরা। একইভাবে রেজিস্ট্রারকে চিঠি দিয়েছিলেন আইন বিভাগের আগের সভাপতি।
আবার বাংলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে যে যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে, সেটিতেও ইউজিসির নির্দেশনা মানা হয়নি বলে অভিযোগ ওই বিভাগের শিক্ষকদের।
বাংলা বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ডিসেম্বর এবং ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শূন্য পদের বিষয়ে বাংলা বিভাগের পরিকল্পনা কমিটির মতামত জানতে চায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ২০২২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বাংলা বিভাগের জন্য আপাতত শিক্ষক পদ পূরণে বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার প্রয়োজন নেই বলে পরিকল্পনা কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে মতামত দেয়। এই মতামতকে অগ্রাহ্য করে চলতি বছর জানুয়ারিতে সাত পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বাংলা বিভাগের শিক্ষকদের দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, বিজ্ঞাপনে শিক্ষক নিয়োগে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক দুটো মিলিয়ে যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে ৭ পয়েন্ট। কিন্তু কলা ও মানববিদ্যা অনুষদে শিক্ষার্থী হিসেবে আবেদনের জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা চাওয়া হয় ৭ দশমিক ৫ পয়েন্ট। পরিকল্পনা কমিটি তাই ৭ পয়েন্ট থেকে বাড়িয়ে ৮ পয়েন্ট যোগ্যতা নির্ধারণ করেছে, যেটি পরিকল্পনা কমিটি, অনুষদ ও একাডেমিক কাউন্সিলে অ্যাজেন্ডাভুক্ত হয়েছে।
আবার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে উভয়টিতে ৩.৩০ করে। কিন্তু পরিকল্পনা কমিটির সুপারিশ ছিল দুটির একটিতে ন্যূনতম ৩.৫০ এবং অপরটিতে ৩.৩০ পয়েন্ট।
চিঠিতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুসারে বাংলা বিভাগের শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় ক্লাস লোড নেই এবং বিভাগ গতিশীল। শিক্ষকেরা মনে করেন, চবি কর্তৃপক্ষের এমন পদক্ষেপ নীতিবহির্ভূত ও অমর্যাদাকর।
রেজিস্ট্রারকে দেওয়া চিঠিতে বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. তাসলিমা বেগম লেখেন, পরিকল্পনা কমিটির সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে এবং বিভাগকে না জানিয়ে পত্রিকায় শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে পরে পরিকল্পনা কমিটি অবহিত হয়। ওই বিজ্ঞপ্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৭৩-এর পরিপন্থী। যেখানে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদে ভর্তির যোগ্যতা ন্যূনতম ৭.৫০ থাকতে হবে, সেখানে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ন্যূনতম যোগ্যতা ৭ পয়েন্ট; যা হাস্যকর এবং কোনোভাবে কাম্য নয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলা বিভাগের পরিকল্পনা কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘আমাদের বিভাগে পর্যাপ্ত শিক্ষক রয়েছেন। পরিকল্পনা কমিটি বিচার-বিশ্লেষণ করে নতুন শিক্ষক না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরপরও শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পেছনে প্রশাসনের ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে।’
বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. তাসলিমা বেগম বলেন, ‘আমরা বিভাগের পরিকল্পনা কমিটির সিদ্ধান্ত প্রশাসনকে একাধিকবার চিঠি দিয়ে জানিয়েছি। আশা করছি উপাচার্য ম্যাম বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবেন।’
এদিকে আইন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ওই বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে বিভাগীয় পরিকল্পনা কমিটির মতামত চেয়ে গত ২৩ মার্চ রেজিস্ট্রার একটি চিঠি পাঠান। পরে বিভাগীয় পরিকল্পনা কমিটির সভায় শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়, যা ৯ এপ্রিল রেজিস্ট্রারকে চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দেন সভাপতি।
আইন বিভাগের একজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমাদের বিভাগে পর্যাপ্ত শিক্ষক রয়েছেন। পরিকল্পনা কমিটি বিচার-বিশ্লেষণ করে নতুন শিক্ষক না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরপরও শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার উদ্দেশ্য শুধু রাজনৈতিক কারণ ও দল ভারী করা।’
প্রসঙ্গত, আইন বিভাগে বর্তমানে শিক্ষক রয়েছেন ২৫ জন। সর্বশেষ এই বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে গত অক্টোবরে। আর বাংলা বিভাগে বর্তমানে শিক্ষক আছেন ১৯ জন। সর্বশেষ এই বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে ২০১৯ সালে। প্রতি শিক্ষাবর্ষে আইন বিভাগে ১১৫ এবং বাংলা বিভাগে ১১০ জন করে শিক্ষার্থী সাধারণ আসনে ভর্তি করানো হয়।
চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বলেন, ‘বিভাগে শিক্ষক লাগবে কি না, তা নির্ধারণ করবে বিভাগের পরিকল্পনা কমিটি। সেখানে আগ বাড়িয়ে অন্য কারও বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার সুযোগ নেই। এটা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের লঙ্ঘন। আমরা বৈঠক করে করণীয় নির্ধারণ করব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, ‘এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশের লঙ্ঘন। এটা (নিয়োগ প্রক্রিয়া) বন্ধ করা উচিত।’
রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদও দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মেনেই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার দাবি করেন, ‘সিন্ডিকেটের নির্দেশনা মোতাবেক সবকিছু আইন মেনেই হচ্ছে। কোনো অনিয়ম হচ্ছে না।’ তিনি বলেন, ‘আমরা একটা কমও নেব না, বেশিও নেব না।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
১৭ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪