Ajker Patrika

ছাত্রলীগ নেতা হত্যারদায়ে ৯ জনের ফাঁসি

রাজশাহী প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২১, ০৯: ৪৫
ছাত্রলীগ নেতা হত্যারদায়ে ৯ জনের ফাঁসি

রাজশাহীতে ছাত্রলীগ নেতা শাহেন শাহ হত্যা মামলায় নয়জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ২২ আসামিকে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজশাহী মহানগর দায়রা ও জজ আদালতের বিচারক ও এইচ এম ইলিয়াস হোসাইন এ রায় ঘোষণা করেন।

নিহত শাহেন শাহ ছিলেন রাজশাহী কোর্ট কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি নগরীর গুড়িপাড়া এলাকার মৃত মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে। তাঁর বড় ভাই রজব আলী বর্তমানে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।

আলোচিত এ মামলার এক নম্বর আসামি ছিলেন রাসিকের এক নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপিপন্থী সাবেক কাউন্সিলর মুনসুর রহমান। রায়ে তাঁর মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আটজন হলেন গোবিন্দপুর পূর্ব রায়পাড়া এলাকার মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে হাসানুজ্জামান হিমেল (৩৮) ও তৌফিকুল ইসলাম চাঁদ (৪৫), গিয়াস উদ্দিন ওরফে গিসুর ছেলে মো. মহাসীন (৫০), মৃত ওয়াজেদ আলীর ছেলে মো. সাইরুল (২৬), নুহু শেখের ছেলে রজব (৩২), মৃত আক্কাস আলীর ছেলে বিপ্লব (৩৫), গুড়িপাড়া এলাকার গোলশের কশাইয়ের ছেলে মো. মমিন (৩০) এবং আব্দুস সামাদের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২৬)। এর মধ্যে মমিন ও আরিফুল পলাতক।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন বুলনপুর জিয়ানগর এলাকার মৃত ওয়াজেদ আলীর ছেলে লাল মোহাম্মদ ওরফে লালু (৩৮), গিয়াস উদ্দিন ওরফে গিসুর ছেলে মাহাবুল হোসেন (৪২), মৃত তাজু শেখের ছেলে সাত্তার (৪৫), মৃত আজিম আলীর ছেলে সাজ্জাদ হোসেন (৩৮), মৃত ঝাড়ু শেখের ছেলে বখতিয়ার আলম রানা ওরফে রংলাল (৩৫) ও হাসান আলী (৩২), মৃত লিয়াকত মণ্ডলের ছেলে মাসুদ (৩৫), মৃত তাইদের ছেলে রাসেল (৩২), ইমদাদুল হকের ছেলে রাজা (৩২), মজিবর রহমানের ছেলে মর্তুজা (৩০), মো. মোস্তফার ছেলে সুমন (৩০), গুড়িপাড়া এলাকার মো. মহাসীনের ছেলে আসাদুল (২২) ও আখতারুল (২৫), মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে জইদুর রহমান (৪৮), মৃত গোলাপ শেখের ছেলে ফরমান আলী (৪০), মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে জয়নাল আবেদিন (২৫), রেজাউল করিমের ছেলে রাজু আহমেদ (২৮), মৃত মাজদার আলীর ছেলে আকবর আলী (৪৫), মৃত ওয়াহেদ আলীর ছেলে সম্রাট হোসেন (১৯), ওয়াজেদ আলীর ছেলে টিয়া আলম (৩০), মৃত আজম আলীর ছেলে আজাদ হোসেন (৩৫) ও মৃত ওয়াহেদ কশাইয়ের ছেলে মো. মাসুম (২৬)। এদের মধ্যে আজাদ ও মাসুম পলাতক।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালে রাসিকের এক নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলেন নিহত শাহেন শাহর বড় ভাই রজব আলী। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন বিএনপি নেতা মুনসুর রহমান। নির্বাচনে মুনসুর রহমান নির্বাচিত হন। নির্বাচনের পরে সহিংসতা শুরু হয়। ওই বছরের ২৭ আগস্ট মুনসুর ও তাঁর সমর্থকেরা রজব আলীর মালিকানাধীন রজব অ্যান্ড ব্রাদার্সের গুদাম ঘর ও ব্যক্তিগত কার্যালয় ভাঙচুর করেন। এ ছাড়া শহীদ কামারুজ্জামান স্মৃতি সংঘ ভাঙচুর করে তাঁদের বাড়িতে আক্রমণ করা হয়। পরদিন ২৮ আগস্ট গুড়িপাড়া সাকিনের ক্লাব মোড়ে শাহেন শাহকে পেয়ে আসামিরা তাঁকে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।

নিহতের ভাই নাহিদ আক্তার ২৯ আগস্ট নগরীর রাজপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় ২৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরও ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়। তদন্তের পর ৩১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত