সম্পাদকীয়
দেশভাগের আগের কথা। বাংলায় তখন কাউন্সিল নির্বাচন হবে। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ তিন সপ্তাহের মধ্যে বাংলায় তাঁর দল গঠন করে প্রতিটি কেন্দ্রে প্রার্থী দাঁড় করাচ্ছেন। শক্তিমান প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে যাঁদের দাঁড় করালেন, তাঁরা ছিলেন অজ্ঞাতকুলশীল। কিন্তু দেশবন্ধুর জনপ্রিয়তার তুলনা ছিল না তখন।
সে সময় দেশবন্ধু চাইলেন হাওড়া থেকে দাঁড় করাবেন বন্ধু শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে। সে অনুরোধ করতেই শরৎ বললেন, ‘আপনি খেপেছেন? আমি দাঁড়াব ইলেকশনে?’ দেশবন্ধু বললেন, ‘কেন দাঁড়াবেন না?’
‘না না, দূর দূর, সে কী হয়! আমি সামান্য গ্রন্থকার মানুষ। আমি কি কাউন্সিলে ইলেকশনে দাঁড়াবার যোগ্য? লোকে বলবে কী?’ দেশবন্ধু বললেন, ‘আপনি কী বলছেন, শরৎবাবু?’
শরৎচন্দ্র বললেন, ‘ঠিক বলছি। দেশের জন্য আমি কী করেছি? আমি জেলে যাইনি, ওকালতি, ব্যারিস্টারি ত্যাগ করিনি, দেশের জন্য আমি তো কোনো নির্যাতন বরণ, কোনো ত্যাগ স্বীকার করিনি। আপনি আমাকে ভালোবাসেন—সে আপনার আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক।…কাউন্সিলের যে কাজ—ইংরেজিতে বক্তৃতা শোনা আর ইংরেজিতে বক্তৃতা দেওয়া, দুটোতেই আমার অত্যন্ত অরুচি। আপনি আমাকে রেহাই দিন।’
কাউন্সিল নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্য মানুষ কি না করত! কিন্তু শরৎচন্দ্রের তাতে কিছুই আসে-যায়নি। রেষারেষি, মন-কষাকষি, কোটারি করা ইত্যাদির কথা ভাবতেই পারতেন না এই সাহিত্যিক।
এরপর যখন কংগ্রেস থেকে তাঁকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে অনুরোধ করা হয়েছিল, তখনো তিনি তা এড়িয়ে গেছেন। অনেকেই মনে করেন জনপ্রিয়তার কারণে সে সময় শরৎচন্দ্র চাইলে কাউন্সিল অ্যাসেম্বলির মেম্বার ও হাওড়া মিউনিসিপ্যালটির চেয়ারম্যান হতে পারতেন বিনা চেষ্টায়। শরৎচন্দ্র রাজি না হওয়ায় দেশবন্ধু হাওড়া থেকে উকিল খগেন্দ্রনাথ গাঙ্গুলিকে স্বরাজ পার্টির পক্ষ থেকে দাঁড় করিয়েছিলেন। তিনি নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন।
স্বরাজ পার্টি গঠিত হওয়ার পর শরৎচন্দ্র কায়মনোবাক্যে দেশবন্ধুর কাজে আত্মনিয়োগ করেছিলেন। দেশবন্ধুকে অজস্র বাংলা বিবৃতি রচনা করে দিয়েছিলেন। কাজের আনন্দের জন্যই তিনি তা করতেন। কোনো পুরস্কার বা বাহবা পাওয়ার জন্য নয়।
সূত্র: শচীনন্দন চট্টোপাধ্যায়, শরৎচন্দ্রের রাজনৈতিক জীবন,পৃষ্ঠা ৪৩-৪৬
দেশভাগের আগের কথা। বাংলায় তখন কাউন্সিল নির্বাচন হবে। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ তিন সপ্তাহের মধ্যে বাংলায় তাঁর দল গঠন করে প্রতিটি কেন্দ্রে প্রার্থী দাঁড় করাচ্ছেন। শক্তিমান প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে যাঁদের দাঁড় করালেন, তাঁরা ছিলেন অজ্ঞাতকুলশীল। কিন্তু দেশবন্ধুর জনপ্রিয়তার তুলনা ছিল না তখন।
সে সময় দেশবন্ধু চাইলেন হাওড়া থেকে দাঁড় করাবেন বন্ধু শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে। সে অনুরোধ করতেই শরৎ বললেন, ‘আপনি খেপেছেন? আমি দাঁড়াব ইলেকশনে?’ দেশবন্ধু বললেন, ‘কেন দাঁড়াবেন না?’
‘না না, দূর দূর, সে কী হয়! আমি সামান্য গ্রন্থকার মানুষ। আমি কি কাউন্সিলে ইলেকশনে দাঁড়াবার যোগ্য? লোকে বলবে কী?’ দেশবন্ধু বললেন, ‘আপনি কী বলছেন, শরৎবাবু?’
শরৎচন্দ্র বললেন, ‘ঠিক বলছি। দেশের জন্য আমি কী করেছি? আমি জেলে যাইনি, ওকালতি, ব্যারিস্টারি ত্যাগ করিনি, দেশের জন্য আমি তো কোনো নির্যাতন বরণ, কোনো ত্যাগ স্বীকার করিনি। আপনি আমাকে ভালোবাসেন—সে আপনার আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক।…কাউন্সিলের যে কাজ—ইংরেজিতে বক্তৃতা শোনা আর ইংরেজিতে বক্তৃতা দেওয়া, দুটোতেই আমার অত্যন্ত অরুচি। আপনি আমাকে রেহাই দিন।’
কাউন্সিল নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্য মানুষ কি না করত! কিন্তু শরৎচন্দ্রের তাতে কিছুই আসে-যায়নি। রেষারেষি, মন-কষাকষি, কোটারি করা ইত্যাদির কথা ভাবতেই পারতেন না এই সাহিত্যিক।
এরপর যখন কংগ্রেস থেকে তাঁকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে অনুরোধ করা হয়েছিল, তখনো তিনি তা এড়িয়ে গেছেন। অনেকেই মনে করেন জনপ্রিয়তার কারণে সে সময় শরৎচন্দ্র চাইলে কাউন্সিল অ্যাসেম্বলির মেম্বার ও হাওড়া মিউনিসিপ্যালটির চেয়ারম্যান হতে পারতেন বিনা চেষ্টায়। শরৎচন্দ্র রাজি না হওয়ায় দেশবন্ধু হাওড়া থেকে উকিল খগেন্দ্রনাথ গাঙ্গুলিকে স্বরাজ পার্টির পক্ষ থেকে দাঁড় করিয়েছিলেন। তিনি নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন।
স্বরাজ পার্টি গঠিত হওয়ার পর শরৎচন্দ্র কায়মনোবাক্যে দেশবন্ধুর কাজে আত্মনিয়োগ করেছিলেন। দেশবন্ধুকে অজস্র বাংলা বিবৃতি রচনা করে দিয়েছিলেন। কাজের আনন্দের জন্যই তিনি তা করতেন। কোনো পুরস্কার বা বাহবা পাওয়ার জন্য নয়।
সূত্র: শচীনন্দন চট্টোপাধ্যায়, শরৎচন্দ্রের রাজনৈতিক জীবন,পৃষ্ঠা ৪৩-৪৬
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫