ইমতিয়াজ আহমেদ, শিবচর
রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যোগাযোগের অন্যতম নৌপথের বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া ঘাটে রয়েছে অসংখ্য হোটেল। এ সব হোটেলে দীর্ঘদিনের 'পুঁজি' হিসেবে রয়েছে 'পদ্মার ইলিশ'। টুকরো টুকরো করে কেটে চমৎকারভাবে সাজিয়ে রাখা হয় দোকানের সামনে। ভোক্তার চাহিদামতো তাৎক্ষণিক ভেজেও দেওয়া হয়। তবে খাওয়ার আগে বোঝার উপায় থাকে না যে ইলিশের নামে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে সার্ডিন।
জানা যায়, ধোঁয়া ওঠা গরম ভাতের সঙ্গে ইলিশ ভাঁজা আর ইলিশের তেল ও শুকনা মরিচের স্বাদের সঙ্গে এই নৌপথের যাত্রীদের দীর্ঘদিনের পরিচিতি রয়েছে। তবে বেশ কয়েক বছর ধরে আসাধু ব্যবসায়ীদের ফাঁদে পড়ছেন যাত্রীরা। ইলিশের নামে সার্ডিন মাছ খাওয়াচ্ছেন তাঁরা। তবে দাম রাখছেন ইলিশের মতোই। দামাদামি করে কিছুটা কমানো গেলেও ইলিশ মনে করেই খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। তবে মুখে দেওয়ার পর ইলিশের স্বাদ না পেয়ে ধরতে পাড়ছেন বিষয়টি। আবার অনেকে চুপচাপ খেয়ে চলে যাচ্ছেন।
এদিকে হোটেল ব্যবসায়ীদের দাবি, তাঁরা ইলিশও বিক্রি করেন। যাঁরা প্রকৃত ইলিশ খেতে চান, তাঁদের ইলিশ মাছই দেওয়া হয়। ইলিশের চেয়ে সার্ডিন মাছের দাম একটু কম। ইদানিং লোকজন এই মাছ চিনতে পারছেন। তাই ঠকানোর প্রশ্নই আসে না।
হোটেলে খাওয়ার সময় একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ করলে তাঁরা জানান, ঘাটের হোটেলে সাজিয়ে রাখা মাছগুলো দেখতে ইলিশের মতো হলেও তা ইলিশ নয়। মুখে দেওয়ার পর বিষয়টি বোঝা যায়। এর আগে সহজে চেনা যায় না। ইলিশ ভেবে হরহামেশা এই মাছ খাচ্ছে মানুষ। দামের ক্ষেত্রে ঠকানো হচ্ছে। স্থানীয়রা এসব মাছকে চন্দনা বলে থাকে। যাঁরা চিনতে পারেন না, তাঁদের অনেকেই অসাধু হোটেল মালিক দ্বারা প্রতারিত হন। পিচ করে কাটা মাছ দেখে চেনা যায় না। খাওয়ার সময় ইলিশের কোনো স্বাদ পাওয়া যায় না।
ঘাটের হোটেল মালিকদের সঙ্গে আলপ করে জানা গেছে, বর্তমানে হোটেলগুলোতে ‘চাঁটগাঁর ইলিশ’ নামে দামে সস্তা ইলিশ সদৃশ সার্ডিন মাছ বেশি পাওয়া যায়। তবে ইলিশের মতো ততটা স্বাদ নয় এই মাছ। ৭০-৮০ টাকা করে পিচ বিক্রি হয়।
মো. হৃদয় নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘ঢাকা-যাওয়া আসার পথে ঘাটে ভাত খেলে ইলিশ মাছ দিয়েই খাওয়া হয়। ইলিশের মতো দেখতে মাছগুলো চিনতে কষ্ট হয়। খাওয়ার সময় বোঝা যায় যে এগুলো ইলিশ নয়। তবে ইলিশ মাছও আছে।’
ঘাটের এক হোটেল মালিক বলেন, ‘ভোর থেকে রাত পর্যন্ত দোকান খোলা থাকে। হোটেলে ভাত ও খিচুরির সঙ্গে ইলিশ মাছ বেশি বিক্রি হয়। হোটেলে আস্ত ইলিশও রাখা হয়। একাধিক ব্যক্তি একত্রে এলে তাঁরা কিনতে পারেন। ক্রেতাদের সামনেই মাছ কেটে ভেজে দেওয়া হয়। কয়েক যুগ ধরে এভাবেই চলছে ঘাট এলাকার হোটেল ব্যবসা। তবে ইদানিং নকল ইলিশের কারণে সুনাম নষ্ট হচ্ছে।'
বিআইডব্লিউটিএ’র বাংলাবাজার ঘাটের ট্রাফিক পরিদর্শক আক্তার হোসেন বলেন, ‘লঞ্চ ঘাটের হোটেলে হোটেলে ইলিশ বিক্রি করতে দেখা যায়। এর মধ্যে নকল ইলিশের ছড়াছড়ি বলে অভিযোগ রয়েছে। লঞ্চযাত্রীরা বেশি দামে ইলিশ ভেবে সার্ডিন খেয়ে প্রতারিত হচ্ছেন।'
রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যোগাযোগের অন্যতম নৌপথের বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া ঘাটে রয়েছে অসংখ্য হোটেল। এ সব হোটেলে দীর্ঘদিনের 'পুঁজি' হিসেবে রয়েছে 'পদ্মার ইলিশ'। টুকরো টুকরো করে কেটে চমৎকারভাবে সাজিয়ে রাখা হয় দোকানের সামনে। ভোক্তার চাহিদামতো তাৎক্ষণিক ভেজেও দেওয়া হয়। তবে খাওয়ার আগে বোঝার উপায় থাকে না যে ইলিশের নামে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে সার্ডিন।
জানা যায়, ধোঁয়া ওঠা গরম ভাতের সঙ্গে ইলিশ ভাঁজা আর ইলিশের তেল ও শুকনা মরিচের স্বাদের সঙ্গে এই নৌপথের যাত্রীদের দীর্ঘদিনের পরিচিতি রয়েছে। তবে বেশ কয়েক বছর ধরে আসাধু ব্যবসায়ীদের ফাঁদে পড়ছেন যাত্রীরা। ইলিশের নামে সার্ডিন মাছ খাওয়াচ্ছেন তাঁরা। তবে দাম রাখছেন ইলিশের মতোই। দামাদামি করে কিছুটা কমানো গেলেও ইলিশ মনে করেই খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। তবে মুখে দেওয়ার পর ইলিশের স্বাদ না পেয়ে ধরতে পাড়ছেন বিষয়টি। আবার অনেকে চুপচাপ খেয়ে চলে যাচ্ছেন।
এদিকে হোটেল ব্যবসায়ীদের দাবি, তাঁরা ইলিশও বিক্রি করেন। যাঁরা প্রকৃত ইলিশ খেতে চান, তাঁদের ইলিশ মাছই দেওয়া হয়। ইলিশের চেয়ে সার্ডিন মাছের দাম একটু কম। ইদানিং লোকজন এই মাছ চিনতে পারছেন। তাই ঠকানোর প্রশ্নই আসে না।
হোটেলে খাওয়ার সময় একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ করলে তাঁরা জানান, ঘাটের হোটেলে সাজিয়ে রাখা মাছগুলো দেখতে ইলিশের মতো হলেও তা ইলিশ নয়। মুখে দেওয়ার পর বিষয়টি বোঝা যায়। এর আগে সহজে চেনা যায় না। ইলিশ ভেবে হরহামেশা এই মাছ খাচ্ছে মানুষ। দামের ক্ষেত্রে ঠকানো হচ্ছে। স্থানীয়রা এসব মাছকে চন্দনা বলে থাকে। যাঁরা চিনতে পারেন না, তাঁদের অনেকেই অসাধু হোটেল মালিক দ্বারা প্রতারিত হন। পিচ করে কাটা মাছ দেখে চেনা যায় না। খাওয়ার সময় ইলিশের কোনো স্বাদ পাওয়া যায় না।
ঘাটের হোটেল মালিকদের সঙ্গে আলপ করে জানা গেছে, বর্তমানে হোটেলগুলোতে ‘চাঁটগাঁর ইলিশ’ নামে দামে সস্তা ইলিশ সদৃশ সার্ডিন মাছ বেশি পাওয়া যায়। তবে ইলিশের মতো ততটা স্বাদ নয় এই মাছ। ৭০-৮০ টাকা করে পিচ বিক্রি হয়।
মো. হৃদয় নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘ঢাকা-যাওয়া আসার পথে ঘাটে ভাত খেলে ইলিশ মাছ দিয়েই খাওয়া হয়। ইলিশের মতো দেখতে মাছগুলো চিনতে কষ্ট হয়। খাওয়ার সময় বোঝা যায় যে এগুলো ইলিশ নয়। তবে ইলিশ মাছও আছে।’
ঘাটের এক হোটেল মালিক বলেন, ‘ভোর থেকে রাত পর্যন্ত দোকান খোলা থাকে। হোটেলে ভাত ও খিচুরির সঙ্গে ইলিশ মাছ বেশি বিক্রি হয়। হোটেলে আস্ত ইলিশও রাখা হয়। একাধিক ব্যক্তি একত্রে এলে তাঁরা কিনতে পারেন। ক্রেতাদের সামনেই মাছ কেটে ভেজে দেওয়া হয়। কয়েক যুগ ধরে এভাবেই চলছে ঘাট এলাকার হোটেল ব্যবসা। তবে ইদানিং নকল ইলিশের কারণে সুনাম নষ্ট হচ্ছে।'
বিআইডব্লিউটিএ’র বাংলাবাজার ঘাটের ট্রাফিক পরিদর্শক আক্তার হোসেন বলেন, ‘লঞ্চ ঘাটের হোটেলে হোটেলে ইলিশ বিক্রি করতে দেখা যায়। এর মধ্যে নকল ইলিশের ছড়াছড়ি বলে অভিযোগ রয়েছে। লঞ্চযাত্রীরা বেশি দামে ইলিশ ভেবে সার্ডিন খেয়ে প্রতারিত হচ্ছেন।'
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪