সম্পাদকীয়
ব্যাপারটা গোলমেলে ঠেকছে। বিশ্বাস করতে মন চায় না, বিশ্বাস না করেও উপায় নেই। একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একজন সহকারী শিক্ষককে বিয়ে করার জন্য নোটিশ জারি করেছেন। মৌখিকভাবে এ-ও বলেছেন, ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে বিয়ে না করলে ওই শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করবেন। একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ রকম ঘটনা অবিশ্বাস্য হলেও টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার সাজানপুর উচ্চবিদ্যালয়ে ঘটনাটি ঘটেছে।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা চলছে। সহকারী শিক্ষক রনি প্রতাপ পালকে বিয়ে করার জন্য নোটিশ দেওয়ার মূল কারণ হিসেবে প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম যে যুক্তি দিয়েছেন, সেটা অধিকাংশ মানুষের কাছে হাস্যকরই মনে হবে। প্রধান শিক্ষক বলেছেন, যেহেতু ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সহশিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে আর অভিভাবকেরা অবিবাহিত শিক্ষক নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন, তাই তাঁকে বিয়ে করতে হবে!
২০১৬ সালে রনি প্রতাপ পাল ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। তাঁর বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো অভিভাবক বা এলাকার কেউ কোনো ধরনের অভিযোগ করেননি। তাহলে প্রধান শিক্ষক আগ বাড়িয়ে তাঁকে নোটিশ দেওয়ার পেছনে অন্য কোনো মতলব আছে কি না, সে প্রশ্ন সামনে আসাটাই স্বাভাবিক।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ কখন বা কোন সময় বিয়ে করবেন, সেটা তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। তা ছাড়া, বিয়ের বিষয়ে অনেক সময় পারিবারিক সুবিধা-অসুবিধা তথা অভিভাবকদের মনোভাবও অনুঘটকের ভূমিকা পালন করে থাকে।
কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে তাঁর দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ আনতে পারেন; তিনি ভালোভাবে তাঁর অর্পিত দায়িত্ব পালন করছেন কি না এবং তিনি শিক্ষার্থীদের ঠিকভাবে পাঠদান করছেন কি না, ইত্যাদি বিষয়ে অভিযুক্ত করতে পারেন। কোনোভাবেই তিনি কোনো শিক্ষককে এ ধরনের একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপারে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নোটিশ জারি করতে পারেন না।
যদি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিয়োগের এমন কোনো নীতি থাকত যে অবিবাহিত কাউকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যাবে না, তাহলে তিনি এ কাজ করতে পারতেন। আজকের পত্রিকায় এ নিয়ে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, রনি প্রতাপ মনে করেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের যে অভিযোগ আছে, সে ব্যাপারে সাক্ষ্যদানে বিরত রাখার জন্যই তাঁর ওপর এই চাপ! এ ব্যাপারে তিনি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগও করেছেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজনীন সুলতানা ঘটনাটিকে খুবই লজ্জাজনক বলে অভিহিত করে বলেছেন, এভাবে নোটিশ করার এখতিয়ার কোনো প্রধান শিক্ষকের নেই।
আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটি এখতিয়ারবহির্ভূত কাজের জন্য প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগী হবে। কারণ, কারও ব্যক্তিগত বিষয়ে খবরদারি করা কোনোভাবেই প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। এটা বাড়াবাড়ি। কোনো প্রতিষ্ঠানেরই প্রধান ব্যক্তির খামখেয়ালিপনা মেনে নেওয়া যায় না।
ব্যাপারটা গোলমেলে ঠেকছে। বিশ্বাস করতে মন চায় না, বিশ্বাস না করেও উপায় নেই। একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একজন সহকারী শিক্ষককে বিয়ে করার জন্য নোটিশ জারি করেছেন। মৌখিকভাবে এ-ও বলেছেন, ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে বিয়ে না করলে ওই শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করবেন। একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ রকম ঘটনা অবিশ্বাস্য হলেও টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার সাজানপুর উচ্চবিদ্যালয়ে ঘটনাটি ঘটেছে।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা চলছে। সহকারী শিক্ষক রনি প্রতাপ পালকে বিয়ে করার জন্য নোটিশ দেওয়ার মূল কারণ হিসেবে প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম যে যুক্তি দিয়েছেন, সেটা অধিকাংশ মানুষের কাছে হাস্যকরই মনে হবে। প্রধান শিক্ষক বলেছেন, যেহেতু ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সহশিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে আর অভিভাবকেরা অবিবাহিত শিক্ষক নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন, তাই তাঁকে বিয়ে করতে হবে!
২০১৬ সালে রনি প্রতাপ পাল ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। তাঁর বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো অভিভাবক বা এলাকার কেউ কোনো ধরনের অভিযোগ করেননি। তাহলে প্রধান শিক্ষক আগ বাড়িয়ে তাঁকে নোটিশ দেওয়ার পেছনে অন্য কোনো মতলব আছে কি না, সে প্রশ্ন সামনে আসাটাই স্বাভাবিক।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ কখন বা কোন সময় বিয়ে করবেন, সেটা তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। তা ছাড়া, বিয়ের বিষয়ে অনেক সময় পারিবারিক সুবিধা-অসুবিধা তথা অভিভাবকদের মনোভাবও অনুঘটকের ভূমিকা পালন করে থাকে।
কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে তাঁর দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ আনতে পারেন; তিনি ভালোভাবে তাঁর অর্পিত দায়িত্ব পালন করছেন কি না এবং তিনি শিক্ষার্থীদের ঠিকভাবে পাঠদান করছেন কি না, ইত্যাদি বিষয়ে অভিযুক্ত করতে পারেন। কোনোভাবেই তিনি কোনো শিক্ষককে এ ধরনের একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপারে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নোটিশ জারি করতে পারেন না।
যদি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিয়োগের এমন কোনো নীতি থাকত যে অবিবাহিত কাউকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যাবে না, তাহলে তিনি এ কাজ করতে পারতেন। আজকের পত্রিকায় এ নিয়ে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, রনি প্রতাপ মনে করেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের যে অভিযোগ আছে, সে ব্যাপারে সাক্ষ্যদানে বিরত রাখার জন্যই তাঁর ওপর এই চাপ! এ ব্যাপারে তিনি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগও করেছেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজনীন সুলতানা ঘটনাটিকে খুবই লজ্জাজনক বলে অভিহিত করে বলেছেন, এভাবে নোটিশ করার এখতিয়ার কোনো প্রধান শিক্ষকের নেই।
আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটি এখতিয়ারবহির্ভূত কাজের জন্য প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগী হবে। কারণ, কারও ব্যক্তিগত বিষয়ে খবরদারি করা কোনোভাবেই প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। এটা বাড়াবাড়ি। কোনো প্রতিষ্ঠানেরই প্রধান ব্যক্তির খামখেয়ালিপনা মেনে নেওয়া যায় না।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৯ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৯ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
১০ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫