চয়ন বিকাশ ভদ্র
পদ্ম কিন্তু স্থল বা ডাঙায় জন্মায় না। সারা বছর পানি থাকে এমন জায়গায় জন্মায়। তারপরও ফুলটির নাম স্থলপদ্ম। পদ্ম আর স্থলপদ্ম পুরোপুরি আলাদা গোত্রের উদ্ভিদ। স্থলপদ্ম মাঝারি ধরনের ঝোপালো গুল্ম। এর বৈজ্ঞানিক নাম হিবিসকাস মিউটাবিলিস, এটি মালভেসি পরিবারের উদ্ভিদ।
এর ইংরেজি নাম কটন রোজ, হিন্দি নাম স্থলকমল, শলগড়, গুলিয়াজেব এবং সংস্কৃত নাম পদ্মচারিণী। সাধারণত তিন-চার মিটারের মতো উঁচু হয় এর গাছ। পাতাগুলো অনেকটা ঢ্যাঁড়সপাতার মতো এবং ঢ্যাঁড়সপাতার চেয়ে নরম। কাণ্ড খসখসে, রোমশ। ফুলের গঠন জবার মতো কিন্তু অপেক্ষাকৃত বড়। ফুলের রং সকালের দিকে সাদাটে লাল এবং বিকেলে রক্তের মতো লাল।
ছোটবেলায় আমাদের বাড়ির বাগানে প্রচুর স্থলপদ্ম ফুটতে দেখেছি। ফুলের প্রস্ফুটন শুরু হওয়ার পর গাছের দিকে তাকালে মন ভরে যেত। মা আমাদের এই ফুলের বড়া ভেজে খাওয়াতেন। এর বড়া খুব সুস্বাদু। ময়মনসিংহ শহরের ব্রহ্মপুত্রতীরের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালার সামনের আঙিনায়, জয়নুল উদ্যানের উল্টো দিকে সিভিল সার্জনের বাসভবনের সামনে, আনন্দমোহন কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের বাগানে স্থলপদ্মগাছ রয়েছে। পুরো দেশে বিভিন্ন বাগানে কমবেশি এই ফুল দেখা যায়।
এ দেশে মোটামুটি পরিচিত হলেও স্থলপদ্মের আদি বাসস্থান চীন। গ্রীষ্মের শুরু থেকে শরৎ ও হেমন্ত ঋতুজুড়ে সাদা বা গোলাপি রঙের স্থলপদ্ম ফুটতে দেখা যায়। উদ্ভিদটি পুরো রোদে বা আংশিক ছায়ায় ভালো জন্মে এবং ভালো মাটি পছন্দ করে।
কাটিং মাধ্যমে স্থলপদ্মের বংশবিস্তার সবচেয়ে সহজ। কাটিং প্রায় যেকোনো সময়ে নেওয়া যেতে পারে। তবে বীজের মাধ্যমেও খুব সহজে বংশ বিস্তার করা যায় এ ফুলের। তবে বীজের গাছে ফুল আসতে অনেক বেশি সময় লাগে, যেখানে কাটিং করা গাছে এক বছরেই ফুল ফোটে। এটি বাগানের পাশাপাশি টবেও রোপণ করা সম্ভব। তবে এর জন্য একটু বড় আকারের টব দরকার। টবের ক্ষেত্রে বীজের চেয়ে কাটিং ব্যবহার করাই উত্তম। তাতে দ্রুত ফুল আসবে। শীতকালে গাছের ডাল ছেঁটে দেওয়া ভালো। স্থলপদ্ম মূলত চীন এবং সংলগ্ন দেশগুলোর স্থানীয় গাছ হলেও বর্তমানে এটি অ্যান্টার্কটিকা ছাড়া সব মহাদেশে পাওয়া যায়।
স্থলপদ্ম শুধু বাগানের শোভাই বাড়ায় না। এর ভেষজ গুণও রয়েছে। কোমরে যন্ত্রণা হলে স্থলপদ্মগাছের শিকড়ের ছাল বেটে রস খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়। ফুলের রস চিনিসহ দিনে ২ থেকে ৩ বার করে ৩ থেকে ৪ দিন খেলে প্রস্রাবের বেগ ভালো থাকে। মেয়েদের কোমরে ও তলপেটে যন্ত্রণা হলে স্থলপদ্মগাছের শিকড়ের ছাল বেটে শরবত করে ঋতুস্রাব হওয়ার ৭-৮ দিন আগে থেকে ২-৩ মাস খেলে উপকার পাওয়া যায়। প্রমেহ রোগের চিকিৎসায় ৫০০ মিলিগ্রাম পরিমাণে স্থলপদ্মগাছের ছাল পানিতে ভিজিয়ে প্রতিদিন একবার করে পান করতে হবে এক সপ্তাহ। এতে বিশেষ উপকার না হলে একই পরিমাণ পাতা বেটে এর রস খেতে হবে এক সপ্তাহ।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ, মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজ, ময়মনসিংহ।
পদ্ম কিন্তু স্থল বা ডাঙায় জন্মায় না। সারা বছর পানি থাকে এমন জায়গায় জন্মায়। তারপরও ফুলটির নাম স্থলপদ্ম। পদ্ম আর স্থলপদ্ম পুরোপুরি আলাদা গোত্রের উদ্ভিদ। স্থলপদ্ম মাঝারি ধরনের ঝোপালো গুল্ম। এর বৈজ্ঞানিক নাম হিবিসকাস মিউটাবিলিস, এটি মালভেসি পরিবারের উদ্ভিদ।
এর ইংরেজি নাম কটন রোজ, হিন্দি নাম স্থলকমল, শলগড়, গুলিয়াজেব এবং সংস্কৃত নাম পদ্মচারিণী। সাধারণত তিন-চার মিটারের মতো উঁচু হয় এর গাছ। পাতাগুলো অনেকটা ঢ্যাঁড়সপাতার মতো এবং ঢ্যাঁড়সপাতার চেয়ে নরম। কাণ্ড খসখসে, রোমশ। ফুলের গঠন জবার মতো কিন্তু অপেক্ষাকৃত বড়। ফুলের রং সকালের দিকে সাদাটে লাল এবং বিকেলে রক্তের মতো লাল।
ছোটবেলায় আমাদের বাড়ির বাগানে প্রচুর স্থলপদ্ম ফুটতে দেখেছি। ফুলের প্রস্ফুটন শুরু হওয়ার পর গাছের দিকে তাকালে মন ভরে যেত। মা আমাদের এই ফুলের বড়া ভেজে খাওয়াতেন। এর বড়া খুব সুস্বাদু। ময়মনসিংহ শহরের ব্রহ্মপুত্রতীরের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালার সামনের আঙিনায়, জয়নুল উদ্যানের উল্টো দিকে সিভিল সার্জনের বাসভবনের সামনে, আনন্দমোহন কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের বাগানে স্থলপদ্মগাছ রয়েছে। পুরো দেশে বিভিন্ন বাগানে কমবেশি এই ফুল দেখা যায়।
এ দেশে মোটামুটি পরিচিত হলেও স্থলপদ্মের আদি বাসস্থান চীন। গ্রীষ্মের শুরু থেকে শরৎ ও হেমন্ত ঋতুজুড়ে সাদা বা গোলাপি রঙের স্থলপদ্ম ফুটতে দেখা যায়। উদ্ভিদটি পুরো রোদে বা আংশিক ছায়ায় ভালো জন্মে এবং ভালো মাটি পছন্দ করে।
কাটিং মাধ্যমে স্থলপদ্মের বংশবিস্তার সবচেয়ে সহজ। কাটিং প্রায় যেকোনো সময়ে নেওয়া যেতে পারে। তবে বীজের মাধ্যমেও খুব সহজে বংশ বিস্তার করা যায় এ ফুলের। তবে বীজের গাছে ফুল আসতে অনেক বেশি সময় লাগে, যেখানে কাটিং করা গাছে এক বছরেই ফুল ফোটে। এটি বাগানের পাশাপাশি টবেও রোপণ করা সম্ভব। তবে এর জন্য একটু বড় আকারের টব দরকার। টবের ক্ষেত্রে বীজের চেয়ে কাটিং ব্যবহার করাই উত্তম। তাতে দ্রুত ফুল আসবে। শীতকালে গাছের ডাল ছেঁটে দেওয়া ভালো। স্থলপদ্ম মূলত চীন এবং সংলগ্ন দেশগুলোর স্থানীয় গাছ হলেও বর্তমানে এটি অ্যান্টার্কটিকা ছাড়া সব মহাদেশে পাওয়া যায়।
স্থলপদ্ম শুধু বাগানের শোভাই বাড়ায় না। এর ভেষজ গুণও রয়েছে। কোমরে যন্ত্রণা হলে স্থলপদ্মগাছের শিকড়ের ছাল বেটে রস খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়। ফুলের রস চিনিসহ দিনে ২ থেকে ৩ বার করে ৩ থেকে ৪ দিন খেলে প্রস্রাবের বেগ ভালো থাকে। মেয়েদের কোমরে ও তলপেটে যন্ত্রণা হলে স্থলপদ্মগাছের শিকড়ের ছাল বেটে শরবত করে ঋতুস্রাব হওয়ার ৭-৮ দিন আগে থেকে ২-৩ মাস খেলে উপকার পাওয়া যায়। প্রমেহ রোগের চিকিৎসায় ৫০০ মিলিগ্রাম পরিমাণে স্থলপদ্মগাছের ছাল পানিতে ভিজিয়ে প্রতিদিন একবার করে পান করতে হবে এক সপ্তাহ। এতে বিশেষ উপকার না হলে একই পরিমাণ পাতা বেটে এর রস খেতে হবে এক সপ্তাহ।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ, মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজ, ময়মনসিংহ।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫