নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
তীব্র দাবদাহ, খরা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বরেন্দ্র অঞ্চলে নতুন কিছু সংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে খরার কারণে পানিসংকট তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। খরাপ্রবণ এলাকাগুলোতে ৩০ শতাংশ জমি কোনো না কোনোভাবে অনাবাদি থেকে যাচ্ছে। এমনকি কোনো এলাকায় তারও বেশি জমি পরিত্যক্ত থেকে যাচ্ছে। একই সঙ্গে প্রান্তিক কৃষক জমি হারাচ্ছে।
‘জলবায়ু পরিবর্তন ও বরেন্দ্রভূমির নয়া সংকটবিষয়ক গবেষণা উপস্থাপন ও নীতি সংলাপ’ শীর্ষক এক সমাবেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় রাজশাহীর কাজলায় হেরিটেজ আর্কাইভস বাংলাদেশ মিলনায়তনে উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক এবং বরেন্দ্র অঞ্চল জনসংগঠন সমন্বয় কমিটি এই সংলাপের আয়োজন করে।
সংলাপে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব, অন্যদিকে মানুষসৃষ্ট দুর্যোগগুলোও বরেন্দ্রের জনগণ এবং এ অঞ্চলের প্রাণবৈচিত্র্যের ক্ষতি ডেকে আনছে।
অস্বাভাবিক এবং অনিয়ন্ত্রিত রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহারের ফলে জনস্বাস্থ্য হুমকির মধ্যে পড়েছে। আবার কীটনাশকের ব্যবহারের ফলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তাঁরা তাঁদের ক্ষতি অনুযায়ী পান না ন্যায্য ক্ষতিপূরণ। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সরকারপ্রধান বারবার সব ধরনের জমি ব্যবহার বৃদ্ধি করার কথা জানিয়েছেন অথচ গবেষণায় উঠে এসেছে, এ অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তন এবং স্থানীয়ভাবে আবহাওয়া ও খরার কারণে কিছু এলাকায় অনাবাদি জমির পরিমাণ বাড়ছে, আবার পানির অভাবে কৃষকের উৎপাদন খরচ বেড়েছে।
সমীক্ষা এলাকায় ১০টি কেস স্টাডির মাধ্যমে দেখা যায়, ১৯৭১ সাল থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত গড়ে ১০টি পরিবার তার ৭০ শতাংশ জমি হারিয়েছে।
সংলাপের মূল প্রবন্ধে বলা হয়েছে, বরেন্দ্র অঞ্চলের প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য, উঁচু-নিচু ভূমি, মাঠ, খাল-খাঁড়ি, বিল, নদ-নদী, পুকুর, প্রাকৃতিক জলাধার, বন আজ অনেকটাই হুমকির মুখে। এ বিষয়গুলোর ওপর নির্ভরশীল মানুষসহ বিভিন্ন প্রাণ ও সংস্কৃতিও হুমকির মুখে। প্রাণ ও প্রকৃতির ওপর পরস্পর নির্ভরশীলতা কমে যাওয়ায় দিন দিন সহিংসতা বাড়ছে। একই সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে বা বিলুপ্তির পথে স্থানীয় এলাকা উপযোগী উৎপাদনশীল নানা শস্য ও ফসলের জাত। কোনো কিছু হারালে শুধু সেটিই হারিয়ে যায় না, তার সঙ্গে যে সংস্কৃতি থাকে সেটিও হারিয়ে যায় বলেও মূল প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়।
সংলাপে সংকট ও সমাধানের উপায় নিয়ে কথা বলেন রাজশাহী বিশবিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলাম, নদী ও
পরিবেশ গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এ টি এম মাহফুজুর রহমান ও জাহাঙ্গীর আলম; বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সিনিয়র গবেষক আফতাব উদ্দিন প্রমুখ।
তীব্র দাবদাহ, খরা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বরেন্দ্র অঞ্চলে নতুন কিছু সংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে খরার কারণে পানিসংকট তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। খরাপ্রবণ এলাকাগুলোতে ৩০ শতাংশ জমি কোনো না কোনোভাবে অনাবাদি থেকে যাচ্ছে। এমনকি কোনো এলাকায় তারও বেশি জমি পরিত্যক্ত থেকে যাচ্ছে। একই সঙ্গে প্রান্তিক কৃষক জমি হারাচ্ছে।
‘জলবায়ু পরিবর্তন ও বরেন্দ্রভূমির নয়া সংকটবিষয়ক গবেষণা উপস্থাপন ও নীতি সংলাপ’ শীর্ষক এক সমাবেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় রাজশাহীর কাজলায় হেরিটেজ আর্কাইভস বাংলাদেশ মিলনায়তনে উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক এবং বরেন্দ্র অঞ্চল জনসংগঠন সমন্বয় কমিটি এই সংলাপের আয়োজন করে।
সংলাপে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব, অন্যদিকে মানুষসৃষ্ট দুর্যোগগুলোও বরেন্দ্রের জনগণ এবং এ অঞ্চলের প্রাণবৈচিত্র্যের ক্ষতি ডেকে আনছে।
অস্বাভাবিক এবং অনিয়ন্ত্রিত রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহারের ফলে জনস্বাস্থ্য হুমকির মধ্যে পড়েছে। আবার কীটনাশকের ব্যবহারের ফলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তাঁরা তাঁদের ক্ষতি অনুযায়ী পান না ন্যায্য ক্ষতিপূরণ। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সরকারপ্রধান বারবার সব ধরনের জমি ব্যবহার বৃদ্ধি করার কথা জানিয়েছেন অথচ গবেষণায় উঠে এসেছে, এ অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তন এবং স্থানীয়ভাবে আবহাওয়া ও খরার কারণে কিছু এলাকায় অনাবাদি জমির পরিমাণ বাড়ছে, আবার পানির অভাবে কৃষকের উৎপাদন খরচ বেড়েছে।
সমীক্ষা এলাকায় ১০টি কেস স্টাডির মাধ্যমে দেখা যায়, ১৯৭১ সাল থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত গড়ে ১০টি পরিবার তার ৭০ শতাংশ জমি হারিয়েছে।
সংলাপের মূল প্রবন্ধে বলা হয়েছে, বরেন্দ্র অঞ্চলের প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য, উঁচু-নিচু ভূমি, মাঠ, খাল-খাঁড়ি, বিল, নদ-নদী, পুকুর, প্রাকৃতিক জলাধার, বন আজ অনেকটাই হুমকির মুখে। এ বিষয়গুলোর ওপর নির্ভরশীল মানুষসহ বিভিন্ন প্রাণ ও সংস্কৃতিও হুমকির মুখে। প্রাণ ও প্রকৃতির ওপর পরস্পর নির্ভরশীলতা কমে যাওয়ায় দিন দিন সহিংসতা বাড়ছে। একই সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে বা বিলুপ্তির পথে স্থানীয় এলাকা উপযোগী উৎপাদনশীল নানা শস্য ও ফসলের জাত। কোনো কিছু হারালে শুধু সেটিই হারিয়ে যায় না, তার সঙ্গে যে সংস্কৃতি থাকে সেটিও হারিয়ে যায় বলেও মূল প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়।
সংলাপে সংকট ও সমাধানের উপায় নিয়ে কথা বলেন রাজশাহী বিশবিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলাম, নদী ও
পরিবেশ গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এ টি এম মাহফুজুর রহমান ও জাহাঙ্গীর আলম; বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সিনিয়র গবেষক আফতাব উদ্দিন প্রমুখ।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪