Ajker Patrika

পানির বিল বৃদ্ধি, বাড়ছে ক্ষোভ

আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১৫: ২৮
পানির বিল বৃদ্ধি, বাড়ছে ক্ষোভ

সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেট শাখার সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত বলেন, উন্নত সেবা নিশ্চিত না করে এ ধরনের বিল বাড়ানো যৌক্তিক নয়। এখন মানুষ নিত্যদিনের প্রয়োজন মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন। সেখানে সিসিক কর্তৃপক্ষ পানির বিল বাড়িয়ে মানুষের ভোগান্তি আরও বাড়িয়েছে দিয়েছেন। মানুষজন বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছেন। এ সময় বিভিন্ন কারণে যদি বিল বাড়াতে হয়, তবে বিল কত শতাংশ বাড়ালে নাগরিকদের ভোগান্তি হবে না, সে ব্যাপারে তাঁদের নজর রাখা উচিত ছিল।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমেদ সভাপতি, মহানগর আওয়ামী লীগ সুক উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নাগরিক সেবার প্রথম ধাপ হচ্ছে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা, যা সিসিকের দায়িত্ব। করোনাকালে পানির বিল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক ও অমানবিক। আমরা দলীয়ভাবেও এ ব্যাপারে বিবৃতি দিয়েছি।’ মাসুক উদ্দিন আরও বলেন, ‘আপনি জনপ্রতিনিধি হলে আপনাকে জনগণের সুবিধা ও অসুবিধা চিন্তা করতে হবে। এই অতিমারিতে মানুষের আয় কমেছে, বিষয়টা সবাই জানেন। তাই মেয়রের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, মানবিক দিক চিন্তা করে হলেও পানির বিল কমান।’

ফারুক মাহমুদ চৌধুরী  সভাপতি, সুশাসনের জন্য নাগরিক ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এই করোনাকালে মানুষের আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতি হয়েছে। এখন পানির বিল বাড়ানো সম্পূর্ণ অমানবিক। উৎপাদন ব্যয়সহ বিভিন্ন কারণে বিল বাড়তে পারে, কিন্তু সেটা এক লাফে দ্বিগুণ হতে পারে না। যদি দাম বাড়াতেই হয়, তাহলে ৫ থেকে ১০ শতাংশ বাড়ানো যেতে পারে। না হলে বর্তমান পরিস্থিতিতে এই পানির বিল বাড়ানোটা নাগরিকদের ওপর জুলুম হয়ে যাবে। দাম না বাড়িয়ে গ্রাহকদের কাছ বকেয়া টাকা উত্তোলন করার উদ্যোগ নিলে ভালো হতো। 

মিফতাহ্ সিদ্দিকী সদস্যসচিব, মহানগর বিএনপির সিলেট মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব মিফতাহ্ সিদ্দিকী বলেন, ‘কারণ এই করোনা অতিমারির প্রভাব প্রায় সব শ্রেণি পেশার মানুষের ওপর পড়েছে। এই সময় পানির বিল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জনদুর্ভোগ বাড়াবে। যেহেতু তিনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত মেয়র, তাই জনগণের দুর্ভোগ হয় এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেবেন না। আমি আশা করি তিনি জনগণের মতামতকে প্রাধান্য দেবেন। জনগণের মতামতের ভিত্তিতে পানির বিল সহনীয় পর্যায়ে আনতে তিনি দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন।’

রজত কান্তি গুপ্ত  সা. সম্পাদক, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেট শাখার সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত বলেন, উন্নত সেবা নিশ্চিত না করে এ ধরনের বিল বাড়ানো যৌক্তিক নয়। এখন মানুষ নিত্যদিনের প্রয়োজন মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন। সেখানে সিসিক কর্তৃপক্ষ পানির বিল বাড়িয়ে মানুষের ভোগান্তি আরও বাড়িয়েছে দিয়েছেন। মানুষজন বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছেন। এ সময় বিভিন্ন কারণে যদি বিল বাড়াতে হয়, তবে বিল কত শতাংশ বাড়ালে নাগরিকদের ভোগান্তি হবে না, সে ব্যাপারে তাঁদের নজর রাখা উচিত ছিল। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত