রাতুল মন্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর)
গাজীপুরের শ্রীপুরে মহাসড়কের পাশে ফেলা পৌরসভার বর্জ্য ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশের জমিতে। ক্ষতিকারক পলিথিন বর্জ্য মিশে অনাবাদি হচ্ছে ফসলি জমি। এতে ধানসহ সব কৃষিজাত পণ্য উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকেরা। এ ছাড়া পথচারী ও যানবাহনের যাত্রীদের উৎকট দুর্গন্ধ সহ্য করতে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শ্রীপুর পৌরসভার গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ঘেঁষা লবলঙ্গ খালের পাশে বিশাল ময়লার স্তূপ। এখানে কয়েক বছর ফেলা হচ্ছে পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা। এসব বর্জ্য লবলঙ্গ খাল হয়ে ছড়িয়ে গেছে শত শত একর ফসলি জমিতে। যতদূর চোখ যায় দেখা যায় শুধু পলিথিন বর্জ্য। এসব বর্জ্য জমিতে মিশে উর্বরতা নষ্ট হয়েছে। অনেকটা বাধ্য হয়েই স্থানীয় কৃষকেরা চাষাবাদ বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে বন্ধ হচ্ছে কৃষি উৎপাদন, অন্যদিকে হুমকির মুখে রয়েছে পরিবেশ।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সংগঠন এবং স্থানীয়দের নিজ উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েও প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। পলিথিন বর্জ্যের কারণে দিন দিন ফসলি জমি অনাবাদি হচ্ছে। স্থানীয়রা মনে করছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে এই অঞ্চলের কৃষি উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।
স্থানীয় কৃষক মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘চার বিঘা জমিতে ১০ বছর হলো ফসল উৎপাদন বন্ধ। জমিতে সারা বছর পানি থাকে। পলিথিন বর্জ্যের স্তর দূর থেকে মনে হবে সাদা ঘাস ফুলের বাগান। এত আন্দোলন আর সামাজিকভাবে প্রতিবাদ করেও এর প্রতিকার পাইনি। আর কোনো দিন পাব বলে বিশ্বাস হয় না।’
স্থানীয় সমাজকর্মী মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘এই সমস্যার সমাধানের জন্য বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ সব দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাইনি। আমাদের এলাকায় কৃষি উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হওয়ার পথে। কৃষি আর কৃষককে বাঁচানোর এখনই সময়।’
শ্রীপুর পৌর মেয়র মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘ময়লা বর্জ্য সঠিক স্থানে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে লবলঙ্গ খালে বর্জ্য ফেলা বন্ধ হবে। পর্যায়ক্রমে এই অঞ্চলে কৃষি উৎপাদন শুরু হবে।’
গাজীপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. নয়ন মিয়া বলেন, ‘লবলঙ্গ খালে বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে কাজ শুরু হবে। কাউকে পরিবেশ নষ্ট করতে দেওয়া হবে না। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘মহাসড়কের পাশে বর্জ্য ফেলার কোনো সুযোগ নেই। খোঁজ নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ফসলি জমি রক্ষাসহ খালের গতি ফিরিয়ে আনা হবে।’
গাজীপুরের সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কে এম শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘মহাসড়কের পাশে বর্জ্য ফেলার কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে সড়ক জনপথ বিভাগের সংশ্লিষ্টরা অনেক সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করছেন। স্থানীয় পৌরসভার সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।’
গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। লবলঙ্গ খালে ফেলা ক্ষতিকারক পলিথিন বর্জ্য মিশে ফসলি জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে। এটা দুঃখজনক। দ্রুত সময়ের মধ্যে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কোনোভাবেই লবলঙ্গ খাল এবং ফসলি জমি নষ্ট করতে দেওয়া হবে না।’
গাজীপুরের শ্রীপুরে মহাসড়কের পাশে ফেলা পৌরসভার বর্জ্য ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশের জমিতে। ক্ষতিকারক পলিথিন বর্জ্য মিশে অনাবাদি হচ্ছে ফসলি জমি। এতে ধানসহ সব কৃষিজাত পণ্য উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকেরা। এ ছাড়া পথচারী ও যানবাহনের যাত্রীদের উৎকট দুর্গন্ধ সহ্য করতে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শ্রীপুর পৌরসভার গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ঘেঁষা লবলঙ্গ খালের পাশে বিশাল ময়লার স্তূপ। এখানে কয়েক বছর ফেলা হচ্ছে পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা। এসব বর্জ্য লবলঙ্গ খাল হয়ে ছড়িয়ে গেছে শত শত একর ফসলি জমিতে। যতদূর চোখ যায় দেখা যায় শুধু পলিথিন বর্জ্য। এসব বর্জ্য জমিতে মিশে উর্বরতা নষ্ট হয়েছে। অনেকটা বাধ্য হয়েই স্থানীয় কৃষকেরা চাষাবাদ বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে বন্ধ হচ্ছে কৃষি উৎপাদন, অন্যদিকে হুমকির মুখে রয়েছে পরিবেশ।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সংগঠন এবং স্থানীয়দের নিজ উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েও প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। পলিথিন বর্জ্যের কারণে দিন দিন ফসলি জমি অনাবাদি হচ্ছে। স্থানীয়রা মনে করছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে এই অঞ্চলের কৃষি উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।
স্থানীয় কৃষক মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘চার বিঘা জমিতে ১০ বছর হলো ফসল উৎপাদন বন্ধ। জমিতে সারা বছর পানি থাকে। পলিথিন বর্জ্যের স্তর দূর থেকে মনে হবে সাদা ঘাস ফুলের বাগান। এত আন্দোলন আর সামাজিকভাবে প্রতিবাদ করেও এর প্রতিকার পাইনি। আর কোনো দিন পাব বলে বিশ্বাস হয় না।’
স্থানীয় সমাজকর্মী মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘এই সমস্যার সমাধানের জন্য বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ সব দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাইনি। আমাদের এলাকায় কৃষি উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হওয়ার পথে। কৃষি আর কৃষককে বাঁচানোর এখনই সময়।’
শ্রীপুর পৌর মেয়র মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘ময়লা বর্জ্য সঠিক স্থানে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে লবলঙ্গ খালে বর্জ্য ফেলা বন্ধ হবে। পর্যায়ক্রমে এই অঞ্চলে কৃষি উৎপাদন শুরু হবে।’
গাজীপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. নয়ন মিয়া বলেন, ‘লবলঙ্গ খালে বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে কাজ শুরু হবে। কাউকে পরিবেশ নষ্ট করতে দেওয়া হবে না। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘মহাসড়কের পাশে বর্জ্য ফেলার কোনো সুযোগ নেই। খোঁজ নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ফসলি জমি রক্ষাসহ খালের গতি ফিরিয়ে আনা হবে।’
গাজীপুরের সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কে এম শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘মহাসড়কের পাশে বর্জ্য ফেলার কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে সড়ক জনপথ বিভাগের সংশ্লিষ্টরা অনেক সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করছেন। স্থানীয় পৌরসভার সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।’
গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। লবলঙ্গ খালে ফেলা ক্ষতিকারক পলিথিন বর্জ্য মিশে ফসলি জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে। এটা দুঃখজনক। দ্রুত সময়ের মধ্যে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কোনোভাবেই লবলঙ্গ খাল এবং ফসলি জমি নষ্ট করতে দেওয়া হবে না।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪