Ajker Patrika

সেতুর নির্মাণকাজে ‘অনিয়ম’

কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৩: ১৮
সেতুর নির্মাণকাজে ‘অনিয়ম’

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কাটঅব ড্রপ ওয়াল ছাড়াই ৩ মিটার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের একটি বক্স সেতুর বেজ ঢালাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বেজ ঢালাইয়ের নিচে ৯ ইঞ্চি বালুর বেড না করা, নিম্নমানের বালু ও খোয়া এবং ফিটনেসহীন রড ব্যবহার করা, ঢালাইয়ের রড মাপে কম দেওয়াসহ নানান অভিযোগ উঠেছে সেতু নির্মাণকাজে। সেতুটি উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের কাঁচিকাটা এলাকায়।

জানা গেছে, দুই মাসে সেতুর কাজ শেষের কথা ছিল। অথচ ১৪ মাস চলে গেছে। এ পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে মাত্র ৫০ শতাংশ। নির্মাণ এলাকায় নেই কোনো সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড। নেই দুর্ঘটনা প্রতিরোধক ব্যবস্থা। তবুও প্রয়োজন মেটাতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে হাজারো মানুষ ও যানবাহন।

এলাকাবাসী জানান, উপজেলার চাঁদপুর, বাগুলাট ও পান্টি ইউনিয়নের প্রায় লাখো মানুষ চলাচল করে এ সড়ক দিয়ে। এ ছাড়া ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার একাংশ কুষ্টিয়ার সঙ্গে যাতায়াতের জন্য সড়কটি ব্যবহার করে। ফলে সড়কটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কাঁচিকাটা সেতু এলাকার সেতুটি নতুন করে নির্মাণের জন্য ভাঙা হয়েছে এক বছরেরও আগে। কিন্তু সেতুর কাজ শেষ হয়নি। বেড়ে চলেছে দুর্ভোগ।

উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ে সূত্রে জানা গেছে, তিন মিটার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের বক্স সেতুর (কালভার্ট) নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ লাখ ১২ হাজার ১৯৫ টাকা (চুক্তি মূল্যে)। সেতু নির্মাণের ঠিকাদার জেলার ভেড়ামারা উপজেলার ফারাকপুরের মো. নজরুল ইসলাম। মাত্র দুই মাস মেয়াদি এ সেতু নির্মাণের মেয়াদও শেষ হয়েছে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর। এখন পর্যন্ত সেতুর কাজ হয়েছে মাত্র ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ।

পান্টি ইউনিয়নের রামদিয়া এলাকার ব্যবসায়ী ফরিদ উদ্দিন বলেন, বাঁশগ্রাম বাজার থেকে মালামাল কিনে ভ্যানে চলাচল করি। ১৪ মাস পার হলো, তবু ব্রিজ (সেতু) হলো না। মালামাল নিয়ে গাড়িতে চলাচল করা যায় না। অনেক সময় গাড়ি উল্টে যায়। 

চাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুজ্জামান তুষার বলেন, ‘সেতু না থাকায় স্বাভাবিক চলাচল বিঘ্ন হচ্ছে। দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে।’ 
এ বিষয়ে ঠিকাদার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। বেজ ঢালাইয়ের পর কিছুদিন কাজের বিরতি থাকে। তাই কাজ বন্ধ আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পানির কারণ কাটঅব ড্রপ ওয়াল দেওয়া হয়নি। তবে অন্যান্য অভিযোগ মিথ্যা।’

উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুর রহিম বলেন, ‘জলাবদ্ধতার (পানি) কারণে কাটঅব ড্রপ ওয়াল ছাড়াই বেজ ঢালাই দিয়েছেন ঠিকাদার। এখন পর্যন্ত ৪০ থেকে ৫০ ভাগ সেতুর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বিষয়টি নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত