বদরুল ইসলাম মাসুদ, বান্দরবান
শীতের আগমনে আবারও চাঙা হয়ে উঠেছে বান্দরবানের পর্যটন খাত। করোনার প্রভাব কাটিয়ে ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকে মুখর হয়ে উঠছে পর্যটনকেন্দ্রগুলো। এতে চাঙা হয়ে উঠছে পাহাড়ের অর্থনীতি। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত হোটেল ব্যবসা থেকে আদায় করা রাজস্ব গত বছরের চেয়ে ২৩ লাখ টাকা বেশি। শহরে পর্যটক বৃদ্ধিতে সন্ধ্যার পর বিনোদনের ব্যবস্থার জন্য সরকারিভাবে উদ্যোগ আশা করেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
নৈসর্গিক সৌন্দর্য ও জেলায় বসবাসকারী ১১টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জীবনবৈচিত্র্য দেখতে এখানে ছুটে আসেন ভ্রমণপিপাসুরা। শীত মৌসুমে বান্দরবানের দর্শনীয় স্থানগুলো ভ্রমণপিপাসুদের বেশি আকর্ষণ করে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার পর্যটকে মুখর হয় নীলাচল, মেঘলা, শৈলপ্রপাত, প্রান্তিক লেক, চিম্বুক, নীলগিরি, বগা লেক, নাফাখুম, দেবতাখুমসহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র।
এদিকে জেলার আবাসিক হোটেল, রেস্টুরেন্ট, হস্তশিল্পের তৈরি শো-পিস, কোমর তাঁতের কাপড়সহ ঐতিহ্যবাহী ব্যবসার বেচা-বিক্রিও জমে উঠতে শুরু করেছে। পর্যটকবাহী পরিবহন ব্যবসাও অনেকটা চাঙা হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি পর্যটকদের সহযোগিতা করার জন্য এখানে পথপ্রদর্শক (গাইড) ব্যবসাও জমে উঠেছে।
নীলাচল হলি ডে ইন রিসোর্ট ও ইকো সেন্স রিসোর্টের মালিক জাকির হোসেন বলেন, ‘পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়ার পর থেকে পর্যটকদের আনা-গোনা বেড়েছে। এতে আমাদের ব্যবসাও চাঙা হয়ে উঠেছে। আস্তে আস্তে করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারব।’
স্বপ্নবিলাস রিসোর্টের পরিচালক বিশ্বজিৎ দাশ বাপ্পা বলেন, ‘শীত মৌসুমে পর্যটক বেড়েছে, আমাদের ব্যবসাও ভালো হচ্ছে। তবে পর্যটকদের জন্য এখানে সন্ধ্যার পরে বিনোদনের ব্যবস্থা না থাকায়, অনেকেই এসে বেশি দিন থাকতে চান না। পর্যটকদের জন্য সরকারিভাবে বিনোদনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে তাঁরা বান্দরবান এসে আরও বেশি সময় কাটাতে পারতেন।’
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পর্যটন থেকে সরকারের রাজস্ব আয় বেড়েছে। গত অর্থবছরে করোনার কারণে পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ থাকায় সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছিল হোটেল ব্যবসা থেকে ১৫ লাখ টাকা। পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়ার পর চলতি বছর অক্টোবর পর্যন্ত হোটেল ব্যবসা থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ৩৮ লাখ টাকা। শীত মৌসুমে রাজস্ব আরও বাড়বে বলে প্রশাসন আশা করছে।
শহরের গার্ডেন সিটি হোটেলের মালিক মো. জাফর বলেন, বিজয় দিবসে ছুটি উপলক্ষে ১৫, ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর তাঁর হোটেলের সবগুলো কক্ষই বুকিং দেওয়া আছে। অনেকে ফোন করেও হোটেলের কক্ষ পাচ্ছেন না। একই কথা বলেন হোটেল অরণ্যর মালিক জসিম উদ্দিন। তিনি জানান, ছুটির সময় হোটেল কক্ষ পাওয়া কঠিন। তাই নভেম্বরের শেষেই অনেকে অনলাইনে হোটেল কক্ষ অগ্রিম বুকিং দিয়েছেন।
জানা গেছে, জেলায় ৭০টি হোটেল-মোটেল রিসোর্ট রয়েছে। এর মধ্যে জেলা সদরে হোটেল-রিসোর্ট মালিক সমিতির অন্তর্ভুক্ত ৫৮টি। প্রতিদিন এসব হোটেল-রিসোর্টে প্রায় ৫ হাজার পর্যটক থাকছেন। ছুটির সময় দুজনের কক্ষে ৪-৫ জনও থাকেন। পর্যটকদের সেবায় প্রায় ১ হাজার ২৫০ জন কর্মী, ৫ শতাধিক টুরিস্ট গাইড, ৫ শতাধিক গাড়িচালক ও সহকারী এবং খাবারের দোকানের কর্মচারীদের কর্মসংস্থান হয়ে থাকে। এ হিসাবে পর্যটন খাতে প্রতিদিনই অর্ধকোটি টাকার লেনদেন হয়।
বান্দরবান হোটেল-রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম জানান, বান্দরবানে ১ বছরে অন্তত ৫ লাখ পর্যটক বেড়াতে আসেন। এ থেকে ৫০ কোটি টাকার মতো আয় হয়। তবে পর্যটনের নতুন কেন্দ্র গড়ে উঠলে আয় আরও বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বান্দরবান চাঁদের গাড়ি (জিপ, মাইক্রো) শ্রমিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ কামাল বলেন, পর্যটকবাহী প্রায় ৩০০ গাড়ি রয়েছে বান্দরবানে। গাড়িগুলোর সঙ্গে জড়িত কয়েক শ শ্রমিক করোনাকালে অর্থাভাবে কষ্টে দিন কাটিয়েছেন। তবে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় প্রশাসন পর্যটন খুলে দিয়েছে। এতে তাঁদের আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
বান্দরবান রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন বলেন, এখানকার রেস্টুরেন্টগুলোও পর্যটকের ওপর নির্ভরশীল। পর্যটক আসায় রেস্টুরেন্টগুলোতে আবারও বেচা-বিক্রি বেড়েছে। এতে তাঁদের আয় আগের তুলনায় বেড়েছে।
শীতের আগমনে আবারও চাঙা হয়ে উঠেছে বান্দরবানের পর্যটন খাত। করোনার প্রভাব কাটিয়ে ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকে মুখর হয়ে উঠছে পর্যটনকেন্দ্রগুলো। এতে চাঙা হয়ে উঠছে পাহাড়ের অর্থনীতি। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত হোটেল ব্যবসা থেকে আদায় করা রাজস্ব গত বছরের চেয়ে ২৩ লাখ টাকা বেশি। শহরে পর্যটক বৃদ্ধিতে সন্ধ্যার পর বিনোদনের ব্যবস্থার জন্য সরকারিভাবে উদ্যোগ আশা করেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
নৈসর্গিক সৌন্দর্য ও জেলায় বসবাসকারী ১১টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জীবনবৈচিত্র্য দেখতে এখানে ছুটে আসেন ভ্রমণপিপাসুরা। শীত মৌসুমে বান্দরবানের দর্শনীয় স্থানগুলো ভ্রমণপিপাসুদের বেশি আকর্ষণ করে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার পর্যটকে মুখর হয় নীলাচল, মেঘলা, শৈলপ্রপাত, প্রান্তিক লেক, চিম্বুক, নীলগিরি, বগা লেক, নাফাখুম, দেবতাখুমসহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র।
এদিকে জেলার আবাসিক হোটেল, রেস্টুরেন্ট, হস্তশিল্পের তৈরি শো-পিস, কোমর তাঁতের কাপড়সহ ঐতিহ্যবাহী ব্যবসার বেচা-বিক্রিও জমে উঠতে শুরু করেছে। পর্যটকবাহী পরিবহন ব্যবসাও অনেকটা চাঙা হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি পর্যটকদের সহযোগিতা করার জন্য এখানে পথপ্রদর্শক (গাইড) ব্যবসাও জমে উঠেছে।
নীলাচল হলি ডে ইন রিসোর্ট ও ইকো সেন্স রিসোর্টের মালিক জাকির হোসেন বলেন, ‘পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়ার পর থেকে পর্যটকদের আনা-গোনা বেড়েছে। এতে আমাদের ব্যবসাও চাঙা হয়ে উঠেছে। আস্তে আস্তে করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারব।’
স্বপ্নবিলাস রিসোর্টের পরিচালক বিশ্বজিৎ দাশ বাপ্পা বলেন, ‘শীত মৌসুমে পর্যটক বেড়েছে, আমাদের ব্যবসাও ভালো হচ্ছে। তবে পর্যটকদের জন্য এখানে সন্ধ্যার পরে বিনোদনের ব্যবস্থা না থাকায়, অনেকেই এসে বেশি দিন থাকতে চান না। পর্যটকদের জন্য সরকারিভাবে বিনোদনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে তাঁরা বান্দরবান এসে আরও বেশি সময় কাটাতে পারতেন।’
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পর্যটন থেকে সরকারের রাজস্ব আয় বেড়েছে। গত অর্থবছরে করোনার কারণে পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ থাকায় সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছিল হোটেল ব্যবসা থেকে ১৫ লাখ টাকা। পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়ার পর চলতি বছর অক্টোবর পর্যন্ত হোটেল ব্যবসা থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ৩৮ লাখ টাকা। শীত মৌসুমে রাজস্ব আরও বাড়বে বলে প্রশাসন আশা করছে।
শহরের গার্ডেন সিটি হোটেলের মালিক মো. জাফর বলেন, বিজয় দিবসে ছুটি উপলক্ষে ১৫, ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর তাঁর হোটেলের সবগুলো কক্ষই বুকিং দেওয়া আছে। অনেকে ফোন করেও হোটেলের কক্ষ পাচ্ছেন না। একই কথা বলেন হোটেল অরণ্যর মালিক জসিম উদ্দিন। তিনি জানান, ছুটির সময় হোটেল কক্ষ পাওয়া কঠিন। তাই নভেম্বরের শেষেই অনেকে অনলাইনে হোটেল কক্ষ অগ্রিম বুকিং দিয়েছেন।
জানা গেছে, জেলায় ৭০টি হোটেল-মোটেল রিসোর্ট রয়েছে। এর মধ্যে জেলা সদরে হোটেল-রিসোর্ট মালিক সমিতির অন্তর্ভুক্ত ৫৮টি। প্রতিদিন এসব হোটেল-রিসোর্টে প্রায় ৫ হাজার পর্যটক থাকছেন। ছুটির সময় দুজনের কক্ষে ৪-৫ জনও থাকেন। পর্যটকদের সেবায় প্রায় ১ হাজার ২৫০ জন কর্মী, ৫ শতাধিক টুরিস্ট গাইড, ৫ শতাধিক গাড়িচালক ও সহকারী এবং খাবারের দোকানের কর্মচারীদের কর্মসংস্থান হয়ে থাকে। এ হিসাবে পর্যটন খাতে প্রতিদিনই অর্ধকোটি টাকার লেনদেন হয়।
বান্দরবান হোটেল-রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম জানান, বান্দরবানে ১ বছরে অন্তত ৫ লাখ পর্যটক বেড়াতে আসেন। এ থেকে ৫০ কোটি টাকার মতো আয় হয়। তবে পর্যটনের নতুন কেন্দ্র গড়ে উঠলে আয় আরও বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বান্দরবান চাঁদের গাড়ি (জিপ, মাইক্রো) শ্রমিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ কামাল বলেন, পর্যটকবাহী প্রায় ৩০০ গাড়ি রয়েছে বান্দরবানে। গাড়িগুলোর সঙ্গে জড়িত কয়েক শ শ্রমিক করোনাকালে অর্থাভাবে কষ্টে দিন কাটিয়েছেন। তবে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় প্রশাসন পর্যটন খুলে দিয়েছে। এতে তাঁদের আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
বান্দরবান রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন বলেন, এখানকার রেস্টুরেন্টগুলোও পর্যটকের ওপর নির্ভরশীল। পর্যটক আসায় রেস্টুরেন্টগুলোতে আবারও বেচা-বিক্রি বেড়েছে। এতে তাঁদের আয় আগের তুলনায় বেড়েছে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২০ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪